বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
রান্নাঘরে গুড়ের পায়েস রান্না করছে তিথী।কিন্তু পায়েসে গুড়ের বদলে ইচ্ছে মতো মরিচের গুড়ো ঢেলে দিল সে।আমার পিছে লাগা চান্দু এবার বুঝবে কতো মরিচে, কতো ঝাল।
দুপুরে খাবার টেবিলে খেতে বসেছে সবাই।খাবার শেষে রাজের সামনে এক বাটি পায়েস রেখে দিল তিথী।
নেও পায়েসটা খেয়ে নাও।তোমার জন্য স্পেশাল ভাবে আমি বানিয়েছি।
পায়েসের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে কিছু একটা বুঝার চেষ্টা করছে রাজ।
পায়েসের কালারটা এমন কেনো?
আসলে তো তিথী পায়েসের রঙটা কেমন যেনো,বলে উঠলো তিথীর মা।
এই যা সবাই সবটা বুঝে ফেললো নাতো।না ভয় পেলে চলবে না।কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবেনা।
আরে না না খেজুর গুড়ের পায়েসতো,তাই কালারটা এই রকম।
রাজ পায়েসের বাটিটা এগিয়ে নিয়ে পায়েস মুখে দিয়ে এক বার তিথীর দিকে তাকালো।এরপর ধীরে ধীরে পুরো পায়েস শেষ করে টেবিল থেকে উঠে গেলো।
তিথীতো পুরোই অবাক।খাটাসটা সব পায়েস খেয়ে ফেললো,ওর কি ঝাল লাগেনি।
তিথীও রাজ চলে যেতেই নিজেও রুমের দিকে গেল।গিয়ে দেখতে পেল রাজ বিছানায় মাথা নিচু করে বসে আছে। পাশে পানির গেলাসটা খালি।
রাজ.....
তিথী ডাকা মাএ রাজ মাথা তুলে তাকালো। রাজের চোখ দুটো লাল টকেটকে হয়ে আছে,চুলগুলো এলোমেলো, আর ঠোঁট দুটো যেনো ঝালে লাল হয়ে আরো ফুলে উঠেছে। রাজের এই অবস্থা দেখে তিথীর বড্ড খারাপ লাগছে। তিথী চায়নি রাজকে এতটা কষ্ট দিতে।
রাজ আমি সত্যি সরি।
রাজ তিথীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল।
রাজ প্লিজ শোনো।জোর করে নিজের দিকে রাজের মুখ ঘুরিয়ে নিল।
রাজের মুখটা দেখে তিথীর অন্য রকম অনুভূতি হলো।মনে হচ্ছে তিথী যেনো সেই পুরনো দিনের মাঝে হারিয়ে গেছে।সেই চিরচেনা পরমাত্মীয় যেন তার পাশেই বসে আছে। তিথী একটা ঘোরের মধ্যে হারিয়ে গেল।
তিথী ধীরে ধীরে রাজের কাছাকাছি চলে এলোএতোটা কাছে যে তারা একে অপরের নিশ্বাসের শব্দের পর্যন্ত শুনতে পাচ্ছে। তিথী রাজের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিল।অজানা কোনো আবেশে দুজনে হারিয়ে যাচ্ছে।
কিছুটা সময় পর তিথী নিজেকে রাজের থেকে সরিয়ে নিয়ে দৌড়ে বারান্দায় চলে গেলো। তিথীর হার্টবিট খুব দ্রুত গতিতে হতে থাকলো।
ছিহ! এটা কি করে ফেললাম আমি।না আমি এটা কিছুতেই করতে পারিনা।আমি পারিনা আমার জীবনে অন্য কাউকে জড়াতে।কিন্তু আমার রাজের কাছে গেলে কেনো এমন ফিল হয়।মনে হয় আমি যেন আমার চিরচেনা সেই হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটির কাছে আছি। না আমি আর কিছু ভাবতে পারছিনা।মাথাটা ব্যাথায় টনটন করছে।রাজ বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে কিছু সময় পূর্বের তিথীর করা কান্ডকারখানার কথা ভাবছে। মেয়েটা সত্যি পাগলি,নিজেই রোমাঞ্চ করবে নিজেই পালাবে।
নাহ!এটা হতে পারে না। আমার তিথীর প্রতি দূর্বল হলে চলবেনা।তিথী যা কাজ করেছে, তাতে ও কোনো ভাবেই ভালনাসার যোগ্য নয়।ওকে ওর কর্মের শাস্তি পেতেই হবে।মনে মনে বললো রাজ।
বিকেলে তিথীর কাজিনরা এলো রাজকে দেখতে।রাজ সবার সাথে দুষ্টমিতে মেতে উঠেছে।দূর থেকে রাজের ছেলে মানুষি মুগ্ধ হয়ে দেখছে তিথী।
আড্ডার এক পর্যায় তিথীর এক কাজিন রিমি রাজকে বাহিরে ঘুরতে যাওয়ার বায়না করলো।
রিমির জেদে রাজ তিথী ও তার কাজিনদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামটা ঘুরে দেখতে বেরুলো।
রাজের মাথা থেকে সকালের ঘটনাটা যায়নি।এটাই সুযোগ তিথীকে জব্দ করার।মিসেস আব্রাহাম তিথী তুমি চলো ডালে ডালে,আমি চলি পাতায় পাতায়। এবার বুঝবে এই রাজ কি জিনিস। রাজের পিছনে লাগার কথা এর পর থেকে কল্পনাও করবেনা।
চলবে....
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...