বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

রক্ত মাতৃকা ২

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান FAHAD (০ পয়েন্ট)

X বাড়িটায় মোট ৬টা ঘর। নীচের তলায় একটা বিশাল বড় ড্রয়িং, ডাইনিং আর রান্নাঘর। চারটে বেডরুম সবই দোতলায়। দিশা এসে হাত পা ধুয়েই মামীর রান্না করা খাবার গুছিয়ে খেল। তারপর ওরা সবাই দোতলায় গেল। দোতলার বারান্দা থেকে পুরো বাগানটা খুব সুন্দর দেখা যায়। দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া সেরে সকলে আড্ডা দিতে বসলো দোতলার বারান্দায়। অনন‍্যা, দিশার জামাকাপড় গুছিয়ে ঘর থেকে বেরোতে যাবে, কী যেন মনে হতে পিছন ফিরে তাকালো। ওর হঠাৎ মনে হল ওর ঠিক পিছনে কেউ দাঁড়িয়ে; কিন্তু নাহ। মনের ভুল, এত বড় বাড়ি, তাও আবার পুরোনো। কেমন একটা গা ছমছমে ব‍্যাপার আছে বাড়িটায়। এত বড়ো বাড়িতে এমন ভুল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। বারান্দায় বসে দিশা বললো,”মাম মাম একটু বাগানে যাবো?” গম্ভীর গলায় উত্তর দিল অনন‍্যা, “না না, কোনো দরকার নেই, একা কোথাও যাওয়ার।” সুব্রত বাবু বললেন, “আরে বাগানেই তো যেতে চেয়েছে। যাক না।” কথাটা শুনে একগাল হেসে দিশা দৌড় দিল সিঁড়ির দিকে, অনন‍্যা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বললো,”দিশা! দিশা শোন!” “থাক না। চল আমরা ভাই বোন আড্ডা দিই একটু।” সুব্রত বাবুর কথা শুনে অনন‍্যা আর আপত্তি করলো না। খানিকক্ষণ পর অনন‍্যা হঠাৎ দেখতে পেল বাগানের এক কোণে দিশা যেন কারুর সাথে কথা বলছে। অনন‍্যা বারান্দা থেকেই চিৎকার করলো,”দিশা…! দিশা…! কে আছে ওখানে?” প্রত্যুত্তরে দিশা বললো,”কই কেউ না তো!” তাই অনন‍্যাও আর পাত্তা দিল না ব‍্যাপারটা। দিশা বাগানের বেশ কোণায় গিয়ে কিছু একটা করছিল, অনন‍্যা এবার স্পষ্ট দেখলো একজন মহিলা যেন ঝুঁকে কিছু একটা দেখার চেষ্টা করছে। অনন‍্যা আবার চিৎকার করে উঠলো, “কে?কে আছ?” বলেই ছুটে নীচে নেমে গেল। কিন্তু কেউ কোথাও নেই। অনন‍্যা দিশাকে ওর বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরলো। তারপর বললো, “ভিতরে চলো, আর নয় এখানে।” হঠাৎই চোখে পড়লো অনন‍্যার, বাগানের পাঁচিলে যেন এক আবছায়া মূর্তি মিলিয়ে গেল। অনন‍্যা দিশাকে নিয়ে ঘরে চলে এলো সাথে সাথেই। এসে দাদা বৌদিকে কথাটা বললো, দুজনেই মনের ভুল বলে উড়িয়ে দিলেন। বাগানের থেকে আসার পর থেকেই অনন‍্যা কেমন একটা চুপ হয়ে গেছে। ওর বারবার মনে হতে থাকে, কী দেখলো ও! কী ছিল ওটা! যাই হোক, আর বেশি না ভেবে খাওয়া দাওয়া সেরে শুতে গেলো ওরা।দিশাও ভোরবেলা উঠেছে, ঘুমও পেয়েছে ওর। ওপরের কোণার ঘরে ওদের শোওয়ার ব‍্যবস্থা হলো। ঘরটা উত্তর-পূর্ব দিকে, ঘরের জানালা দিয়ে একটা বড়ো শিরীষ গাছ রয়েছে। চাঁদের হাল্কা আলো ওই জানালা দিয়ে খাটে এসে পড়ে। ঘরটাতে বেশ একটা আলো আঁধারি অনুভূতির সৃষ্টি করে। দিশা এসেই বললো, “এই ঘরটাই আমার সবচেয়ে পছন্দ।” সুব্রত বাবুও বললেন, “তাই তো এই ঘরেই থাকবে তোমরা।” ঘরের মাঝখানে একটা বড়ো খাট, একটা পুরোনো দিনের আলমারি, একটা আলনা আর একটা বই-এর দেরাজ। অনন‍্যা জিজ্ঞেস করলো,”দাদাভাই এই ফার্নিচারগুলো নতুন কিনলি??” “নারে, এই ঘরের ফার্নিচারগুলো ছিলই। “ওহ। বেশ সুন্দর কিন্তু।”…বলেই অনন‍্যা হাত বোলাতে গেল আলমারিটাতে। মনে হলো কেউ এক ঝটকায় সরিয়ে দিলো ওকে। কিন্তু অনন‍্যা নিজের অনুভূতির কথা আর বললো না। কারণ কেউ তো পাত্তাই দেবে না, এই ভেবে চুপচাপ শুয়ে পড়লো। দিশা বিছানায় শুয়েই অঘোরে ঘুমিয়ে পড়েছে। সারাদিনের ক্লান্তিতে অনন‍্যারও কখন যে চোখ দুটো বুজে গেল, বুঝতে পারলো না। চলবে,,,


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫৩৩ জন


এ জাতীয় গল্প

→ রক্ত মাতৃকা ৫ (শেষ পর্ব)
→ রক্ত মাতৃকা ৪
→ রক্ত মাতৃকা ৩
→ রক্ত মাতৃকা ১

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now