বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
- কি? এতো মনোযোগ দিয়ে কি দেখছেন?
- কিছু না।
- ঈশিতা আর ছেলে টিকে পাশাপাশি বেশ মানিয়েছে তাই নাহ!
" নীলিমার কথা শুনেই বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। যেনো বুকের বুকের মাঝে কেউ আঘাত করছে। যাকে নিয়ে রোজ স্বপ্ন দেখা সেই মানুষ টিকে অন্য কারো পাশে দেখবো সেটা তো ভাবতেই পারেনি। গলায় কেউ যেনো ধরে রেখেছে। কথা বলতে গিয়েও কথা বলতে পারছি না।
" নীলিমার দিকে তাকিয়ে ধরুধরু কন্ঠে মাথা নাড়িয়ে বললাম....
- হে, অনেক সুন্দর মানিয়েছে।
- জানেন, আমি অনেক বার বলেছি। তবে আমার কথা বিশ্বাস করতে চাই না। সেই কবে দেখে বলছি তোরা দুজনে অনেক তো প্রেম করলি লুকিয়ে লুকিয়ে এখন বিয়ে টা করে ফেল।
" নীলিমা আমার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলতে থাকে। যেনো কাটা গায়ে নুনের ছিটা!"
" নীলিমার কথা গুলো ঠিক এই মূহুর্তে মন যেনো কাটার মতো বিধ করছে। কিছু বলতেও পারছি না,আবার চুপ করেও থাকতে পারছি না। নীলিমা কথা গুলো বলছে আর মুচকি মুচকি হাসছে যা আমার কাছে অসহ্য লাগছে।
ঈশিতা ছেলেটির হাত ধরে ধরে হাসি মুখে সামনে এসে দাড়ালো। যা দেখে শরীর জ্বলে যাচ্ছে, ইচ্ছে হচ্ছে কান বরাবর একটা চড় দিয়ে জিজ্ঞেসা করি....
- সেদিন তো বড় গলায় বলেছিলে লাইফে কেউ নেই। তাহলে এই ছেলে কে? আর এতো হাত ধরেই হাঁটার ইচ্ছে কেনো? নাকি আমাকে দেখানোর জন্য?
" ঈশিতার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখে অন্য দিকে তাকাতেই ঈশিতা বলে উঠলো....;
- সরি, আসতে একটু দেরি হয়ে গেলো। প্লিজ কিছু মনে করবেন না।
- না না ঠিক আছে। কোথায় দেরি হলো?
- আচ্ছা, পরিচয় করিয়ে দেই। ও হচ্ছে.....
- থাক,ঈশিতা আমি বলেছি।
ঈশিতা বলতে চাইলে নীলিমা বাঁধা দিয়ে বললো। নীলিমার কথা শুনেই হাসি মুখে ঈশিতা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বললো......
- রাসেল, ও হচ্ছে অনন্ত। যাকে তোমার কথা বলেছিলাম।
" ওহ! তাঁর মানে ছেলেটির নাম রাসেল। আমার কথা আগেই বলে রেখেছে। বাহ! ভাবা যায়, আর এটা বললো না তাদের মাঝে এতো সুন্দর সম্পর্ক আছে।
" মনে মনে কথা গুলো বলে যাচ্ছি তখনি ছেলেটি হাত বাড়িয়ে দিলো। ভদ্রতার জন্য আমিও হাত বাড়ালাম। ওয়েটার কে বলে খাবার দিতে বললাম।
" ঈশিতা ছেলে টিকে কত নামে ডেকে যাচ্ছে। সেটা দেখে গা জ্বলে যাচ্ছে। আর নীলিমা শুধু মুচকি মুচকি হাসছে। ভদ্রতার জন্য আমিও মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়ে যাচ্ছি।
- বাবু, এই টা খাও। ওই টা খাও.....
" ঈশিতার বত্রিশ দাঁতের বাবুকে দেখে গা জ্বলে যাচ্ছে। ভাবছি কখন এখানে থেকে যেতে পারবো। আমাকে দেখিয়ে যেনো আরেকটু আদর ঢেলে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে। শুধু বত্রিশ দাঁতের বাবু টাকে নিজের মুখে চিবিয়ে খাইয়ে দিতে পারছে না।
" ঈশিতার কান্ড গুলো দেখে হাত গুলো নিষপিষ করছে যদি পারতাম চর দিয়ে বত্রিশ দাঁতের বাবুর দাঁত গুলো ফেলে দিতাম। যেনো চিরতরের জন্য বাবু হয়ে যায়।
- জান, তুমি এখানে বসে আড্ডা দিচ্ছো? আমি তোমাকে খুঁজে খুঁজে হয়রান।
" হঠাৎ করেই কে যেনো পিছনে এসে কথা গুলো বলে জড়িয়ে কাঁধের উপর হাত রাখলো। মেয়ের কন্ঠে কথা শুনেই পিছনে ফিরে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলাম।
- এ কি? এনি আবার এখানে কোথায় থেকে এলো?
" রিতাকে দেখে মনে মনে কথা গুলো বলতেই সবাই ওর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। এমন ভাবে কেউ এসে আমাকে বলবে কে ভাবতে পারলো?
" রিতাকে দেখে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম....
- না গো, তোমার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। হঠাৎ করেই এদের সাথে দেখা হয়ে গেলো।
- দেখো মিথ্যা বলবে না। আমি কিন্তু অনেক রেগে যাচ্ছি।
" রিতার অভিমানী রগ দেখে ওঠে রিতার কাছে গিয়ে বললাম....
- লক্ষীটি রাগ করে না। এই শেষ বার আর ভূল হবে না।
- ওয়েট ওয়েট, কে এই মেয়ে....??
" রিতা কিছু বলতে যাবে তাঁর আগেই ঈশিতা নিজের চেয়ার ছেড়ে দিয়ে কিছুটা রেগে গিয়ে জানতে চাইলো। ঈশিতা তো ভাবতেই পারছে না। আর ঈশিতা কি করে ভাববে আমি নিজেও ভাবতে পারছি না যে রিতার সাথে এমন ভাবে দেখা হয়ে যাবে।
"ঈশিতার কথা শুনেই রিতা বললো....
- জান কে এই মেয়ে যে আমার সম্পর্কে এমন ভাবে জানতে চাচ্ছে??
- তোমাকে বলেছিলাম নাহ! যে বাসা থেকে একটা ডাইনী আর পেত্নীর সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এই সেই মেয়ে, ভাগিস্য তোমার মতো লক্ষী বউ আছে আমার। নয়তো.......
- কি? আমি ডাইনী, পেত্নী??
" আমার কথা শুনেই ঈশিতা রেগে গিয়ে তেড়ে আসলো। যেনো পারলে আমাকে এখনি গিলে খাবে
তবে এই মূহুর্তে ঈশিতা কে রাগাতে পেরে বেশ ভালোই লাগছে। কিছুক্ষণ আগের কাটা গায়ে নুন ছিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ টা নেওয়া হয়ে গেলো।
" ঈশিতা দেখতে যথেষ্ট সুন্দর আর রেগে যেনো লাল টকটকে বর্ণ ধারণ করেছে। ঈশিতার হাত থেকে রক্ষার জন্য রিতা ঢাল হয়ে সামনে এসে বাধা দিয়ে বললো.....
- খবর দার। আমার বরের গায়ে হাত তুলবেন না। খুব খারাপ হয়ে যাবে?
- ঈশিতা থাম! কি করছিস? সবাই তাকিয়ে আছে।
" নীলিমা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি ঈশিতাকে গিয়ে বাঁধা দিলো। ঈশিতা চেষ্টা করলেও ছুটে আসতে পারেনি। একসময় ঈশিতার সাথে হাত ধরে আসা সেই ছেলেটি গিয়ে শান্ত হতে বললো। রেস্টুরেন্টের অনেকেই তাকিয়ে ছিলো আমাদের দিকে।
" ঈশিতা রেগে গিয়ে জানতে চাইলো.....
- এই মেয়ে বউ হই কি করে?
- বাবু, তুমি বলো নি যে আমাদের ছয় বছরের সম্পর্কের পর ছয় মাস হয়েছে বিয়ে করেছি। তোমার জন্যই তো এতো এই কথা লুকিয়ে রেখেছি।
" ঈশিতার কথা শুনে রিতা কথাগুলো বলতে রিতার কাছে আবার ফিরে আসলাম। ঈশিতা যখন তেড়ে আসছিলো তখন অবস্থা সুবিধার নই দেখে দূরে সরে গিয়েছিলাম। বলা তো যায় না আবার রাগের মাথায় কি করে বসে।
"রিতা কে বললাম.....
- জানু, তোমার কাছে তো সবই বলেছি। বলার সময় পেলাম কই। তবে এইবার আমাদের কথা বাসায় বলে দিবো।
" আমার কথা শুনে ঈশিতা রেগে ফুসফুস করে বলতে শুরু করলো.....
- কি? চিট, বাটপার বিয়ে করেছিস অথচ আবার আমাকে বিয়ে করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস? একবারো বললি না বিয়ে করেছিস। আবার আমার জীবন নিয়ে খেলা করতে লেগে পড়েছিস?
" ঈশিতার রাগ মুখ দেখেও এইবার ভয় পেলাম না। কেনো ভয় পাবো এখন তো রিতা আছে পাশে। কাজেই ভয় পাবার প্রশ্নই আসে না। ঈশিতার চোখে চোখ রেখে বললাম......
- এই যে একদম বাজে কথা বলবেন না। আমি আপনাকে নিয়ে কি খেলা করলাম? আপনি তো সব শুরু করেছেন।
- আমি কি শুরু করেছি? তুই বললি না কেনো বিবাহিত?
- আমাকে বলার কই সুযোগ টা দিলেন? তাঁর আগেই তো কথা বলে দিলেন। বিয়ে ভেঙে দিতে হবে? আর আপনার যে এমন বত্রিশ দাঁতের বাবু আছে সেটাই তো বললেন না। আবার বলে কি না কোনো প্রেম টেম করে না। জীবনের এই প্রথম দেখলাম বত্রিশ দাঁতের বাবু! তাও ভালবাসার মানুষ........
- আপনি চিট করেছেন....
" ঈশিতার কথা শুনেই রিতা আমার দিকে রেগে তাকিয়ে বললো....
- কিসের চিটের কথা বলে....?
- তোমাকে বলেছিলাম না যে পেত্নী টা কে দেখতে গিয়েছিলাম। তখন বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো। আমাকে বলেছিলো তার কোনো প্রেমিকা নেই অথচ দেখো এই বত্রিশ দাঁতের বাবু। আর আমাদের বিয়ে হয়েছে সেই কথা তো বলার সময় টাই দেয় নি।
- খবর দার তুই আমাকে পেত্নী বলবি না। তুই মিথ্যা বলেছিস। আমাকে কেনো বলিস নাই তুই বিয়ে করেছিস?
" আমার কথা শুনে ঈশিতা রেগে কথা গুলো বলে তেড়ে আসতেই ছেলেটি বাঁধা দিয়ে বললো....
- ঈশিতা তুই এমন করিস না। একটু.....
- রাখ তোর ঈশিতা। তুই তোর প্রেমিকার হাত ধর,আমার হাত ছাড়...তোদের কথা শুনেই এতো কিছু হয়ে গেলো।
" ঈশিতা ছেলেটির হাত এক ঝটকায় সরিয়ে দিলো। ঈশিতার কথা শুনে থ হয়ে গেলাম। বলে কি? কার প্রমিকা কার হাত ধরতে বলে??
" ঈশিতার কথা শুনে ওর দিকে তাকিয়ে আছি তখনি নীলিমা বললো......
- আমি বলছি, রাসেল আমার বর। ঈশিতার জিজু,আর আমাদের বুদ্ধিতেই এতো কিছু হয়েছে। আসলে আপনাকে একটু বাজিয়ে দেখার জন্য এতো কিছু।
- এখন দেখেছিস। তুই কেনো মিথ্যা বলেছিস...?
" নীলিমার কথা শেষ না হতেই ঈশিতা বেশ রেগে গিয়ে জানতে চাইলো। ঈশিতার চোখের কোণায় পানি ঝলমল করছে। ঈশিতার কথা শুনেই বলললা....
- এই মেয়ে কে বিশ্বাস করা যাবে না। কথায় কথায় পাল্টি মারে আবার কবে না জানি বলে বসে আমি বিয়ে করে ফেলেছি।
" আমার কথা শেষ না হতেই রিতা হাত ধরে বললো....
- চলো গো। এই সব ঝামেলায় আমাদের থাকার দরকার নেই। যাদের ঝামেলা তারা বুঝবে। তুমি আজই বাসায় আমাদের বিয়ের কথা বলে দিবে।
- হুম, চল। এখানে থাকার কোনো মানে হয় না।
" রিতার কথা শুনে হাত ধরে চলে আসার পথেই ওয়েটার বিল নিয়ে এসে বললো....
- স্যার,আপনাদের বিল টা.....
" ওয়েটারের হাতে বিলের কাগজ টা দিয়ে বললাম....
- ওই যে দেখছেন, রেগে আছে মেয়েটা। ওনি বিল দিবেন।
" ওয়েটার কে কথা গুলো বলে রিতার হাত ধরে বেড়িয়ে আসার জন্য পা বাড়াতেই বিলের জন্য গেলো ঈশিতার কাছে। আড়চোখে তাকিয়ে দেখি ঈশিতা বিলের কাগজ টা নীলিমার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে বেড়িয়ে গেলো। তাতে আমার কি?? আমার তো বউ আছে....
- মামা, আজ তুই যা অভিনয় টাই না করলি। সাক্ষাৎ সিনেমার টপ নায়িকা হতে পারতি।
" রিতার সাথে রেস্টুরেন্ট থেকে বেড়িয়ে রিকশায় বসে হাসতে হাসতে কথা গুলো বললাম। রিতাও হাসতে হাসতে শেষ,আমাদের দুজনের হাসি দেখে রিকশাওয়ালা বেকুব সেজে রিকশা দাঁড় করিয়ে তাকিয়ে রইলো।
" রিতা অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বললো....
- শা*** তুই তো কম অভিনয় করতে জানিস না। ঈশিতাকে কেমন জব্দ করে ফেললাম।
- আজকে সেই হয়েছে। এসেছিলো আমাকে জব্দ করতে। ভাগিস্য তুই সময় মতো এসে হাজির। আর তুই যদি চোখ টিপ না দিতি তাহলে কিছুই বুঝতাম নাহ।
- মেয়েটা চেয়েছি কি? বার বার আমার কাজিন কে বোকা বানাবে?
- হুম, দেখ আজকে কেমন কান্না করতে করতে গেলো?
" আমার কথা শেষ না হতেই রিতা হাসি থামিয়ে বললো....
- দে, একহাজার টাকা দে।
- কি টাকা? কেনো...?
- বাহরে, তোর জন্য এতো সুন্দর অভিনয় করলাম আর ট্রিট দিবি না?
- তাই বলে একহাজার.....?
" রিতার কথা শুনেই চমকে উঠলাম। বলে কি? আমাকে চমকে দিয়ে বললো....
- জ্বি, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবো তাই। তোর রেস্টুরেন্ট বিল বাঁচিয়ে দিলাম আর এক হাজার টাকা দিতে পারবি না? আবার হবু বউয়ের সাথে দেখা করতে চলে যাও..?
- যা এতো টাকা নেই। দিতে পারবো না।
" আমার কথা শুনেই রিতা হাসি মুখে বললো...
- টাকা টা দিবা নাকি আবার অভিনয় করতে হবে??
- নাহ,এই নে টাকা....
" রিতার কথা শুনেই ভয়ে টাকা টা দিয়ে দিলাম। নয়তো যে মেয়ে আবার এখানে কি করে বসে কি জানে? টাকা টা নিয়ে হাসি মুখে নেমে যেতে যেতে বললো.....
- বাই, রিকশা ভাড়া টা দিয়ে দিস। পরের বার কিন্তু ট্রিট চাই।
" কি সাংঘাতিক মেয়েরে বাবা। এমন মেয়ে জীবনেও দেখেনি। তবে আমাকে মাঝে মাঝেই বিপদ থেকে উদ্ধার করে।
ওহ, রিতা কে সেটাই বলা হয়নি। রিতা আমার কাজিন + ক্লাস ফ্রেন্ড। যদিও হঠাৎ করেই অসুস্থতায় পিছিয়ে পরে তবে অনেক ভালো বন্ধও। ঈশিতা যখন এমন করলো তখন সবকিছু খোলে বলেছিলাম। আজ এমন হবে কেউ জানতাম নাহ।
" হুট করেই রিতা যখন এসে চোখ টিপ দিয়ে বললো তখন বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এর আগেও দুজনে বেশ ভালো অভিনয় করেছি কেউ বুঝতে পারেনি। একদিন ট্রাফিক পুলিশ ধরলে রিতা বেশ অভিনয় করে ছুটিয়ে নিয়ে আসে। রিতা আমার বউ আর তাঁর আইসক্রিম খাওয়ার ইচ্ছে। অবশ্য সেদিন ট্রাফিক পুলিশ ছেড়ে দিলেও পরের বার যেনো ভূল না হয় সেটা বলে দিয়েছিলো।
আজও তাঁর ব্যাতিক্রম হয়নি। যথা সময়ে এসে হাজির, দূর থেকে দেখেই বুঝতে পারে। যদিও ঈশিতার ছবি দেখিয়ে ছিলাম। কিছুটা অনুমান করে নিয়েছিলো।
" ঈশিতা চলে যেতেই একহাজার টাকার আপসোস নিয়ে বাসার পথে রওনা হলাম। যদিও একহাজার টাকার থেকে বেশি আপসোস হচ্ছে বেচারি ঈশিতার জন্য। যা ভেবেছিলো তা হয়নি, উল্টো জব্দ হয়ে গেলো।
" বাসায় আসতে পারেনি। বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে যাওয়া তে তাঁদের সাথে আড্ডায় চলে গেলাম। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতেই আম্মু ডাক দিলো।
" আম্মুর ডাক শুনেই কাছে যেতে জিজ্ঞেসা করলো....
- তুই নাকি বিয়ে করেছিস?
- তোমাকে এই কথা কে বললো?
- যা জানতে চাইছি সেটার উত্তর দে।
" আম্মুর রাগী কন্ঠ শুনে একটু রাগানোর জন্য বললাম.....
- হুম, ভেবে ছিলাম আজ বলবো। ভালোই হলো তুমি জেনে গেছো।
- কিহ? রুবি ঝাড়ু টা নিয়ে আয়, আজ হাড্ডি গুলো এক করে ফেলবো।
" আম্মুর কথা শুনেই রুবি আসছি বলে উঠলো। এই সেরেছে, ফাজলামো করতে গিয়ে দেখি নিজের বিপদ ডেকে আনলাম। নিজেকে বাঁচানের জন্য দৌড়ে গিয়ে রুমের দরজা লাগিয়ে দিতেই কেউ বলে উঠলো.....
- আসুন, মহারাজা আপনার অপেক্ষায় ছিলাম।
" কথা শুনেই পিছনে তাকিয়ে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে চিৎকার করে উঠলাম। এ কাকে দেখছি খাটের উপর পা তুলে বসে আছে।
- ভূত....
" দ্বিতীয় বার চিৎকার করার আগেই দৌড়ে এসে মুখ ঝাপটে ধরে বললো...
- এদকম চিৎকার করবি না। আমি ভূত না তোর জম...
" মুখ থেকে হাত সরাতেই তু ত লিয়ে জানতে চাইলাম.....
- তু তু তু........
- হে, আমি। আমি না তো কে থাকবে? বউ তো রুমে থাকে তাই নাহ?
- আমি বিয়ে কখন করলাম...?
" আমার কথা শুনেই হাসি মুখে বলে উঠলো.....
- কেনো? আজ না.......................
(চলবে)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now