বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
এই অসাধারণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রিয়ার উম্মুক্ত গালটাতে একটা চুমু বসিয়ে দেয় শিমুল মুহূর্তেই রিয়া আলু
কাটা বন্ধ করে শিমুলের দিকে তাকায়,
রাগ আর অবাক হয়ে যাওয়ার এক অদ্ভুত মিশ্রন রিয়ার চোখে,মুখে। রিয়া এমন দৃষ্টি দেখে বেশ ভয় পায় শিমুল , এমন ভয় জীবনে খুব কম পেয়েছে।
কিন্তু তবুও রিয়ার অদ্ভুত রাগী দৃষ্টিও শিমুলের ভয়ে শীতল হয়ে যাওয়া হৃদয়ের কোনো এক অংশকে ঊষ্ণ করে তোলে।
রিয়ার মাথা আগুনের মত গরম হয়ে যায়,
শিমুল রিয়ার চোখ দেখেই বুঝে যায়,
হয়ত থাপ্পর মারবে নাহয় ঘন্টা ২-৩ লেকচার শুনাবে।
অন্যদিকে শিমুল লজ্জাও লাগতে থাকে।
মনেমনে বলে,
আজকাল আমার হটাৎ হটাৎ কি হয়?
আমি কী পাগল হয়ে যাচ্ছি?
পাগলরাও হয়ত এরকম কাজ করবে না।
আল্লাহ আমাকে বাচাও " শিমুলের অনুশোচনার যেন কোনো শেষ নেই।
.
প্রচন্ড রাগে আর জোরে ধমকের সুরে রিয়া বলে,
.
"বেয়াদব, অসভ্য জানি কোথাকার!
বের হও এজায়গা থেকে"
.
একেবারে চোরের মত চুপচাপ মুখটা নিচু করে, উল্টাদিকে ঘুরে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে আসে শিমুল । মনে মনে নিজেকে হালকা সান্তনা দেয়,
.
"যাক ২-৩ ঘন্টা লেকচার অথবা চড় খাওয়া থেকে কাহিনী এজায়গা শেষ করে চলে যাওয়াই উত্তম"
.
যে রিয়ার কন্ঠ শোনার জন্য পাগল হয়ে যায় শিমুল ,সেই রিয়ার মুখ থেকে এরকম কন্ঠ বের হবে তা শিমুল ভেবেও পায়নি।
একেবারে মনভাঙা,
প্রচন্ড শোকাহত হয়ে বারান্দায় বসে থাকে।
নিজেকে প্রচন্ড লজ্জা দিতে থাকে।
.
"আজকাল হটাৎ হটাৎ আমার কী হয়ে যায়?
অকারণে এরকম পাগলামির কোনো মানে হল?
এমন কী আছে ঐ কন্ঠে যে তা শোনার জন্য পাগল হয়ে যাওয়া লাগবে! আসলে আমার দোষ তো কম না, অযথা একটা ফালতু মেয়েকে বেশী দাম দিতে গিয়েছি। আমি একটা চুমা দিয়েছি তাতে আমি অসভ্য!!
আর উনি কালকে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে তাতে কিছু না। বাহ!"
.
রান্নায় রিয়ার মোটেও মন বসে না,
বেশ রাগ হয়ে আছে।
আবার কেমন জানি কষ্টও লাগে ছেলেটাকে অতিরিক্ত বকা দেওয়া হয়েছে। এত রাগ হওয়া আদৌ ঠিক হয়েছে! রান্না ছেড়ে যেন শিমুল কে দেখতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আবার মুহূর্তেই মনকে শক্ত করার চেষ্টা করে। রান্নায় মনযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না।
মাঝে মাঝেই রান্নাঘর থেকে উকি মারে শিমুল কে দেখতে। কিন্তু দেখতে পায়না।
মনেমনে ভাবে,"হয়ত বারান্দায়,বোধহয় অনেক কষ্ট পেয়েছে।" নিজের মনকে শক্ত করার চেষ্টা রিয়া চালাতেই থাকে কিন্তু কোনভাবেই যেন পেরে ওঠে না। রান্নায় যেন কোনোভাবেই মন বসে না।
.
রান্না করা শেষ,
আজকের রান্নাটা খুব একটা ভালো হয়নি।
শিমুল কে খেতে ডাকে, কোন উত্তর পায় না।
হয়ত অভিমান করে আছে,
আরও ২ বার ডাকে তবু উত্তর পায় না।
রিয়া মনেমনে ভাবে,"ছেলেটা প্রচুর কষ্ট পেয়েছে হয়ত।" বাধ্য হয়ে তাই বারান্দায় যায়।
হয়ত ভেবেছিল ফেইসবুক চালাবে অথবা সিগারেট খাবে। কিন্তু রিয়া ভুল প্রমাণিত হল।
চুপচাপ এক নজরে বাহিরে তাকিয়ে আছে শিমুল ,
মুখে অভিমান আর রাগের ছাপ একেবারে স্পষ্ট কিন্তু কেন জানি অভিমানী শিমুল কে রিয়ার বেশ ভালোই লাগে। মনেমনে বলে, "হাউ কিউট!"।
কিন্তু আবার মনকে শক্ত করে ফেলে।
মনথেকে শিমুল কে কেন্দ্র করে সব উদ্ভট চিন্তা বাইরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে রিয়া ।
বেশ রাগের সাথেই বলে,
.
"কী ব্যাপার কানে শোনো না?
খাবার খেতে ডাকতেছি আসো না কেন? "
.
কোন উত্তর দেয় না, আবারো এক বার বলে,
.
"কানে শোন না"
.
এবারও চুপ হয়ে অভিমানী দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে থাকে।
.
এবার বাধ্য হয়ে রিয়া শিমুল কে জোরে একটা ধাক্কা দিল। বেশ বিরক্ত হয়েই শিমুল বলে,
.
"কী ব্যাপার? জ্বালাও কেন?"
.
"খাবার খাবা না?"
.
"না।"
.
"ইয়ার্কি কর? ভাত ফালাইয়্যা দেব তাইলে? "
.
"জানি না।"
.
"ফাজলামি কর? "
.
"জানি না।"
.
রিয়া মনেমনে ভাবে আসলেই হয়ত অনেক কষ্ট পেয়েছে শিমুল । শিমুলের অভিমানী দৃষ্টি রিয়ার মনকে শেষমেশ গলে যেতে বাধ্য করে।
.
"রাগ করেছো নাকি?"
.
" না এমনি খাব না "
বেশ লজ্জা আর বিব্রত হয়েই উত্তরটা দেয়।
.
রিয়া বোঝে শিমুল বেশ লজ্জা পেয়েছে,
মনে মনে খুব হাসিও পায় তবে হাসিকে থামিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
.
"আচ্ছা বেশী রাগ দেখিয়ে ফেলেছি,
সরি কিন্তু তুমি যে কাজটা করেছ তাতে তো যে কেউ রাগ হয়ে যেত।"
.
শিমুলের চেহারায় রাগ আর অভিমানের ছাপ এখনও আছে। তবে সেটা যে কৃত্রিম তা বোঝা খুব একটা কঠিন না। রিয়ার মুখ থেকে 'সরি' শোনার পর শিমুলের মনে যে বিজয় র্যালি হচ্ছে তা বোঝা খুব একটা কঠিন না। বেশ অভিমানী কন্ঠেই শিমুল বলে,
.
"আমিও সরি আমার ভুল হয়েছে,
কিন্তু গতকালকে তুমি যা করেছ?
আমি তো তোমাকে বকা দেইনি!"
.
শিমুলের কথাটা রিয়া মাথাকে ঘুরিয়ে দেয়।
বেশ অদ্ভুত অনুভব করে।
আসলেই যুক্তি ভুল না বরং বেশ শক্ত যুক্তি ব্যবহার করেছে শিমুল । এই যুক্তিকে ভাঙার মত কোন উত্তর অথবা পাল্টা যুক্তি রিয়া খুজে পায় না।
চুপচাপ হেটে চলে যায় বারান্দা থেকে।
.
শিমুল মনেমনে ভাবে,
"মনেহয় রিয়া কষ্ট পেয়েছে, বাবা!
এই মেয়েটার অসুবিধা কি?
এত কথায় কথায় কষ্ট মানুষ পায় কিভাবে? "
শিমুল আর কথা বাড়াতে চায় না, চুপচাপ খেতে বসে।
.
রিয়ার মাথায় এখনও শিমুলের কথাটা ভাসতে থাকে। অনেক যুক্তি খোজে কথাটা ভাঙার জন্য তবে কোনো যুক্তি খাটে না,রিয়া বুঝতে পারে না তার কাজটা আদৌ ঠিক হয়েছে না ভুল। আর কেন সে এরকম একটা কাজ করল! খুজতেই থাকে উত্তর তবে যথার্থ উত্তর খুঁজে পায় না।
.
.
সকালে সোফায় বেশ আরামেই ঘুমাতে ছিল শিমুল, মোবাইলটা পরপর দুবার বেজে ওঠায় ঘুমের বারোটা বেজে যায় শিমুলের । রিয়া খাবার টেবিল গুছাতে ব্যস্ত। শিমুলের ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে নিপা ফোন দিয়েছে। এত সকালে কী কারণে ফোন দিতে পারে নিপা! তাই কৌতূহলবশত নিপাকে কল ব্যাক করে।
.
"হ্যালো নিপা"
.
"হ্যালো "
.
"কী খবর এত সকালে ফোন দিলি যে?"
.
"দোস্ত, দোস্ত আমার কলিজার টুকরা প্লিজ আজকে একটু বাইরে আয়, প্লিজ একটু ঘোরব।
প্লিজ! না বলবি না।"
.
শিমুলের না বলার কোনো উপায় থাকে না ঘনিষ্ঠ বন্ধুর এত করুন অনুরোধকে।না বলাটা আসলেই অমানবিক দেখাবে। তাই বাধ্য হয়েই শিমুল বলে,
.
"আচ্ছা আসব , কিন্তু কখন? "
.
"এই আধা
চলবে।।।।।।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now