বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
- কেনো? আজ না তুমি বললা আমাকে বিয়ে করেছো?
- কি? আমি তরে বিয়ে করেছি মানে? তুই এখানে আসলি কি করে? আমার রুমে কি করে আসলি?
" রিতা কে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠি। সেই সাথে রিতার কথা শুনে যেনো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। বলে কি এই মেয়ে?
" রিতা তখন বলল....
- আমার ঘরে আমি না তো কে থাকবে?
- দেখ, সবসময়ই ইর্য়াকি ভালো লাগে না।
- আমি কি ইর্য়াকি করছি নাকি?
-মানে...?
" আমার কথা শুনেই রিতা পায়ে যায়। রিতাকে সরাতে চেষ্টা করলেও সরাতে পারছি না। রিতা পা জড়িয়ে ধরেই অশ্রু চোখে বলল......
- ভাই, তোর পায়ে পড়ি। তুই আমাদের সম্পর্ক টা বাঁচা।
- মানে কি??
- ভাই, তুই আমাকে বউ হিসেবে সবার সামনে মেনে নে। তাহলেই হবে.....
- কি....???
" রিতুর কথা শুনেই চমকে উঠি। বলে কি এই মেয়ে মাথা ঠিক আছে? নাকি আবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবে সেই জন্য টাকা চাওয়ার নতুন আইডি। রিতার কথা শুনে কিছুই মাথায় যাচ্ছে না সবকিছুই যেনো কেমন হয়ে যাচ্ছে। শা**** যখনই বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবে তখনি এসে বান্দা হাজির। বেশ কয়েক বার বলেছি আমি কেনো টাকা দিবো?
" আমার কথা শুনেই প্রতিউত্তরে রিতুর একটাই কথা......
- বাহ রে! তুই হলি আমার বন্ধু সেই সাথে আমার ভাই। যদিও চাচাতো ভাই তাতে কি একই রক্তের যে।
" রিতার কথা শুনেই মাঝে মাঝেই বলি....
- তোর ভাই দেখে কি টাকা দিতে হবে? আর আমার চাচার টাকা নিতে পারিস না? তোর বয়ফ্রেন্ডের কাছে টাকা চাইতে পারিস না।
" আমার কথা শুনেই দাঁত বের করে হাসি দিয়ে বলে......
- হে হে, বাবার টাকা সে কত বার নিবো? প্রতি মাসেই তো নিচ্ছি শুনতে পারলে আম্মু ঝাড়ু পেটা করবে। আর বিয়ের পর ভালবাসার মানুষের টাকাই তো আমার টাকা। তখন তোর সব টাকা শোধ করে দিবো। এখন ওর কাছে টাকা চাইবো কেনো? এখন কথা কম বলে টাকা দে.....
" রিতার সাথে কথায় না পেরে টাকা দিতেই হয়। শা** এমন হারামি বোন জীবনেও দেখি নি। রিতার সাথে থেকে রুবি টাও আজকাল কেমন হারামি হয়ে যাচ্ছে। বিয়ের পর না জানি বরের জীবন ত্যানা ত্যানা করে ফেলে।
" এই তো একদিন হুট করে দোকানে এসে হাজির। আব্বু বাসায় গেছে তখনি এসে রিতা হাজির। রিতা এসেই বলা শুরু...
- এই, অনন্ত পাঁচশ টাকা দে তো।
" রিতার কথা শুনেই চমকে উঠি। কি? এতো বড় স্পধা আমার নাম ধরে ডাকে। রিতার ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে কোনো লাট সাহেব আর আমি কর্মচারী।
" রিতার কথা শুনেই রেগে গিয়ে বললাম.....
- তোর সাহস কি করে হলো আমার নাম ধরে ডাকার? আর কিসের টাকা দিবো?
- সরি ভূল হয়েছে। ভাই পাঁচ টাকা দে তো।
- এই তো লাইনে আসছিস। যা ভাগ টাকা নেই, টাকা কি গাছে ধরে যে চাইলেই দিয়ে দিবো?
" আমার কথা শুনেই রিতা বেশ রেগে গেলো। রেগে গিয়ে বলল....
- কি টাকা দিবি নাহ?
- না দিবো না। যা ভাগ....
- দেখ ভালো হচ্ছে না কিন্তু.....
- তুই যা পারিস কর।
" আমার কথা শুনেই রিতা রেগে জোরে জোরে কথা বলতে শুরু করলো। কে জানতো তাঁর মাথায় যে এমন বুদ্ধি খেলা করছে। বেশ কিছুক্ষণের মাঝেই আশে পাশের মানুষ এসে হাজির। অবাক হয়ে রিতার কান্ড কারখানা দেখছি তখনি রিতা সবার কাছে বললো আমি নাকি এক হাজার টাকার নোট ভাঙানোর জন্য দিলেও তাঁর টাকা ফিরত দিচ্ছি না।
" রিতার কথা শুনেই থ বনে গেলাম। কি বলে এই মেয়ে? আমার কথা কেউ তখন বিশ্বাস করছে না। প্রমাণ স্বরুপ একহাজার টাকার নোট যে ড্রয়ারে রেখেছি সেটাও বললো।
আমার মাথায় কিছুই কাজ করছে না। তখন বুঝতে পারলাম যখন একহাজার টাকার নোট রেখেছি তখন সেটা খেয়াল করেছে। কিছুক্ষণ পরেই আব্বু এসে হাজির। শেষমেশ যখন আব্বু শুনলো তখন হেঁসেই শেষ। অবশ্য আব্বু বুঝতে পেরেছিলো।
" সেই থেকে রিতার অনেক কান্ডর সাক্ষী। এই মেয়েকে বিশ্বাস করা যায় না। কি জানি আবার কোন মতলব নিয়ে এসেছে।
" কোনো কিছু না ভেবেই মানিব্যাগ রিতার হাতে দিয়ে বললাম......
- ভাই,তোর হাতে ধরি। যা টাকা লাগে এখান থেকে নিয়ে যা। লাগলে আরো দিবো..যেখানে ইচ্ছে বন্ধুদের সাথে ঘুরে আয়। বাসায় যা বলার আমি বলবো তুব এমন ইর্য়াকি করিস না। দেখ এমনি ভয়ে আর টেনশনে আছি।
" আমার মানিব্যাগ আমার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বলল.....
- রাখ তোর টাকা। আগে আমাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার কর। তা না হলে আমি সবাই কে বলে দিবো তুই বিয়ে করেছিস আমাকে।
- তুই এমন করছিস কেনো? কি হয়েছে?
" আমার কথা শুনেই রিতা বলতে শুরু করলো.....
" তোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বান্ধবী দের সাথে আড্ডা দিতে আইসক্রিমের দোকানে চলে যায়। সেখানেই গিয়েই তো যত ঝামেলা হয়েছে।
- কি...?
" রিতার কথা শুনেই চোখ বড় বড় করে জানতে চাইলাম। রিতা তখন কান্না কান্না কন্ঠে বলতে শুরু করলো...
" কে জানতো তোর হবু বউ এমন ডাইনী? হঠাৎ করেই ইতি রাতুলকে দেখিয়ে দিলো। রাতুলকে দেখেই চমকে উঠি। সাথে তোর হবু বউ....কি যেনো নাম.???
" ওহ! ঈশিতা। রাতুলের সাথে বসা। দেখেই রাগ ওঠে গেলো। কি? আমার সাথে ফ্লাট করছে? আমার আড়ালে অন্য মেয়ের সাথে তাও আবার তোর হবু বউ? কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারে নি।বেশ রেগে গিয়ে রাতুল কে বললাম...
- আমার আড়ালে অন্য মেয়ের সাথে? ছিঃ তোর লজ্জা করে না?
" আমার কথা শুনেই ঈশিতা চমকে উঠে। ঈশিতার মামাতো ভাই রাতুল কে জানতো? রাতুল যখন সব খোলে বললো তখন কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। ঈশিতা আমার সম্পর্কে সব জেনে বেকে বসলো। কোন ভাবেই সে বেঁচে থাকতে এই বিয়ে হতে দিবে না। রাতুলের আব্বু ঈশিতাকে অনেক ভালবাসে অনেক আদর করে। শেষে উপায় না পেয়ে সব কথা খোলে বললাম। আর হাতে ধরে ক্ষমা চাইলাম এমন ভুল হবে না। এমন মেয়ে যে আমাকেও হার মানতে হলো। বস তোর কপালে শনি আছে। এই মেয়ে তোর পিছু লেগেছে।
" রিতার সব কথা চুপ হয়ে গেলাম। হাত থেকে মানিব্যাগ টাও পড়ে গেলো। এ কোন মেয়ের পাল্লায় পড়লাম?
" রিতার দিকে বেশ ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে জানতে চাইলাম......
- কিন্তু তুই এখানে কেনো? আর ঈশিতা কি চাই...?
- ঈশিতাই নিয়ে এসেছে। আর হয় আজকে সবার সামনে সত্যি টা বলে বলবি আর ঈশিতাকে বিয়ের জন্য রাজি হবি। নয়তো আমার রাতুলকে হারাতে হবে।
- আমি পারবো না।
" রিতার কথা শুনেই সাথে সাথে না করে ফেললাম। যে মেয়ে বিয়ের আগেই এতো পাল্টি খেতে পারে বিয়ের পর কি জানি কি করে বসে? আর প্রথম বারই তো বলে দিয়েছে গ্রামে বিয়ে বসবে না।
" আমার কথা শুনেই রিতা পায়ে পড়ে গেলো। পায়ে পড়ে বলতে লাগলো....
- ভাই, তোর পায়ে পড়ি। প্লিজ না করিস না। তুই ঈশিতা কে বউ করে মেনে নে।
" রিতার কথা শুনেই ভাবছি" এ কোন বিপদে পড়লাম? কোন মেয়ের পাল্লায় পড়লাম?
" হঠাৎ করেই বাহির থেকে আম্মুর ডাক শুনতে পেলাম। দরজা খোলতে বার বার চিৎকার করে যাচ্ছেন। কিছু বলার আগেই রিতা গিয়ে দরজা খোলে দিলো।
" একে একে আম্মু আব্বু, চাচ্চু,রুবি আর সবশের্ষ সেই পেত্নী মানে ঈশিতা এসে হাজির। সবাই চুপ করে চিড়িয়াখানার বাদর দেখার মতো আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। আম্মু এসেই হুংকার দিয়ে জানতে চাইলো.....
- কি শুনছি এইসব? ছিঃ তুই এমন করবি ভাবতেও পারেনি।
" আম্মুর কথা শুনেই একবার রিতার দিকে আবার ঈশিতার দিকে তাকালাম। তারপর আম্মু কে বললাম.....
- আম্মু,তুমি কি........................
চলবে
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now