বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
দৌড়াতে দৌড়াতে সামনে দেখি তামিম।আমি তামিমকে বললাম,"দৌড়া তামিম।"
তামিম বললো,"কেন?"
আমি বললাম,"আরে দৌড়া তো।"
তামিম রনি ভাইয়ের দৌড়ানো দেখে দৌড় দিল।রেহনুমা আপুর বাসার সামনে এলাম।তুবা, লাকি আপু আর রেহনু আপু বসে গল্প করছে।তুবা বললো,"এই ইসরাত দৌড়াও কেন?"
আমি বললাম,"জানু ওখানেই থাকো বের হও না যেন।"
সামনে তানিম ভাই পড়লো।আমি বললাম,"তাইনা ভাইয়া দৌড়ান।"
তানিম ভাই বলল,"কেন?"
"দৌড়ান ভাইয়া।"
তানিম ভাই দৌড়ালো না।দাঁড়িয়ে থাকলো।এর মধ্যে তারিন, রিশু,রিদি, শাহরিয়ার আর ফারহান এসে তানিম ভাইকে ঘেরাও করলো। আমরা একটু দূরে গিয়ে থামলাম।তানিম ভাই বললো,"কি হলো তোমরা থামলে কেন আর এভাবে আমাকে ঘেরাও করছো কেন?"
রিশু বললো,"ওরা পালিয়েছে কি হয়েছে আপনার থেকে সব খাবো
তানিম ভাই বললো,"কি খাবে ?
রিদি বললো,"রেস্টুরেন্টে যেয়ে।সব টাকা।"
তানিম ভাই বললো,"ওমা ,ইসরাতের কথায় দৌড়ানো লাগতো।"
তানিম ভাই জোর সাইড কেটে আমাদের দিকে দৌড় দিল।আমরাও দৌড় দিলাম।সাথে সাথে ফারহান, রিদি,রিশু,শাহরিয়ার, তারিন এরাও।সামনে ফাহাদ পড়লো।মোজাহিদ বললো,"আরে ভাই দাঁড়িয়ে আছেন কেন?দৌড়ান।"
"কেন
"পরে বলছি ভাইয়া দৌড়ান।"
এই বলে মোজাহিদ ফাহাদের হাত ধরে দৌড় দিল।আমি মোজাহিদ আর তামিম এক জায়গায় গিয়ে লুকালাম।একটু পরে সুযোগ বুঝে বাসায় গেলাম।সেদিন আর বের হলাম না।
পরদিন সকালে বের হলাম।বের হয়ে মোজাহিদের সাথে দেখা।এরই মধ্যে রিশু কল দিল ওখানে যেতে একটা বিপদে পড়েছে।আমরা ভাবলাম ছোট ভাইবোন বিপদে পড়েছে যাই।ভেতরে ঢুকেই বেহুশ হয়ে গেলাম।যখন হুশ আসলো আঃ আমি হাত পা নড়াতে পারছি না চোখ খুলে দেখি চেয়ারের সাথে বেঁধে রেখেছে।ওয়াশে দেখি মোজাহিদ।আমি ডাকলাম,"এই নুকলু উঠ।এই নুকলু এই মোজাহিদ।"
মোজাহিদ একটু একটু করে চোখ খুলে তাকাতেই চমকে গেল।আমাকে বললো,"কিরে এইভাবে কে রেখেছে।"
তারিন নাচতে নাচতে আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বললো,"হু হা হা হা।কালকের কথা মনে আছে!হু হা হা।"
রিশু কোমর নাচাতে নাচাতে আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বললো,"হা হা হা আপ্পু,ভাইয়া হাহা।কালকে পালানোর শাস্তি।"
রিদি আমাদের দিকে এসে কমলা মুখে দিয়ে শয়তানি হাসি দিতে লাগলো।তারপর তিনজন নাচতে নাচতে আমাদের চারদিকে ঘুরতে লাগলো।এরই মধ্যে শাহরিয়ার এসে মোজাহিদের চুল টানতে টানতে বললো,"বাহ ভাইয়া দারুন চুলের কাটিং
আমি বললাম,"ছেড়ে দে।"
তারিন বললো,"এত সহজে না।"
মোজাহিদ বললো,"কি করলে ছেড়ে দিবে?"
শাহরিয়ার বললো,"টাকা দেও।আপু তোমার ব্যাগ কই?টাকা কই?"
রিশু বললো,"আরে দেখছিস না আপু আজকে প্যান্ট পড়েছে।আপুর প্যান্টের পকেটে টাকা।হাহা হা
রিদি বললো,"হা হা দেখি দেখি আপুর পকেট।"
আমি বললাম,"একদম হাত দিবি না।আমার জামাতেই হাত দিবি না।"
রিশু বললো,"আরে আপু তুমি কামিজ পড়েছ এইজন্য জামাতে হাত দিতে হবেই।না হলে পকেট পাবো কি করে
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...