বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

কিছুটা সময়

"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান জয়দীপ চক্রবর্তী(guest) (০ পয়েন্ট)

X ওয়ান-ডে ক্রিকেটে প্রথম দল ৫০ ওভার ব্যাট করে দ্বিতীয় দলকে ২২৫ রানের টার্গেট দিয়েছে। লক্ষ্য খুব বড় কিছু নয়। ৫০ ওভার ঠিকমত খেললে অনায়াসেই এই রান করে ফেলতে পারবে দ্বিতীয় দল। শুরুটাও ভালো করেছিল দ্বিতীয় দল। শুরুতে রানের ঝড় না তুললেও ওভারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে রান তুলছিল দুজন ওপেনিং ব্যাটস-ম্যান। কিন্তু মাঝ-পথে বাধ সাধল বৃষ্টি। কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থেকে আবার যখন শুরু হল, তখন ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড অনুসারে দ্বিতীয় দলের কাছে অপেক্ষাকৃত কম ওভারে বেশী রান করার লক্ষ্য। বৃষ্টির জন্য বাদ গেছে অনেকগুলো ওভার। সহজ সুন্দর ম্যাচটা দলটির কাছে বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে। এমন ঘটনা খেলার মাঠের মতো মানুষের জীবনেও যদি ঘটে! যদি ঘটে কি বলছি, এমনটা তো হামেশাই ঘটে চলেছে অনেকের জীবনে। সম্প্রতি ঘটেছে অম্বরিশের জীবনেও। অম্বরিশের কাছে এখন অল্প সময়ে বেশ বড় লক্ষ্য। অর্থ সঙ্কটে থাকা পরিবাররা যেভাবে মাসের প্রথমে হাতে পাওয়া টাকা হিসেব করে সারা মাস খরচ করে, ঠিক সেভাবেই অম্বরিশ এখন প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি মুহূর্ত অঙ্ক কষে ব্যয় করছে। অম্বরিশ মুখার্জী, বয়স অর্ধ-শতকের সীমারেখায়। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। স্ত্রী ও পুত্র নিয়ে ছোটো পরিবার তো বটেই, সুখী পরিবারও বলা যায়। জীবনে বিশেষ ঝামেলা ঝঞ্ঝাট নেই, আর ঝামেলা ঝঞ্ঝাটে থাকতেও চায় না অম্বরিশ। অফিসের কাজ ছাড়া ওর আরেকটি কাজ বা অভ্যাস আছে। একটু-আধটু সাহিত্য চর্চা করা। ছোট-বড় গল্প, উপন্যাস, নাটক লেখে ও। সামাজিক মাধ্যমে ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় নিয়মিত অম্বরিশের লেখা প্রকাশিত হয়। সেই সুবাদে ওর পাঠক-পাঠিকার সংখ্যা লক্ষাধিক। একটি পেশাদার নাটকের দল অম্বরিশের লেখা নাটক কোলকাতার বিভিন্ন নামকরা থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ করে দর্শকদের অজস্র প্রশংসা কুড়িয়েছে। সংসার, অফিস, আর সাহিত্য চর্চা, এই তিনটেতে ভারসাম্য রেখে চলাটা সহজ কাজ নয়। অম্বরিশ যেন দুহাতে দুটো, আর মুখে একটা গুলি সহ চামচ নিয়ে এগিয়ে চলেছে। কোনও একটিতে মনোযোগ হারালেই সেই চামচ থেকে গুলি পড়ে যাওয়ার বহুল সম্ভাবনা। আর তাহলেই ঘটবে চরম বিভ্রান্তি। তবে কোনও চামচ থেকেই গুলি ফেলেনি অম্বরিশ। তিনটেতে ভারসাম্য রেখে মন্থর গতিতে এগিয়ে গেছে। এভাবে এগিয়ে চললে ওর লক্ষ্যে ও হয়তো এক সময়ে পৌঁছেও যেতো। কিন্তু বাধ সাধল ওর ভাগ্য। বেশ কিছুদিন যাবত শরীরটা ভালো যাচ্ছে না অম্বরিশের। খাওয়ার রুচি ও ইচ্ছে প্রায় চলে গেছে। ওজন কমেছে অনেকটা। শরীর বেশ দুর্বল। কোনও কাজ করতেই ভালো লাগে না। এমনকি লেখালেখি করতেও মনের সেই তাগিদটা অনুভব করে না অম্বরিশ। থেকে থেকেই পেটের উপরিভাগে একটা ব্যথা অনুভব করে ও। সেদিন অফিসে যাওয়ার পর সকাল থেকেই গা গোলাচ্ছিল। একটু বেলার দিকে বমি হয়ে গেল। সেই সঙ্গে শুরু হল পেটে ব্যথা। অফিস করা আর সম্ভব হল না। বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হল অম্বরিশ। শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো যেন অম্বরিশের ছোটবেলায় দেখা মা, কাকীমার মতো। অসুবিধে যতক্ষণ পর্যন্ত বিশেষ অসুবিধেতে না ফেলছে ততক্ষণ তারা নিঃশব্দে নীরবে সবকিছু সামাল দেয়। তাই তাদের সমস্যার কথা গোড়াতে জানা যায় না। আর তার সমাধানও খোঁজা হয় না। এরপর যখন সেই সমস্যার কথা জানা যায়, তখন চূড়ান্ত পরিণতির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। ডাক্তার আগেও দেখিয়েছে অম্বরিশ। এবারে একজন নামকরা গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্টের কাছে গেল ও। ভেতরের অঙ্গ বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। লক্ষণ, উপসর্গ, বাহ্যিক পরীক্ষার সাহায্যে তা বোঝা গেলেও এখনকার ডাক্তাররা তা করতে চান না। অতএব করা হল অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা। আর সেই সব পরীক্ষায় জানা গেল অম্বরিশের হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা অর্থাৎ লিভার ক্যান্সার। বর্তমানে অনেকটাই স্প্রেড করে গেছে। লিভারের পাশে এক জায়গায় জল জমতে শুরু করেছে। তাড়াতাড়ি কেমো থেরাপি শুরু করলে ছড়িয়ে পড়া কিছুটা হয়তো আটকানো যাবে। একদম নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা না গেলেও মাস ছয়েকের বেশী টিকে থাকা কষ্ট-সাধ্য। কোনও মানুষের নিঃশ্বাসের ওপরই বিশ্বাস রাখা যায় না। আজ যারা আছে, কাল তাদের যে কেউ চলে যেতেই পারে। তবে কে কতদিন বাঁচবে, সেটা কারো জানা নেই, তাই চিন্তাও নেই। কিন্তু কেউ যদি জেনে যায় যে সে ছয় মাস পরে এই পৃথিবীতে থাকবেই না, এক একটা করে দিন কাটবে, আর তার মৃত্যুর দিন এগিয়ে আসবে, তবে স্বাভাবিক ভাবেই যেকটা দিন লোকটা বাঁচবে ,তাও তার কাছে দুর্বিসহ হয়ে উঠবে। অম্বরিশের স্ত্রী সুলগ্না বেশ ভেঙে পরেছে। সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছে। অম্বরিশের সামনেও নিজেকে সামলে রাখতে পারছে না। পারবেই বা কিভাবে। যে মেয়েটা কখনো কোনও সমস্যা, কষ্ট, অভাবের মুখোমুখি হয়নি, সে যদি হঠাৎ এরকম সমাধান হীন কোনও সমস্যার মধ্যে পড়ে ……… প্রথম কেমো-থেরাপির পর অফিস জয়েন করল অম্বরিশ। কর্কট বিষ অম্বরিশের শরীরে যত দ্রুত ছড়িয়ে পরছে, তার চেয়ে সহস্র গুন দ্রুত ওর এই রোগের খবর সারা অফিসে ছড়িয়ে পড়েছে। যারা ওকে চেনে না, তাদের কানেও খবরটা পৌঁছেছে। অম্বরিশ জয়েন করেছে শুনে, মনের কৌতূহল মেটাতে কে এই অম্বরিশ সেটা সবাই দেখতে আসছে। দূরে দাঁড়িয়ে থেকে পরিচিত কাউকে জিজ্ঞাসা করছে। সে চোখ বা আঙ্গুলের ইশারায় দেখিয়ে দিচ্ছে অম্বরিশকে। লাঞ্চের সময় অনেক টেবিলেই এখন আলোচনার বিষয় অম্বরিশ। দু-এক দিন গেলে বন্ধ হয়ে যাবে। তারপর মাস ছয়েক পরে হয়তো আবার শুরু হতে পারে। মহিলা সহকর্মীদের কথায় সহানুভূতি ঝরে পড়ছে। যতটা অম্বরিশের ওপর, তার চেয়ে বেশী ওর বৌ-ছেলের ওপর। সৌরভ গোস্বামী অম্বরিশের ঊর্ধ্বতন সহকর্মী। অম্বরিশের লেখালেখির প্রথম পাঠক ও সু-পরামর্শ দাতা। দীর্ঘ দিন ধরেই একসাথে মধ্যাহ্ন ভোজন করে দুজন। বাড়ির পরিমিত খাবার খেতে খেতে অম্বরিশ বলল, - সৌরভ দা, পঞ্চাশ ওভার খেলা আর হল না। কুড়ি ওভারেই মাঠ ছাড়তে হবে। - দ্যাখ, কত ওভার মাঠে থাকলি, সেটা কেউ দেখবে না। রান কতটা করলি সেটাই লোকে দেখবে। যতক্ষণ মাঠে আছিস, খেলে যা। - হ্যাঁ, সেটাই করতে চাই। এমন একটা লেখা লিখে যেতে চাই, যেটা অমর হয়ে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে। আপনি একদিন আপনার গল্প বলবেন বলেছিলেন। - সে বলতেই পারি। তবে এটা স্লগ ওভারের ব্যাটিং তো! একদম নিজের খেলা খেল। একদম নিজস্ব গল্প, নিজের কথা লেখ। নিজের যন্ত্রণা, শব্দ-মালায় প্রকাশ কর। অন্যের গল্প লিখলে সেই অনুভূতিটা থাকবে না, যতটা তোর নিজের গল্পে থাকবে। - বেশ, তাই লিখবো। লিখে পাঠাবো আনন্দের হাট পত্রিকায়। - হ্যাঁ, এই পত্রিকায় লেখা প্রকাশ তো তোর বহুদিনের স্বপ্ন। অফিসে মুখ চেনা থাকলেও অম্বরিশের সাথে যাদের তেমন কথা-বার্তা ছিল না, তারাও এখন এক প্রকার জেঁচে ওর সাথে কথা বলে। গল্প পড়া যাদের অভ্যাসে নেই, তাদের অনেকে অম্বরিশের গল্প পড়ছে ইদানীং। যে সমস্ত আত্মীয়দের সাথে অনুষ্ঠান ছাড়া দেখা হত না, যারা নিজেদের দরকার ছাড়া অম্বরিশকে কখনো ফোন করেনি, তারা এখন ফোনে বা হোয়াটস-অ্যাপে ওর খবর নিচ্ছে। কেউ কেউ ফল, মিষ্টি নিয়ে বাড়ি এসে দেখেও যাচ্ছে অম্বরিশকে। শ্বশুর বাড়ির উদ্যোগ আর জোরাজুরিতে চেন্নাই গিয়ে দ্বিতীয় মত নিতে হল অম্বরিশকে। সমস্ত ব্যবস্থাপনা ওর শ্যালক কৌশিকই করেছে। অম্বরিশ ও সুলগ্নার সহযাত্রীও হয়েছে সে। হাওড়া ষ্টেশনে হঠাৎ অম্বরিশের মনটা ভালো হয়ে গেল, ভাই স্নেহাশিস আর মামাতো ভাই সুকল্যানকে একসাথে দেখে। বহু বছর ধরে স্নেহাশিস ও সুকল্যানের মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল না। নারী ঘটিত কোনও সমস্যার কারণে দুজনের মধ্যে এক সময়ে বড় রকমের বাক বিতণ্ডা হয়েছিল। ফল স্বরূপ দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছেদ। আজ আবার দুজনকে একসাথে কথা বলতে বলতে এগিয়ে আসতে দেখে বেশ খুশি হয়েছে অম্বরিশ। দুদিনের জন্য পৃথিবীতে আসা। প্রাণ খুলে মনের আনন্দে বাঁচো। মনের মধ্যে দ্বিধা বিভেদের প্রাচীর তুলে এই মূল্যবান সময়টাকে শুধু শুধু নষ্ট করা কেন? যথা সময়ে ট্রেন ছাড়ল। ভাইদের বিদায় জানিয়ে নিজের সিটে ল্যাপটপ খুলে বসল অম্বরিশ। একটা গল্প মাঝপথে থেমে রয়েছে। সেটাকে এগিয়ে নিয়ে চলল ও। সময় নষ্ট করার সময় ওর হাতে নেই। প্রতিটি মুহূর্ত ওর কাছে বিশেষ মূল্যবান। ঈশ কত সময় না নষ্ট করেছে এতদিন। এইভাবে হিসেব করে খরচা করলে এতদিনে অম্বরিশ কত কিছুই না করে ফেলতে পারত। চেন্নাই-এর ডাক্তারদের মতের সাথে কোলকাতার ডাক্তারের মতের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। একই চিকিৎসার পুনরাবৃত্তি ঘটল ওখানে। খুব বেশী দিন থাকার সময় সামর্থ্য নেই কারো। তাই প্রয়োজন মিটিয়ে কোলকাতায় চলে এলো ওরা। মাস তিনেক কেটে গেল। অম্বরিশের চেহারা এখন বেশ খারাপ হয়ে গেছে। অফিস যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ। নার্সিং-হোমে কেমো নিতে যাওয়ার দিন গুলি ছাড়া বাকি দিনগুলি বাড়িতে শুয়ে-বসেই কাটে। টুক-টাক লেখা-লেখি করার চেষ্টা করে। কিন্তু তেমন ভাবে করতে পারে না। মনের ভাবনা গুলি এলো-মেলো ভাবে ছোটা-ছুটি করে কোথায় যেন হারিয়ে যায়। তাদেরকে একই ছন্দে বাধতে পারে না ও। এ’কদিনে যে কটা লেখা লিখেছে সবগুলি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পাঠিয়ে দিয়েছে। আর নিজের মনের কুঠুরিতে জমে থাকা যন্ত্রণা থেকে যে গল্পটা জন্ম নিয়েছে, সেটা পাঠিয়েছে আনন্দের হাট পত্রিকায়। আগেও এখানে বহু লেখা পাঠিয়েছে ও। কিন্তু প্রকাশ হয়নি সেগুলো। ভগ্নীপতিকে এখন অন্য ভাবে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে কৌশিক। অম্বরিশের লেখা গল্পগুলো এক পাবলিশার্স হাউজ থেকে প্রকাশ করছে ও। খরচ-পত্র সব কৌশিকের। আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর নেওয়ার তাগিদ এখন অনেকটাই কমে গেছে। গল্পের শেষ পরিণতি জানা থাকলে গল্প পড়া বা সিনেমা দেখার উৎসাহ যেমন কমে যায়, এখানেও তেমনই ঘটেছে। চূড়ান্ত খবরের অপেক্ষায় আছে সবাই। হাতে পাওয়া ছয় মাসটা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারে না অম্বরিশ। শরীরে এখন লক-ডাউন চলছে। জরুরী বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগের কাজ-কর্ম প্রায় বন্ধ। হৃদপিণ্ড তার কাজ করে চলেছে। চলছে শ্বাস-প্রশ্বাসও। হাত-পা হাত গুটিয়ে বসে আছে। মস্তিষ্ক কাজ করছে ঠিক অবসর নেওয়ার আগে সরকারী কর্মীদের কাজের মতো। বেশ অলসতায় ভরা তার কাজ। যেটুকু না করলে নয় শুধু সেটুকুই করে সে। চিকিৎসা একই ভাবে চললেও সেটা অম্বরিশের শরীরের তেমন উন্নতি ঘটাতে পারছে না। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে কাটে ওর দিনগুলি। ছেলেবেলায় ক্রিকেট খেলা, এর ওর গাছ থেকে ফল চুরি, পাঁচিল টপকে পালানো, সুযোগ পেলেই রান্নাঘরে ঢুকে গুড়ো দুধের কৌটো থেকে এক চামচ দুধ নিয়ে মুখে ঢালা, সব যেন চোখের সামনে ভাসছে ওর। সেই দুধ যেন আজও ওর তালুতে লেগে আছে, আর ও তা জিভ দিয়ে চেটে চেটে খাচ্ছে। এরমধ্যেই এক রবিবার আনন্দের হাট পত্রিকায় অম্বরিশের লেখা প্রকাশিত হল। সেই সঙ্গে প্রকাশিত হল ওর লেখা গল্পের বই। দুটো খবর প্রায় একসাথেই পেয়েছে অম্বরিশ। ওর এক হাতে পত্রিকা, অপর হাতে বই। দু চোখ দিয়ে বয়ে চলেছে আনন্দ অশ্রুধারা। অনেকগুলো ওভার বাদ চলে গেলেও সেঞ্চুরিটা অম্বরিশ করেই ছেড়েছে। এখন আউট হয়ে মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে এলেও দুঃখ নেই ওর। সমাপ্ত


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৭৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Duaa...
    Golpobuzz ২ বছর, ৫ মাস পুর্বে
    Hmm.. Nice..