বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ইসরাত রাত ২ টায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আর রনির কথা ভাবছে।আর এদিকে রনি বারান্দার এক কোনে বসে আছে আর বার বার বলছে ইসরাতের কাছে যাবো।রনির ঠিকমতো ঘুম হয় না।ঘুমোতে গেলেও ঘুম আসে না।ঘুমোলেও কি যেন স্বপ্নে দেখে চিৎকার দিয়ে উঠে।তারপর পুরো বাড়ি ছুটোছুটি করতে থাকে।ঠিকমতো খায় না।বাবা মা খুব টেনশনে আছেন রনিকে নিয়ে।
সকালে উঠে বাইরে গেল।রনির মা রনির রুমে ঢুকে দেখলেন রনি নেই।পুরা বাড়ি খুজলেন নেই।এদিকে খাওয়ারও নাম নেই।রনি হেটে যেতে শুরু করলো।ইসরাতের বাড়ির সামনে এসে থেমে গেল।বারান্দার দিকে তাকিয়ে দেখল ইসরাত কাপে কি যেন খাচ্ছে হয় কফি না হয় চা।ইসরাতকে দেখলেই রনির মন খুব খারাপ হয়ে যায়।কি যেন হারিয়ে ফেলেছে,পেয়েও না পাওয়া হয়ে গিয়েছে।কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে চলে গেল পার্কে।শান্ত আর নীরব পার্কেই ছিল।রনিকে দেখে রনির কাছে এসে শান্ত বললো,"কিরে রনি কই যাস?"
রনি বললো,"ইসরাতের ওখানে গিয়েছিলাম।কিন্তু সে আমাকে উপেক্ষা করেছে।"
নীরব বললো,"আরে ইসরাত ঠিকই বুঝবে।"
রনি বললো,"কোথায় বুঝে?আচ্ছা শোন আমাকে একটু একা থাকতে দে।"
নীরব মুখ গোমড়া করে বললো,"তুই তো এখন সবসময় একা থাকিস।মুড অফ করে থাকিস।একটুও হাসিছ না।মুখ গোমড়া বানিয়ে থাকিস।"
রনি কিছু না বলে পার্ক থেকে বের হলো।তার চাই একটা নির্জন জায়গা সেখানে কেউ নেই।শুধু সে।
নীরব আর শান্ত চেষ্টা করে রনিকে হাসিখুশি রাখতে।কিন্তু তাদের এ চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে।অথচ আগে রনি কত হাসিখুশি ছেলে ছিল।কখনো কষ্ট পেয়েছে কিনা বলতে পারা যাবে না।
রনি কাশবনে গেল।তার মনে পড়ে গেল একদিন ইসরাত এই নিয়ে রাগ করেছিল আবার তখনি বললো যাবে।কয়েক দিন হয়ে গেল তাও কিছু বুঝছে না ইসরাত।রনি বার বার বোঝাতে চায় এর আগে তার কারো সাথে রিলেশন ছিল না।এটাই ফাস্ট।
রনি বাসায় যখন ফিরল তখন রাত ১ টা বাজে।বাবা মা এখনো জেগে আছেন রনির অপেক্ষায়।মা এগিয়ে এসে বললেন,"কিরে বাবা,এত দেরি করলি যে।ভাত খাবি না!"
রনি টেবিলের কাছে এসে সবগুলা খাবার ফ্লোরে ফেলে দিলো।তারপর নিজের রুমে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।রনির বাবা বললেন,"একটা ডক্টরের সাথে কথা বলেছি।ডক্টর না দেখালে রনির মানসিক অবস্থা দিন দিন আরো খারাপ হয়ে যাবে।এরপর যখন সুস্থ হবে তখন একটা ভালো পাত্রী দেখে বিয়ে দিয়ে লন্ডনে পাঠিয়ে দিবো।"
রনির মা বললেন,"ছেলেকে এত দূর পাঠিয়ে দিবে!"
"তো কি করবে দেশে থেকে পাগল করে দিবে!পাগলই হয়ে গেসে।"
রিফাহ চুপচাপ শুনে যাচ্ছিল।রনির বাবা বললেন,"কি রিফাহ ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি না!"
রিফাহ বললো,"হ্যা আঙ্কেল।আমারও মনে হয় ঠিক সিদ্ধান্ত।"
"আচ্ছা তোমরা যাও ঘুমাও।আর রনির মা চলো ঘুমাতে যাই।"
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now