বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
বোরকাওয়ালি পিচ্চি বউ ২
"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান FAHAD (০ পয়েন্ট)
X
-- আম্মু তুমি যা ভাবছো তা ঠিক না আমি ওই পিচ্চি টাকে বিয়ে করতে পারবো না । (আমি)
আম্মু অনেকটা রাগি সুরে বলল
-- চুপ এখন অনেক বড় হয়ে গেছে একবার দেখলে তোর নিশ্চয়ই পছন্দ হবে । (আম্মু )
আর কোনো কথা বললাম না চুপ করে বসে রইলাম।
হঠাৎ করে খালামনি উঠে গেলেন । তারপর দেখলাম একটা রুমে ডুকলেন ।
আর খালু আমাকে বললেন
-- বাবা কিছু মুখে দাও (খালু)
-- না খালু আমি খেয়েই এসেছি । (আমি )
তারপর ওনি হেসে হেসে আম্মুর সাথে কথা বলতে লাগলেন ।
সেদিকে আমার কোনো খেয়াল নেই । আমার মাথায় একটাই চিন্তা
ওই পেতনিটাকে নিয়ে । ছোটবেলায় আগে বেড়াতে আসলে আমাকে এত জালাতো যে আমি ইচ্ছে করেই খালাদের এখানে আসা বন্ধ করে দেই ।
তারপর অনেক দিন দেখা হয়নি । জানি না এখনো পড়ালেখা করে কিনা ।
এখন তো চেহারাটা দেখতে কেমন তাও ভুলে গিয়েছি ।
ছোটবেলায় অনেক কিউট ছিলো । আমি মাজে মাজে ওর গাল ধরে টানতাম ।
জানি না এখনো আগের মতো কিউট কিনা
যেমন ই হোক আম্মু র পছন্দ ই আমার পছন্দ
হঠাৎ করেই খালামনি রুম থেকে বের হলো
সামনের দিকে তাকিয়ে আমার চোখ কপালে উঠে যায় ।
এটা কি করে সম্ভব । কি করে এতটা বদলে গেলো । সে ।
একনজরে তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে ।
কারন মেয়েটা এমন ভাবে পর্দা করেছে যে তার সামনা সামনি বসলেও মনে হয়না ওর চোখ দুটি দেখতে পারভো।
কি অপরুপ লাগছিলো । কালো মোজা হাতে এবং পায়ে সেই সাথে এত কঠিণ ভাবে নিকাব করেছে যে সেটা ভেদ করে তার চোখ দর্ষন করার সুযোগ ও হবে না আমার ।
সবাই উঠে দাারালো আর আমি ও উঠে দাড়ালাম । আমি রীতিমত অবাক দৃষ্টিতে এখনো এক নজরে তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে ।
তারপর খালামনি ওনার মেয়েকে আমার সামনে মুখ বরাবর বসালেন
। মেয়েটা আম্মু এবং আমাকেও সালাম করলেন । আমি তো রীতিমত ক্রাস খেলাম । ওর এরকম পর্দা করা দেখে ।
আমার জিবনে এই মেয়েটাই প্রথম যাকে এরকম কঠিন ভাবে পর্দা করতে দেখলাম।
আমি চুপ চাপ বসে আছি ।
আর আড় চোখে বার বার ওর দিকে তাকাচ্ছি ।
জানি না সে কেমন দেখতে ।
তবে পর্দায় যে মেয়ে থাকে সে মেয়ে খুব মূল্যবান । আর তার মধ্যে আল্লাহর রহমত বিরাজ করে ।
জানি না কেমন হবে তবে মাসআল্লাহ আমি ওর পর্দা করা দেখেই ওকে ভালোবেসে ফেললাম মনে হয় ।
হঠাৎ করে আম্মু খালামনি কে বলল
-- কিরে মেয়েকে এরকম পর্দায় আনলি যে ।(আম্মু)
-- আসলে আমার মেয়ে ভেবেছিলো তোদের সাথে আরো তোর ছেলে বাদেও তোর ছেলের বন্ধুরাও আসবে । তাই এরকম পর্দায় আসচ্ছে । কারন ও পর পুরুষ এর সামনে বেপর্দায় চলতে পছন্দ করে না । তাই (খালামনি )
আম্মু হেসে বলল
-- এবার তাহলে একটু দেখা তোর মেয়েকে কতদিন দেখিনাই । (আম্মু)
তারপর খালামনি ওনার মেয়ের নেকাব টা আস্তে করে তুলে দিলেন ।
আমি সামনের দিকে তাকিয়ে মেয়েটাকে দেখে থমকে যাই ।
অবাক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থাকি ।
জানি না এই রুপের বর্ননা কিভাবে দিবো
কিন্ত যতই বলবো ততই কম মনে হবে ।
গায়ের রং ধব ধবে ফর্সা । ইনোসেন্ট কিউট বেবি ফেস । চোখ দেখে আমার চোখ ঝলছে যাচ্ছে ।
চোখে কাজল দেওয়ায় । আরো বেশি মায়াবি লাগছে ।
আম্মুতো দেখেই বলে উঠলো মাসআল্লাহ কি অপরুপ দেখতে রে তোর মেয়েটা। আমার ছেলে খুব লাকি যে এমন একটা বউ পাবে । (আম্মু)
আমি আম্মুর কথা শুনে কিছুই বলতে পারলাম না । কারন আমার তো অনেক বেশি ভালোলেগেছে ।
তাই চুপ চাপ মাথা নিচু করে বসে ছিলাম।
হঠাৎ করে খালু বললেন ।
-- তোমাদের কোনো কথা থাকলে বলতে পারো । শত হলেও দুজনের মতামতের ও একটা বেপার আছে । কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে তো আর কিছু করা যায়না । (খালু)
আমি কিছু বলতে যাভো ঠিক তখন ই মেয়েটা বলে উঠলো ..
-- আমার কিছু কথা আছে ওনার সাথে (সোনিয়া)
সবাই ওর দিকে এমন ভাবে তাকালো যেনো মনে হলো ওরা আগে কখনো এমন কথা শুনেনি ।
আমি অবশ্য খুশি হয়েছি। যাক একটু আলাদা ভাবে কথা বলা যাবে তাহলে ।
তারপর আমাদের দুজনকে একটা রুমের মধ্যে দিয়ে আসা হলো ।
দুজনে সামনা সামনি দাড়িয়ে আছি এখন কি বলবে বুজতে পারছি না
ও সরি আপনাদের তো ওর নাম ই বলা হয়নি ।
মেয়েটার নাম সোনিয়া তাবাচ্ছুম ।
নিরবতা ভেঙে মেয়েটা বলল
-- এতদিন কোথায় মরছিলি কুত্তা (সোনিয়া)
কথাটা শোনা মাত্র আমি ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকাই । বুজতে পারলাম পিচ্ছিটার পাগলামি এখনো যায়নি । আগের মতোই আছে ।
আমি একটু অবাক হয়ে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বললাম
-- এসব কি বলিস আমি তো বড় আর তুই আমাকে তুই তাই করে বলস (আমি)�
-- একশোবার বলবো তোর কি তাতে (সোনিয়া)
-- আমাকে বলছিস আবার আমার কি মানে (আমি)
-- হু (সোনিয়া)
-- কি হু (আমি)
-- কিছুনা (সোনিয়া)
এবার সাহস নিয়ে বললাম
-- এই পিচ্ছি আমাকে বিয়ে করবি (আমি)
-- ওই ওই কি বললি তুই আমি পিচ্চি (সোনিয়া)
-- কই না তো তুই কতো বড় হয়ে গেছিস দেখ (আমি)
-- হু ঢং (সোনিয়া)
-- সেটা আবার কি (আমি)
-- কিছুনা (সোনিয়া)
এবার একটু বিরক্তি নিয়ে বললাম
-- ধুর বিয়ে করতে রাজি কিনা বল না হলে চলে যাই (আমি)�
সাথে সাথে ও আমার কলার ধরে বলে
-- প্রেম করছ কয়টার সাথে সত্যি করে বল (সোনিয়া)�
-- আরে আরে কি করছিস ছাড় বলছি (আমি)
-- না আগে বল কয়টার সাথে প্রেম করস (সোনিয়া)
-- ধুর কারো সাথে প্রেম করি না (আমি)
সাথে সাথে আমাকে জরিয়ে ধরলো .....খুব শক্ত
হঠাৎ করে মেয়েটা আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ...?
আমি লড়তেও পারছিলাম না ।
হঠাৎ এমন করছে কেন তা বুজতে পারছিলাম না ।
একটু পর দেখি আমার বুকের ভেতর কিল মারতে শুরু করলো
আমার শার্ট টাও ভেজা ভেজা লাগচ্ছে ।
বুজতে পারলাম মেয়েটা কাদচ্ছে ।
কিল মারতে মারতে বলছে
-- কুত্তা আমার সাথে এতদিন কথা না বলে থাকতে পারলি তুই (সোনিয়া)
কথাটা শুনে খুব হাসি পেলো তাই হেসে হেসে জবাব দিলাম
-- হমমম কি করবো তুই তো তখন শুধু জালাতিস আমাকে তাই (আমি)
-- একটু জালাতন করতাম তাই এভাবে রাগ করে ছেড়ে চলে যাবি বুজতে পারি নাই (সোনিয়া)
-- কি একটু জালাতি সারাদিন আমাকে জালিয়ে মারতি (আমি)
-- তো কাকে জ্বালাবো ..? ছোট বেলা থেকেই তুই ছাড়া অন্য কোনো ছেলের সাথে আজ পযন্ত কথাও বলি নাই শুধু তুই মাজে মাজে আমাদের বাড়িতে আসতি তখন তোর চিন্তা ছারা আর মাথায় কিছু থাকতো না । তোর সাথে একটু দুষ্টামি করতাম .....কারন...? (সোনিয়া)
-- হমমম বলেন থেমে গেলেন কেনো ..(আমি )
-- কারন আমি আপনাকে ছোট বেলা থেকেই অনেক বেশি ভালোবাসতাম বুজসেন (সোনিয়া)
কথাটা বলেই আমার বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলল ।
আর আমি ওর এইরকম বাচ্চাদের কান্ড দেখে হাসতে হাসতে বললাম .
-- হমমম বুজলাম ছোট বেলায় ভালোবাসতেন এখন কি বড় হয়েছেন ....? এখনো তো ছোটই আছেন (আমি)(একটু রাগানোর জন্য বললাম )
কথা টা শুনেই আমার বুকের মধ্যে থেকে মাথা তুলে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে বলল ..
-- দুই দিন পর তোর বাচ্চার মা হবো আর তুই আমাকে ছোট বলিস কুত্তা ..(সোনিয়া)
-- হিহিহি তাই নাকি (আমি)
-- আচ্ছা এখনো পড়ালেখা করিস ..?(আমি)
-- না বাচ্চাদের ঘরে কুরআন শরিফ পড়াই তার বদলে যা হাদিয়া পাই তাই আমার নিজের হাত খরচ (সোনিয়া)
-- তো পড়ালেখা করিস নি কেনো (আমি)
তখন সোনিয়া আর ও শক্ত ভাবে জরিয়ে ধরে বলল
-- এত পড়ালেখা করে কি হবে কুরআন শরিফ এর হাফেজা হয়েছি আর তাছাড়া আমি আপনাকে নিয়েই রোজ স্বপ্ন দেখি আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর কাছে নামাজ পরে আপনার জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহ তায়ালা আমার দোয়া কবুল করেছেন তাইতো এখন আপনাকে স্বামি হিসেবে পেতে যাচ্ছি (সোনিয়া)
ওর কথা শুনে আমি কি বলবো বুজতে পারছি না । ছোট থেকেই এত ভালোবাসে জানতাম না তো ।
জানলে তো ছোট থেকেই প্রেম করতাম ।
আর না জেনেই ভালো হইসে । বিয়ের আগে প্রেম হারাম ।
এখন সবপ্রেম ভালোবাসা বিয়ের পর করবো ।
হয়তো ওর মোনাজাতে
চলবে,,,,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now