বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকঃ শাহারিয়ার
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা!!! আমি হাজির হলাম জিজেসদের নিয়ে লেখা এই গল্পের ৩য় পর্ব নিয়ে। চলুন শুরু করি...
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম-------->>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
জিজেসরা এখনো হাঁটছে। প্রবল শীতে তাদের গাঁ ছম-ছম করে কাঁপছে।হঠাৎ, এক বিশাল ঘন কুয়াশা আমাদের গ্রাস করে ফেলল। কেউ কিছু দেখতে পাচ্ছে না। এতক্ষণে বাংলোটায় পৌঁছে যাওয়ার কথা; কিন্তু, জন্যে আর সেটারও দেখা মিলছে না। সবাই এখন কিছু না দেখতে পেরে দল ভঙ্গ করে হারিয়ে গেছে।
ইভাঃ ওরে বাবারে! কি ঠান্ডা এই তোরা কইরে? কেউ আছিইইস??
রিদাঃ হি! হি! হি! হি! রক্ত খাব, হি! হি! হি! হি!!
ইভাঃ ওমা!ad: কে আছ বাঁচাও আমাকে! বাঁচাও!
রিদাঃ ধুর বোকা ইসুপি ভয় পেলা নাকি?
ইভাঃ এইই!! এরকম কি কেউ করে নাকি? যদি হার্টফেল হয়ে যায়!
লাকিঃ তোর কি হার্টফেল হল নাকিরে! ইভাঙ্কা!!!
ইভাঃ লাকি আপু তুমি নাকি??
এমন সময় তারা এক বাংলো সামনে হাজির। তারাই একা আর কোনো জিজেসরাই নেই। একটা শিয়াল দূরের একটা উঁচু ডিবিতে উঠে জোরে ডাক দিল। সবাই ভয় পেয়ে ইসরাত আপুকে জড়িয়ে ধরল।
রিদাঃ বাবাগো!! মাগো!!
লাকিঃ কি ছিল ওটা
ইভাঃ সবাই এসে আমাকেই ভর্তা বানিয়ে ফেলছে
এমন সময় সব জিজেস কোথেকে জানি এসে গেল ৩-৪ জন করে। সবাই আছে কি নাই তা চেক করলাম। নাহ সবাই আছে। কিন্তু, এবার ১জন নয় ২জনের মাথায় কালো কাপড় আছে। তারা হলঃ জাইম, তানিম্বাই। কেউ আবার ব্যাপারটা লক্ষ করেনি। বাংলোটার কাছে যেতেই আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠল। আসল ঝড়ো হাওয়া। অনেক বড় গেটটা বাতাসের ধাক্কায় খুলে গেল। সবাই ঢুকে পড়ল সেখানে। জায়গাটা যেন আস্ত এক শশ্মান। কেউ কিছু বুঝার আগেই মূহুর্তের মধ্যেই গেটটা আবার বন্ধ হয়ে গেল। সবাইতো ভয়ে কাঠ। ''চল পালাই! বাংলোটায় ঢুকে পড়ি'' হৃদয় ভায়া বলল। ''চলেন! এছাড়াতো আর পথ নাই'' ফারহান বলল। তানিম্বাই আর জাইম কেন জানি সবার আগে আগেই দৌড়ে গেল বাংলোটার ভিতরে। অনেক পুরনো তালা মারা; জং ধরে একেবারে খেয়ে ফেলেছে। তাই টান দিতেই ভেঙ্গে গেল। দরজা খুলার সাথে ক্যাচ ক্যাচ শব্দ করল। সবাই একে একে ঢুকে পড়লাম। ঢুকেই আবার দরজা অদ্ভুতভাবে বন্ধ হয়ে গেল যেন কেউ নিজ হাতে এক্ষুনি বন্ধ করল। দুতলা পুরনো আমলের বাড়ি। চারদিকে শুধু মাকড়সার জাল আর জাল। কি আর করার না! তাই সবাই মিলে বাংলোটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। আমার মনে হতে লাগল কেউ জেন আমার পিছনে হাঁটছে কিন্তু পিছনেতো কেউ নেই। মনের ভ্রম হয়ত। যাকগে! ব্যাপার নাহ! মুজাহিদ ভাই দেখল সামনে এক বিরাট ছায়া মূর্তি। সেটা যেন তাকেই ডাকছে। বলছে যেন "অ্যায় কাছেএ অ্যাঁয়"। সে ব্যাপারটা তানিম্বাই কে বলতেই যাবে এমন সময় তানিম্বাইয়ের মুখটা দেখা গেল। চোখের ভিতরে যেন আগুন জ্বলছে আর মুখ থেকে রক্ত ঝরছেহ। মুজাহিদ বায়া বুঝতে পারল যে ব্যাপারটা ভাল ঠেকছে না। তাই পালানোর চেষ্টা করতেই যাবে তখনই সে অনুভব করল প্রচন্ড হাতে ব্যাথ্যা। দেখল হাত থেকে রক্ত ঝরছে। লুটিয়ে পড়ল মাটিতে। এখন তার হাতে রক্ত নেই বরং মাথায় কালো কাপড়।
আমার খুব জোরে চাপল তখন। তাই ছুটে গেলাম ওয়াশরুমের খোঁজে। খুঁজতে খুঁজতে শেষ পর্যন্ত পেয়ে গেলাম তাই রক্ষে কাজ সেরে বাইরে বের হতেই কি জানো এক টা মনে পড়ল; হুউ, এত পুরান জায়গায়তো ফ্লাশ থাকার কথা না। তাও চাপ দিলাম। তারপর যা দেখলাম তা দেখেতো যে কারোই গায়ে কাটা দিয়ে উঠার কথা
⁂পরে কি হল জানতে আগামী পর্ব অবশ্যই পড়বেন। আর ভুল হলে অবশ্যই ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
***আল্লাহ হাফেজ***
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now