বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমি:ওকে।নো প্রবলেম।
তারপর জান্নাত আমার হাতে মিষ্টির প্যাকেটটা দিল।আমি চোখ বন্ধ করলাম তারপর আস্তে আস্তে মিষ্টির প্যাকেটটা খুলছি।
এদিকে জান্নাত শয়তানি হাসি হাসছে।
মিষ্টির প্যাকেটটা যখন খুললাম তখন জান্নাতের হাসি ভরা মুখটা নিমেষেই কালো হয়ে গেল।
আমি মিষ্টি তুলে খেতে লাগলাম।
আর জান্নাত ফ্যাল ফ্যাল করে দেখছে।আর চিন্তা করছে এটা কি করে হলো?
আপনারাও হয়তো চিন্তা এটাই ভাবছেন।
তাহলে শোনেন কি করে এমনটা হলো,
যখন ওই কাজের ছেলেটা ব্যাঙ ধরছিল তখন আমি দেখে ফেলেছিলাম।আমি ওকে জিগ্গাসা করে ছিলাম,''এটা দিয়ে কি হবে?
কাছের ছেলে আমতা আমতা করে বললো,''এমনি এমনিই ধরছি।
আমি বুঝতে পারলাম কোন গোলমাল আছে।তাই আমি ওকে ধমক দিয়ে বললাম,''এই সত্যি করে বল,তা না হলে কিন্তু..
কাজের ছেলে:জি ভাইয়া আমি সত্যি করে বলছি।এটা জান্নাত ম্যাডাম ধরতে বলছে।ব্যাঙটা ধরে একটা মিষ্টির প্যাকেটে করে নিয়ে যেতে বলেছে।
আমি চিন্তা করলাম,মিষ্টির প্যাকেটে ব্যাঙ,নিশ্চয় আমাকে টাইট দেওয়ার মতলব করছে।
আমি:এই শোন,তুই এই ব্যাঙ এর বদলে প্যাকেটে করে মিষ্টি নিয়ে যাবি।
কাজের ছেলে:কিন্তু ভাইয়া জান্নাত ম্যাডাম যদি এটা দেখে ফেলে,তখন কি হবে?
আমি:আরে পাগল মেয়েরা এগুলো দেখলে ভয় পাই।তাই আমার মনে হয়না ও প্যাকেট খুলে দেখবে।
কাজের ছেলে:কিন্তু ভাইয়া।
আমি:এই চোপ।
তারপর কাজের ছেলেটার হাতে ১০০০ টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিলাম।
কাজের ছেলেটা আমার কথা মতই কাজ করে ছিল।
তারপর আমি জান্নাতের এই প্লান সম্পর্কে শুনি ,যে ব্যাঙটা আমার জন্য।
আমিতো চোখ বন্ধ করে মিষ্টি খেয়েই যাচ্ছি।আর জান্নাত সেটা দেখছে।
এমনি এমনি দেখছে না চোখ গুলো ইয়া মোটা মোটা করে তাকিয়ে আছে।
আমি সব মিষ্টি গুলো খেয়ে চোখ খুললাম।
সাথে সাথে আমার পাশে বসে থাকা কয়েকজন হাত তালি দিয়ে উঠলো।
সবাই বাহ!বাহ! দিতে থাকলো।
চোখ খুলেইতো প্রচন্ড ভয় পায়ছি।জান্নাত আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আরে ব্যাঙের মতো রাগে ফুলছে।
মনে হচ্ছে কালী ঠাকুর।উশুর বদ করবে!
আমি তাড়াতাড়ি করে চোখটা নিচে নামিয়ে।
একটু পর আবার জান্নাতের চোখের দিকে তাকালাম।
এখনো জান্নাত আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আমি জান্নাতকে একটা চোখ মারলাম।
তারপর শয়তানি হাসি দিতে শুরু করলাম।
জান্নাত আর ওর বান্ধবী গুলো ওখান থেকে চলে গেল।
আমিও ওদের ফলো করে পিছন পিছন চলে যেতে লাগলাম।
জান্নাত আর ওর বান্ধবী গুলো একটা রুমে ঢুকলো।
রুমের ভিতরে ঢুকেই জান্নাত একটা ফুল দানি নিচে ছুড়ে মেরে ভেঙে ফেললো।
রিয়া:এই জানু এটা কি করছিস?
জান্নাত:চুপ একদম চুপ থাক।সবার সামনে আমার একটুও মান-সম্মান থাকলো না।আরে ও কি জাদু জানে নাকি?ব্যাঙটা কি করে মিষ্টি হয়ে গেল?
নাদিয়া:আরে তুই ওর সাথে বাজিতে পারবি না।হার মেনে নে।
জান্নাত:তোকে কিন্তু ডিমের সাথে সিদ্ধ করে ফেলবো(রাগি রাগি হয়ে)
তখন ই আমি রুমে এন্ট্রি নিলাম।
আমি:নাদিয়াতো ঠিক কথায় বলেছে।তুমি হার শিখার করে নাও।তুমি না আমার সাথে পারবে না।
জান্নাত আমাকে দেখে আরো রেগে গেল।
জান্নাত:এই আপনি এখানে কি করছেন?
আমি জান্নাতকে আরো রাগিয়ে দেওয়ার জন্য বললাম,''আমিতো এখানে নাদিয়া কে দেখতে এসেছি।
নাদিয়া:মানে?
আমি:মানে হলো,তোমার সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি।তোমার ওই খোলা চুল,তোমার বাকা ঠোঁটের মিষ্টি হাসি।তোমার মায়াবী চোখের চাহনি।আমি সত্যিই মুগ্ধ। কিছু মনে না করলে একটা কথা বলবো?
নাদিয়া লজ্জা লজ্জা ভাবনিয়ে বললো,''জি বলেন।
আমি:তোমার বুকের বা পাশে যেই রুমটা আছে ওটায় আমাকে থাকতে দেবে।
এই কথা শুনে জান্নাত বলে উঠলো,''ওটা অলরেডি ভাড়া দেওয়া হয়ে গিয়েছে।ওখানে একজন ভাড়াটি থাকে।
আমি:ইশ!এটা কি সত্যি নাদিয়া?
নাদিয়া:এই না না।এই জান্নাত তুই মিথ্যা কেন বলছিস?আমার রুমে কেউ থাকে না।
এটা শুনে জান্নাতের চোখ গুলো আরো মোটা মোটা হয়ে গেল।জান্নাত নাদিয়ার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো।
আমি জান্নাতের দিকে এগিয়ে গেলাম।
তারপর জান্নাতের থুতনিটা আলতো করে ধরে আমার দিকে ওর মুখটা ঘুরালাম।তারপর জান্নাতের চোখের দিকে তাকালাম।ও আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
সত্যিই অনেক মায়াবী চোখ দুটো।এই চোখে এখনো রাগ আছে।তারপরও অনেক মায়া ভরে আছে।
আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম,জান্নাতও তাকিয়ে আছে।কারো মুখে কোন কথা নেই।পুরো ঘর নিস্তব্ধ।
পিছন থেকে রিয়া গলা খেকার দিল।
মনে হয় এতোক্ষন আমি কল্পনা করছিলাম।কেবল আমার হুশ ফিরলো।
আমি:শোনেন,মিস পিচ্চি বুড়ি আপনি এই বাজিতে হেরে ভুত হয়ে যাবেন।
জান্নাত ওর থুতনি থেকে আমার হাতটা নামিয়ে দিয়ে বললো,''এখনো অনেক খেলা বাকি আছে।শেষ পর্যন্ত আমিই জিতবো।
আমি:আচ্ছা দেখা যাবে।
আমি রুম থেকে চলে আসতে লাগলাম।
পিছন থেকে জান্নাত ডাকদিল,''এই কদু পাগল।
আমি জান্নাতের দিকে ঘুরলাম।
জান্নাত:আপনার ঘড়িটা অনেক সুন্দর।
আমি একটা হাসি দিয়ে চলে আসলাম।
আমি বাইরে এসে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
আর জান্নাতের কথা ভাবছি।মেয়েটা সত্যিই একটা পাগলি।বয়স বাড়লেও আচরণটা সেই ছোট শিশুদের মতো আছে।
ভাইয়া আমাকে ডাকদিল।আমি ভাইয়ার কাছে গেলাম।
ভাইয়া:tnx
আমি:হঠাৎ tnx?
ভাইয়া:তুই আমার মান-সম্মান বাচালি তার জন্য।
আমি:আমি তোর মান-সম্মান বাচালাম মানে?
ভাইয়া:আরে ওই যে,তখন ওই ১কেজি মিষ্টি খাইলি না।ওটা যদি তুই না খাইতি তাহলে তো আমার মান-সম্মান সব হারিয়ে যেত।
আমি:শালার ঢেঁরস ওটা তোর জন্য নয়,আমার জন্য ফাঁদ পাতাছিল(আস্তে আস্তে)
ভাইয়া:কিছু বললি?
আমি:তোর ওসব tnx তোর কাছেই রাখ।গুনেরতো নুন নেই আবার বিয়ে করতে আসছে।
এটা বলে আমি চলে এলাম পিছনে আর ঘুরে তাকাইনি।ভাইয়া হয়তো এখন রেগে গিয়েছে।
হঠাৎ একটা পিচ্চি ছেলে দৌঁড়িয়ে এসে বললো,''ভাইয়া ভাইয়া জান্নাত আপু পড়ে গিয়েছে।জান্নাত আপু সিঁড়ি থেকে নিচে পড়ে গিয়েছে।
কথাটা শুনে আমি চমকে উঠলাম!
আমি:এইটা তুমি কি বলছো?
বাচ্চা:আমি ঠিকই বলছি ভাইয়া।তুমি তাড়াতাড়ি চলো।
আমি তাড়াতাড়ি করে বাচ্চাটার সাথে চলে গেলাম।গিয়ে দেখলাম,জান্নাতের বান্ধবীরা জান্নাতকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।জান্নাতের জ্ঞান নেই।
মাথা দিয়ে প্রচুর রক্ত পড়ছে।
চলবে,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...