বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখিকাঃ তাসনিয়া তানহা
.
.
||কোনো এক বাংলা প্রাইভেটে||
•তাসনিয়াঃ কিরে তোরা কে কয়টা সৃজনশীল করসস?আমি তিনটা
•সারাঃদুইটা
•সানিয়া: তিনটা। কিরে প্রিয়া তুই কয়টা!?
•প্রিয়া: একটাও না। এই স্যারের পড়া আমার ভালো লাগে না। ইসস!! আমরা কি মেশিন নাকি?
•সানিয়া: ওইদিন কোচিং এ দেখলি না তাসু(তাসনিয়া)রে কি উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করে দাড় করিয়ে রাখলো...!
•তাসনিয়া: আর বলিস না! এর জন্যই ত পরে জৈবযৌগ ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারলাম না। কত সুন্দর করে স্যার পড়াইছিল!!
•সারা—আসলেই স্যার কত্ত ভালো কইরা বুঝাইসে! কিন্তু কালকে তো আমার বেশি ভালো লাগছে জীববিজ্ঞান স্যারের হাসিটা! কি হাসি রে বইন!
•প্রিয়া—কালকের কোষ বিভাজন কি সুন্দর কইরা বুঝাইয়া একটা হাসি দিল!স্যার এই কিশোরগঞ্জ মেডিক্যালে না পরে যে কেন ঢাকা তে চান্স পেলো না!!
•সারা— ঠিক বলসস। কিন্তু মধ্যে থাইক্কা আমিষ, শর্করা একাকার হয়ে গেছে।
•তাসনিয়া—আসলেই। তারপর আবার রুই মাছের কাণ্ড! আমার এত পছন্দের রুই! সিলেটে গিয়ে এইটা খেয়ে ত আমি পুরো ফিদা! কিন্তু....
•সারা—আর রুই মাছ। আমার আম্মু তো রুই মাছ একদম পছন্দ করে না। কিন্তু ইলিশ মাছ যেনো কি?
•প্রিয়া—ধুত্তুর তোর ইলিশ মাছ। স্নেহ পদার্থ টা বলতে গিয়ে মাছ মিষ্টি একাকার হইয়া গেলো!!
•নিরা—আর বলিস না। রাজশাহীর আমের বারোটা বাজাইয়া ফেলছে। কই রসায়ন আর কই আম! বলে কিনা আমে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। আমি মানি না।
—কিরে বৃষ্টি কিছু বুঝলি! কই ছিল আমাদের সৃজনশীল আর কই রাজশাহীর আম! (ফিসফিস করে বললো সানিয়া)
দুজনেই মুখ টিপে টিপে হাসছে!!
ইতোমধ্যে স্যার চলে আসলো। আর বাকিরা সারা বাংলাদেশ ঘুরে রুমে চলে আসল।
.
.
.
এটাই দুরত্ব আর সরণ!
মেয়েগুলি কথা কইতে কইতে ১৪৭৫৭০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করলেও সরণ কিন্তু মাত্র শূন্য (০) কিলোমিটার!!
এই যা! আমিও তো গল্পের সাথে পদার্থবিজ্ঞান কে মিলাইয়া ফেলছি। যাই হোক মেয়ে তো.....!!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...