বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
পর্ব ২
লেখকঃ প্যারানরমাল শাহারিয়ার
# গল্প পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনাঃ
১/ গল্পটা অবশ্যই রাতের বেলা পড়তে হবে;
২/ পড়ার সময় জানালা খোলা থাকবে;
৩/ আশে-পাশে যেন কেউ থাকে না;
৪/ মোবাইল বা পিসির ব্রাইটনেস কমান আর গল্প উপভোগ করুন।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা!!! আমি হাজির হলাম জিজেসদের নিয়ে লেখা এই গল্পের ২য় পর্ব নিয়ে। চলুন শুরু করি...
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
তারপর বন্ধ হয়ে গেল এর্লাম।হুহ! এই সুযোগে তানিম্বাইও লিফটে পগার পার। এমন বিদ্যুৎ সময় চলে গেল। তানিম্বাই এখন লিফটে আটকা পড়ে গেল। প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে লিফট থেমে গেল। "প্লিজ প্রেস দ্যা ইমারজেন্সি বাটন" শব্দ হতে থাকল। তানিম্বাই সেখানে চাপ দিলেন আর লিফটের দরজা খুলে গেল। ঠিক ৮-৯ তলার মধ্যে খুলে গেল দরজা। বের হওয়ার কোন পথ নেই তার। আমিতো জানিই না যে তানিম্বাই লিফটে আছে। ভাগ্য ভাল বিদ্যুৎ চলে আসল। লিফট আবার ঝাঁকুনি দিয়ে চলা শুরু করল। ৭ তলায় থেমে গেল। তার সামনে একটা সুন্দরি আপু এসে হাজির। কি ভেবে তানু ব্রও জানি লিফট থেকে বের হয়ে গেলেন
তানিম্বাই ৭তলা থেকে পায়ে হেটে বাড়ি গেল। এদিকে সোহানও আমার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে বাড়ি চলে গেল।
কাল...
মিটিং শেষে সিধান্ত হল শীতলক্ষ্যা নদীতে বেড়াতে যাব। তো মিটিং শেষ করে বাসায় ফিরলাম। পড়ালেখা শেষ করে ভাত খেয়ে জিজেতে আড্ডা দিলাম। তারপর দিলাম একটা কয়েক মিনিটের ঘুম। সূর্যটা মনে হয় তাড়াতাড়ি উদয় হল। প্রতিদিনই একই কান্ড ঠিক সকাল সাতটায় আমি আর রিদি উঠে পরলাম বাসে। সাথে কিছু জিজেতো আছেই। সবাই অবশ্য এখনও আসেনি তবে ব্যাপার না এই কয়েকজনেই পুরা বাস চষে ফেলব। বাসে লাফা-লাফি, দাপা-দাপি করলাম সবাই মিলে। বুড় জিজেসরা(কলেজ পড়ুয়া) আসার পর তা অবশ্য আর হয়ে উঠেনি। জাম ব্র, লুমি ভাই, সুস্মিতা আপু, লাকি আপু এরা আসল দেরি করে। তখন তো বাস ছেড়েই দিয়েছিল। সবাই দৌড়াতে দৌড়াতে বাসে উঠল।
বাস রওনা দিল পৌনে ৮টায়। বাসে হেব্বি হই-চই হচ্ছে।
এদিকে বাসে,
মাহমুদঃ সবাই শুরু কর হই-হই পই-পই, গানওয়ালা গেলা কই-ই-ই-ই??
সিয়ামঃ এই যে এখানে! ও মধু হই হই তুমি কই গেলা রে∫∫ ও মধু হই...
রিদাঃ এহ! আসছে ফাটা বাঁশের সুর নিয়া গান গাইতে তোমরা গান বন্ধ কর, আমারা গানের কলি খেলছি
সবাইঃ
কাজেই তারা গান বন্ধ করল। সব ছেলেরা বসে বসে বোর হচ্ছিল। তাই কেউ জাইম ভ্র এর সাথে এনিমে দেখছে; কেউ আবার মারামারিতে ব্যস্ত; কেউ আবার মোবাইলে গেম খেলছে ।
ইস্কান্দারঃ এই ভাইসব এখানে আস। মারামারি বন্ধ করওও। আস দাবা খেলি।
প্রথমে কেউ না আসায় আবার মারামারি শুরু হল। মাঝখান থেকে আমি উঠে আসলাম খেলব বলে।
ইস্কান্দারঃ তাহলে চল শুরু করি। কালো না সাদা নিবা?
আমিঃ কালো নিব
খেলা শুরু হল। আস্তে আস্তে সবাই খেলা দেখা শুরু করল; কেউবা নিজেই খেলা শুরু করল। এভাবে প্রায় ১১ঘন্টা পর অনেক মনোরঞ্জনের সাথে আমরা শীতলক্ষ্যা নদীর পাশের রাস্তায় এসে পৌঁছলাম। সূর্যাস্তের দৃশ্য নদীর পানিতে প্রতিফলিত হয়ে এক অপূর্ব মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এখন রাত হয়ে গেছে। তাই আজ আর নদী দেখা হবে না ইনশাল্লাহ আমরা কাল আসব।
ততক্ষণ থাকব নাকি এক বাংলোয়। নদীর পাশ ঘেঁষে গেছে এক বিশাল জঙ্গল। তার ভেতর আছে বাংলোটায় যাওয়ার রাস্তা। এযেন ''জঙ্গলের ভেতর আনারস''। রাস্তাটা গ্রামের মেঠো পথের মত আঁকাবাঁকা বটে। কিন্তু, পুরো পথ হালকা উঁচু-নিচু। জিজেসরা এখনো জানেনা যে তারা এগিয়ে যাচ্ছে তাদের মৃত্যুর পথে। যেখান থেকে বেঁচে ফেরা প্রায় অসম্ভব। সবাই পায়চারি করতে করতে খানিকটা পথ পারি দিল।
সবাইকে আগে রেখে হাঁটছে জাইম ব্র। হাটতে হাটতে হঠাৎই শরীরটা কেপে উঠল। ''কিসের জানি ধিরিম!! ধিরিম!! শব্দ পাচ্ছি মনে হয়?'' মনে মনে ভাবল সে। পিছনে ফিরে তাকাতেও ভয় হচ্ছে। তাও মনে সাহস জুটিয়ে পিছনে ফিরে দেখে রাস্তার পাশের সব গাছ-পালা সারি-সারি করে পড়ে যাচ্ছে। শব্দটা বাড়তে শুরু করল; আরও বাড়ল,আরও বাড়ল এভাবে করে বাড়তেই থাকল। সামনে ফিরে সে অবাক কেউ নেই সেখানে। জিজেসদের কোন হদিসই পেল না। সামনে বিস্তীর্ণ এক মাঠ দেখতে পায় সে। কিছু ছেলে মেয়ে খেলা করছে। হঠাৎ, ছেলে-মেয়েগুলো তার দিকে আস্তে লাগল আর তাদের চেহারা রক্তে ভিজে গেল। উহুহুহুহ, ভাবলেই গা হিম হয়ে যায়। জাইম ব্রতো এখন ভয়ে দেয় দৌড়। সে কি দৌড়রে বাবা! আধঘন্টা ধরে যেন দৌড়াচ্ছে অথচ এক মিনিটও হয়নি। কেন জানি তার মাটির দিকে চোখ যায়। দেখে মাটি রক্তে ভিজা। এযেন আর আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথ নয় বরং, কবর। হ্যাঁ, কবর। মানে তারা যে পথ দিয়ে যাচ্ছে সেটা কবর। এক্ষুনি তাকে জিজেসদের এ খবর জানাতে হবে। তাই সে আরও জোরে দৌড়ায়। কিন্তু, কোথাও তাদের খুঁজে পায় না। হঠাৎ, কিছু না বুঝতেই মাটির নিচ থেকে এক হাত তার পা টেনে ধরে আর মুখ থুবড়ে পড়ে মাটিতে। এরপর সে জ্ঞান হারায়।
এদিকে জিজেসরা হাঁটছে প্রায় ১ঘন্টা ধরে কিন্তু এখনও তারা কোন বাড়িও খুঁজে পায়নি একটু পর খবর আসে বাংলোটাতে যেতে প্রায় আড়াই ঘন্টা লাগবে। তাহলে জাইমের কি হল??? একটু পর দেখা গেল জাইমকে হেটে আসছে পিছন দিক থেকে। সাথে মাথায় একটা কালো কাপড়। কিন্তু, কেমন জানি একটা খটকা লাগল সে এনিম দেখছে না কেন?? এযেন সেই জাইম নয় যাকে জিজেসরা জানত; এমনকি একটু আগেও জাইম হাটার সময় এনিমে দেখছিল। আরে এতো ছদ্মবেশি জাইম নয়। কে সে? কিইবা চায়?? হতে পারে কোন অশরীরী আত্মাও...
⁂পরে কি হল জানতে আগামী পর্ব অবশ্যই পড়বেন।
***আল্লাহ হাফেজ***
কি হলো আবার
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now