বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আজ অনেকটা সুস্থ দিশা। সেদিন পরিস্থিতি বুঝেই সুব্রত বাবু শৌর্যকে খবর দেন। আর মন্দিরের পুরোহিত মশাইকেও নিয়ে আসেন। ডাক্তারের খোঁজে তিনি একে ওকে জিজ্ঞাসা করতে এই বাড়ির ইতিহাস জানতে পারেন। অনীশা আর অরণ্য ১৪-১৫ বছর আগে এই বাড়িতে ভাড়া আসে আর এক বছরের মধ্যেই দুজনেই মারা যায়। শোনা যায় বাড়ির ওই ঘরটাতেই অরণ্য তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মেরে নিজে আত্মহত্যা করে। সেই থেকে এই বাড়িতে যখনি কোনো বাচ্চা সমেত দম্পতি আসে তারাই এ ধরনের অশরীরীর উপস্থিতি অনুভব করেছে। বাড়ির পুরোনো মালিক সম্ভবত ব্যাপারটা জানতেন কিছুটা। তাই নিঃসন্তান সুব্রত বাবুকে বাড়িটি জলের দরে ছেড়ে দেন। কিন্তু বাড়ি বিক্রির পর আর কোনো যোগাযোগ তিনি রাখেন নি। সেদিন পুরোহিত মশাই জানান,”দেবী মন্ত্রপাঠের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হলো পিতা মাতার স্নেহ। যে স্নেহ দিশাকে ফিরিয়ে এনেছে।”
শৌর্য বললো,”তাই অরণ্য বাবার দায়িত্ব পালনে অক্ষম ছিল, তাই আমায় দেখে পিছিয়ে যায়, তবে ওদের সন্তান হয়তো পরিস্থিতির বিপাকে জন্ম নেয়নি কিন্তু মা-বাবাতো ওরাও। যাই হোক, আসি ঠাকুর মশাই। বেরোই এবার। বাড়িটায় একটা পূজো দিয়ে কিছু ব্যবস্থা করতে হবে।”
সুব্রত বাবু বললেন,”হুমম। দেখি ফিরে। উফফফ যা গেল দুটো দিন।”
সকাল হতেই দিশা ছুটে এলো বাবার কাছে। ওর বাবা বললো,”রেডি?”
“একদম। হাজার দুয়ারী যাবো তো আজ।”
“ইয়েস! ওটা দেখেই বাড়ি।”
“এখানে আর-একটু থাকি না বাবাই।”
” না মা। মামা মামীও যাবে আমাদের সাথেই। তারপর ওরা অন্য বাড়ি দেখবে।” দিশা কোনো উত্তর করলো না আর।
বেরোনোর সময়, সবাই যখন লাগেজ গাড়িতে তুলতে ব্যস্ত দিশা হঠাৎ বাড়িটার গেটের দিকে এগিয়ে গেল, দিশার চোখ দুটো চকচক করে উঠলো। ওর ঠোঁটে একটা অদ্ভুত হাসি আর চোখের মণিতে স্পষ্ট ফুটে উঠলো, দুটো ছায়া মূর্তি। তারা আর কেউ নয় অরণ্য আর অনীশা।
(সমাপ্ত)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now