বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ছাদে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি বিলাস করতে থাকলো তিথী ।
চারিদিকে বৃষ্টির আমেজে তিথীর মনটা ভরে উঠলো। ছাদের এক পাশেই বেলী ফুলের গাছ । সেখান থেকেই মৌ মৌ করা সুগন্ধ ভেসে আসছে। তিথী কিছু বেলী ফুল ছেড়ার জন্যে গাছের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো।
ঠিক এই মুহুর্তেই কেউ তাকে পিছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরলো, এই অনুভূতিটি তিথীর অজানা নয়।
এটি রাজ, তিথী চোখ বন্ধ করে রাজ এর স্পর্শ অনুভব করতে লাগলো। রাজ তিথির আঁচল এর নিচ দিয়ে পেটে স্পর্শ করতে লাগলো। নিজের মুখটি তিথীর ঘাড়ের কাছে নামিয়ে আনলো। ঠিক এমন সময় বিদ্যুৎ চমকে উঠলো।
তিথী চোখ খুলে দেখলো আসে পাশে কেউ নেই। সে এতোটা সময় স্বপ্ন দেখছিলো । তিথি নিজের বোকামির জন্য নিজে হেসে উঠলো। বেলি ফুল গুলো আঁচলে নিয়ে নিচে নেমে আসলো।
বেলি ফুল গুলো একটা পাত্রের মধ্যে রেখে আবার সে ছাদে উঠে গেলো।
এই সময় এর ভিতর রাজ এর ঘুম ভাঙ্গলো। সে আসে পাশে কোথাও তিথীকে দেখতে না পেয়ে বারান্দার দিকে গেলো। বারান্দা থেকে বাহিরে বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে। রাজ বুঝতে পারলো এই মুহূর্তে তিথী ঠিক কোথায় থাকতে পারে। তাই সে ও ছাদে চলে আসলো।
রাজ ছাদে এসে যা দেখলো ঠিক কল্পনাও করতে পারলো না।
তিথী ঠিক ছাদের রেলিং এর উপর দাড়িয়ে বেলি ফুল পেরে আনার চেষ্টা করছে। ঠিক এই সময় তিথীর পা পিছলে গেলো। রাজ খুব দ্রুততার সাথে তাকে ধরে ফেললো। অনেক কষ্টে তিথিকে ওপরে তুলে নিয়ে আসলো।
তিথী অনেক টাই ভয় পেয়ে গেলো। সে যখন উপরে উঠে আসলো রাজ এর চোখের দিকে তাকিয়ে রীতিমত কাপতে শুরু করলো। রাজ এর চোখ অসম্ভব রকমের লাল এবং রাগে সে কাপছে । সে ইচ্ছা মতো তিথির গালে চর বসিয়ে দিল।
এই পাগল মেয়ে পেয়েছো টা কি? তোমার কি সেই বয়স আছে?
আমি কালকেই তোমাকে তোমার বাড়ি দিয়ে আসবো। তোমার কিছু হলে তোমার বাড়ির মানুষকে কি জবাব দিবো আমি?
কথা গুলো বলার সময় রাজ খেয়াল করলো তিথী মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে।
রাজ তাকে কোলে নিয়ে ছাদ থেকে নেমে এলো। তিথীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তার পোষাক খুলে ধীরে ধীরে তার শরীল মুছিয়ে দিতে লাগলো। তারপর তার পোষাক পালটিয়ে দিলো। সে বুঝতে পারে না তিথি এমন ছেলে মানুষি কেনো করে। এরপর রাজ তিথির জন্যে গরম দুধ আনতে রান্না ঘরে গেলো।
দুধ নিয়ে এসে দেখে তিথী এখনো অচেতন অবস্থায় পরে আছে। তিথির মুখে পানি ছিটা দিতেই সে চিৎকার করে রাজকে জড়িয়ে ধরলো।
রাজ অনেক কষ্টে তিথীকে শান্ত করে দুধটা খাইয়িয়ে দিলো।এর পর তিথীকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে, নিজের ল্যাপটপে কাজ করতে লাগলো। টানা দুই তিন ঘণ্টা কাজ করার পরও রাজ ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িং রুমে গেলো।
ড্রয়িং রুমে গিয়ে রাজ তিথীর জন্যে খাবার নিয়ে রুম এ গেলো। গিয়ে তীথির শরীল এ হাত দিয়ে দেখে প্রচন্ড জ্বর এ ওর শরীল পুড়ে যাচ্ছে। আর ও জ্বর এর ঘোরে প্রলাপ বকছে ।
মেয়ের টার আকটু কম বেশি হলে জ্বর আসার কি আছে!
এ নিজেও বিপদ এ পরবে আর সাথে আমাকেও বিপদে ফেলবে।
রাজ তিথীর কপালে জল পট্টি দিলো। তিথীর সারা শরীল পানি দিয়ে মুছিয়ে দিলো। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলো তাও জ্বর কমলো না। রাজ খুব চিন্তায় পরে গেলো। সে ডক্টর কে কল দিলো।
ডক্টর আসার পর তিথীকে দেখলো আর বললো অনেক পরিমাণ ভয় এর কারণে এমন হয়েছে.....
চলবে....
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now