বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
সালামুন আলাইকুম,,
আল্লাহর রহমতে কম বেশি সবাই ভালো আছি,
আর না থাকলে ও এখনি বলুন আলহামদুলিল্লাহ ❤️
সেটা এই কারণে আমার আপনার চাইতে ও অসুস্থ লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও নিকৃষ্ট লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও গরীব লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও অশ্লীল লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও ইসলাম বঞ্চিত লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও পাপিষ্ঠ লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও হিংসুটে লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও কৃপণ লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও জালিম লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও ভীতু লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও লোভী লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও মূর্খ লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও অভাগা লোক পৃথিবীতে আছে।
আপনার আমার চাইতে ও অভাবী লোক পৃথিবীতে আছে।
তাই গর্বের সাথে প্রতিনিয়ত আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন। আল্লাহ আপনাকে কাল কেয়ামতের দিনের সুসংবাদের জন্য সময় দিচ্ছেন। ও আল্লাহর বিধান সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তারপর ও যদি আপনি নিজেকে আখেরাত থেকে দূরে রাখতে ভালোবাসেন তাহলে নীচের দিকে পড়ার আর কষ্ট করবেন না।
আসুন নিজেকে আল্লাহর সত্যের পথে নিজেকে উৎসর্গ করি। এবং আল্লাহর ইবাদতে নিজেদের মগ্ন রাখার চেষ্টা করি। এই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি আমি যা আমল রূপে করছি, এগুলোই একমাত্র সঙ্গী হিসেবে সাথে যাবে কবরের পথ হয়ে পুলসিরাত ও হিসাব দিনের নিকট।
আপনার ছোট বড় কোনো কিছুই বাদ পরবে না সেই দিন !!
আপনি যদি মনে করে থাকেন, একটু মিথ্যা বললে কি পাপ হবে ? কারো একটু গীবত করলে কি আমি জাহান্নামের বাসিন্দা হয়ে যাবো? রাগের মাথায় কারো উপর অত্যাচার করলে, তা কি আমার জন্য অনেক বড় ক্ষতি হবে? নিজের স্বার্থের জন্য কারো হক মেরে খেলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন না?
নিশ্চয়ই আপনার সমস্ত ছোট বড় নেক আর খারাপ আমল সমুহ আল্লাহর কাছে স্পষ্ট ভাবে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে।
সূরা আল কাহফ আয়াত (৪৯)
وَ وُضِعَ الۡکِتٰبُ فَتَرَی الۡمُجۡرِمِیۡنَ مُشۡفِقِیۡنَ مِمَّا فِیۡہِ وَ یَقُوۡلُوۡنَ یٰوَیۡلَتَنَا مَالِ ہٰذَا الۡکِتٰبِ لَا یُغَادِرُ صَغِیۡرَۃً وَّ لَا کَبِیۡرَۃً اِلَّاۤ اَحۡصٰہَا ۚ وَ وَجَدُوۡا مَا عَمِلُوۡا حَاضِرًا ؕ وَ لَا یَظۡلِمُ رَبُّکَ اَحَدًا ﴿٪۴۹﴾
এবং সেদিন উপস্থিত করা হবে ‘আমলনামা এবং তাতে যা লিপিবদ্ধ আছে তার কারণে তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে আতংকগ্রস্ত এবং তারা বলবেঃ হায়! দুর্ভোগ আমাদের! এটা কেমন গ্রন্থ! ওটাতো ছোট বড় কিছুই বাদ দেয়নি, বরং ওটা সমস্ত হিসাব রেখেছে। তারা তাদের কৃতকর্ম সম্মুখে উপস্থিত পাবে; তোমার আল্লাহ কারও প্রতি জুলুম করেন না।
এই পৃথিবীতে যা কিছুই করেন না কেনো!! এবং আপনি জানা অজানা যে পাপ করেছেন, কারো উপর অযথা জুলুম করছেন, কারো আমানত কে নষ্ট করছেন, কারো চুপিচুপি ভালো করছেন, গরীব দুঃখীদের সহযোগিতা করছেন, নাকি রিয়া করছেন। তা কেউ দেখুক না দেখুক আল্লাহর নিকট তা সুরক্ষিত অবস্থায় আপনার হিসাবের দিন দেখানো হবে।
সূরা আন নাহাল আয়াত (১৯)
وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا تُسِرُّوۡنَ وَ مَا تُعۡلِنُوۡنَ ﴿۱۹﴾
তোমরা যা গোপন রাখ এবং যা প্রকাশ কর, আল্লাহ তা জানেন।
তাই অবশ্যই জীবনে যা কিছু করবেন একটু বুঝে শুনে করবেন।
এবং এই আয়াত কেবলমাত্র সতর্কবার্তা
সূরা আত- তাওবাহ আয়াত (১১৯)
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَ کُوۡنُوۡا مَعَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۱۱۹﴾
হে মু’মিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।
আপনি মনে করছেন এখন যা করার করি শেষ কালে সব পাপ বাদ দিয়ে নেক কাজ করবো যাতে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দেন?
তাহলে এটা আমার আপনাদের একটি স্বচ্ছ ভুল ধারণা।
সূরা নিসা আয়াত (১৮)
وَ لَیۡسَتِ التَّوۡبَۃُ لِلَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ السَّیِّاٰتِ ۚ حَتّٰۤی اِذَا حَضَرَ اَحَدَہُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ اِنِّیۡ تُبۡتُ الۡـٰٔنَ وَ لَا الَّذِیۡنَ یَمُوۡتُوۡنَ وَ ہُمۡ کُفَّارٌ ؕ اُولٰٓئِکَ اَعۡتَدۡنَا لَہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا ﴿۱۸﴾
আর তাদের জন্য কোন ক্ষমা নেই যারা ঐ পর্যন্ত পাপ করতে থাকে যখন তাদের কারও নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন বলে, নিশ্চয়ই আমি এখন ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাদের জন্যও ক্ষমা নয় যারা অবিশ্বাসী অবস্থায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে, তাদেরই জন্য আমি বেদনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
এমনকি আপনার কাছে কোনো অলৌকিক ক্ষমতা ও নেই যা থেকে আপনি মৃত্যু কে অপদস্থ করবেন, কারণ মৃত্যু একটি সত্য বচন।
আল্লাহ সয়ং বান্দাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রেখেছেন, তা আল্লাহই ভালো জানেন কার মেয়াদ কতটুকু, তাই নিজের জীবনের গেরান্টি ও আপনার আমার হাতে নেই,,
সূরা আল আরাফ আয়াত (৩৪)
وَ لِکُلِّ اُمَّۃٍ اَجَلٌ ۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُہُمۡ لَا یَسۡتَاۡخِرُوۡنَ سَاعَۃً وَّ لَا یَسۡتَقۡدِمُوۡنَ ﴿۳۴﴾
প্রত্যেক জাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, সুতরাং যখন সেই নির্দিষ্ট সময় সমুপস্থিত হবে তখন তা এক মুহুর্তকালও আগে কিংবা পরে হবেনা।
তাহলে আমরা কেনো এই মায়াবী ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার লোভে পরে অনন্ত কালের সেই জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবো?
কথাটি একটু ভেবে দেখবেন, যদি পৃথিবীতে আপনি কারো ভালো করার ইচ্ছে পোষণ করেন, এর ফল কাল কেয়ামতের দিন অনেক মধুর হবে ইনশাআল্লাহ।
আমি একজন অশিক্ষিত, যার ইসলামের প্রতি পুরো জ্ঞান নেই, তারপরও আল্লাহর কৃপা আমার উপর আমি উনার দেওয়া মেধা থেকে, নিজের মতো সাজিয়ে গুছিয়ে উনার তাওহীদ এর প্রচার করছি, নবীজির রেসালাত এর প্রচার করছি এবং আহলে বায়েত আঃ গণ যাদের ভালোবাসা ফরজ সেই আহলে বায়েত আঃ গণ দের উসিলায় আল্লাহ আমাকে সৌভাগ্য দান করেছেন লেখালিখি করার।
অনেকে এতো লেখালেখি দেখে পড়বে ও না,
এড়িয়ে যাবে এই টুকু বলে সময় নেই, অথবা আমি ওর থেকে ভালো জানি!!!
ভাই, আপনি জানেন ভালো কথা শয়তান থেকে একটু কমই জানেন!!
তারপরও সে জাহান্নামি, অবশ্যই জানেন কেনো ? তার ভিতরের অহংকার আল্লাহ পছন্দ করেন নি।
আপনি আর আমি কোন ক্ষেতের ফসল?
আল্লাহর আরশে থাকা ফেরেস্তা যদি শয়তানে রুপান্তরিত হতে পারে শুধু অহংকারের বিনিময়ে,,,
আমরা পৃথিবীতে কতোই না জঘন্য কাজ করি?
আমাদের কি অবস্থা হবে চিন্তা করার কি বিষয় না?
যদি এই লেখালেখি বাদে আমার পরিবারের রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ছবি আপলোড করতাম? যদি কোনো ভারতীয় নায়িকা দের গান আপলোড করতাম? যদি কোনো হাস্যকর ভিডিও আপলোড করতাম? সুখের অনুভুতি নিয়ে অনেকেই ভোগ করতেন। লাইক কমেন্ট এর ছড়াছড়ি হয়ে যেতো।
কারণ সেই গুলো আমাদের কে দ্বীন থেকে আমাদের নাফস গুমরাহ করছে, তাই সেগুলো পছন্দনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়।
কিন্তু আমিতো দ্বীনের দাওয়াত হিসেবে কিছু লিখছি, কারো হয়তো সময় নেই!! আর কারো হয়তো দ্বীন সম্পর্কে আমার চাইতে বেশি ধারণার অহংকার!! হায় আফসোস ????
শিক্ষা মানুষকে সর্বত্র জায়গা দিয়ে নেওয়া উচিত।
আমার এই লেখা পড়ে যদি কেউ ভালো পথে অগ্রসর হয়?
তাহলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো।
আর কেউ যদি নিজের অহংকারের সম্পদ নিয়ে বেঁচে থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আল্লাহর দুইটি আয়াত সম্পর্কে অবগত করবো।
সূরা আত-তাওবাহ আয়াত (১১৬)
اِنَّ اللّٰہَ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ یُحۡیٖ وَ یُمِیۡتُ ؕ وَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ ﴿۱۱۶﴾
নিশ্চয়ই আল্লাহরই রাজত্ব রয়েছে আসমানসমূহে ও জমীনে। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান; আল্লাহ ছাড়া তোমাদের না কোন বন্ধু আছে, আর না কোন সাহায্যকারী।
সূরা ইউনুস আয়াত (১৭)
فَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا اَوۡ کَذَّبَ بِاٰیٰتِہٖ ؕ اِنَّہٗ لَا یُفۡلِحُ الۡمُجۡرِمُوۡنَ ﴿۱۷﴾
অতএব সেই ব্যক্তির চেয়ে অধিক অত্যাচারী ( জালিম ) কে যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা তাঁর আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে? নিঃসন্দেহে এমন পাপাচারীদের কিছুতেই মঙ্গল হবেনা।
অবশেষে আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায়ের অনুমতি আশা করছি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
নিবেদনেঃ
Saber Hussain Roky
{ আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল লে ওয়ালিয়ে কাল ফারাজ }
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now