বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

বান্দরবান অরন্যে জিজেসগণ (প্রথম পর্ব)

"রোমাঞ্চকর গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান চিন্তার চুম্বক (০ পয়েন্ট)

X আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়ামিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম। দুরুদ ও সালাম রহমাতুল্লিল আলামীন, আল্লাহর হাবীব,ঈমানদারের প্রাণের স্পন্দন, আমাদের জান এবং সবকিছুর চাইতেও প্রিয় হাবিবে কিবরিয়া নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি। loveআল্লাহুম্মা সল্লি আ'লা মুহাম্মাদিন আফদ্বলা সলাতিকাlove gjআসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ।আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবীব আল্লাহ।আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রহমাতুল্লিল আলামীন।gj মেহেরবান,কোরবান,কলিজার টুকরা পোলাপান, হেয়ার ইজ বিজয়(পিচ্চি হুজুর) এন্ড তোমাদের জন্য নিয়ে আসলাম আরও একটি ব্রেন্ড নিউ রোমাঞ্চকর ভ্রমনমূলক গল্প। খুব কর্মব্যস্ত সময় কাটানোর পর লকডাউনে পরে একেবারে ঘরে বন্দি। টানা কয়েক মাস এভাবে কাটিয়ে জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আমি রয়ে গেলাম সেই আগের মতই। দরকার পরে না তাই বাইরেও যাওয়া হয় না। তারপরে কিছুটা চলাফেরা শুরু করতেই শুনলাম জিজে ওয়েবসাইটের এডমিন ট্যুর প্লান করতেছে, ওরা নাকি ঘুরতে যাবে বান্দরবান। ট্যুরে যাবে শুনে প্রথমেই হৃদয় (MH2)কে নক করলাম। দেখলাম সে এক কথাতেই রাজি। ব্যস আমিও রাজি। জিজেসদের মধ্যে থেকে অনেকেই রাজি হয়ে গেলো,তাদের মধ্যে অন্যতম হল রিদা,তানিম,মুস্তাফিজ,তারিন,নাহার আপু,ইসরাত আপু,বিজয়(baby boss), রিধি, শাহরিয়ার,জাঈম,লুমি ভাইয়া সহ আরও অনেকে।নতুন করে যোগ দিল siam 2.0। ও হ্যাঁ সেই বিখ্যাত CID মিশুপু তার চাকরিটা ছেড়ে দিছেন,তিনি এখন ইবনে সিনা তে চাকরি করেন। সুখবরটা হলো তিনিও এই ভ্রমনে যাবেন জিজেসদের সাথে। জীবনে প্রথমবার বান্দরবান যাচ্ছি । শুধু জানি এটা অফরুট, দেখবো জাদিপাই, ত্লাবং আর বাকলাই ঝর্না, আর্মির কাছে ধরা পড়লে ফিরেও আসতে হতে পারে, পরিস্থিতি অনুযায়ী প্লান পরিবর্তনও হতে পারে। আরেকটা বিষয় বলা হয়েছিলো সেটা হলো এটা কষ্ট করে ট্রেকিং করে যেতে হবে পুরো ট্রিপ জুড়ে। এর বেশি কিছু জানতাম না, জানাতে চাইলেও আমার জানার আগ্রহ ছিলো না কারণ আমরা সবাই তো ভ্রমণ গাইড নিয়ে যাচ্ছি। ভ্রমণ গাইড রুট প্লান বলেছিলো – ঢাকা থেকে বান্দরবান, সেখান থেকে থানচি, থানচি থেকে বাকলাই হয়ে থাইক্ষ্যাং পাড়ায় গিয়ে রাতে থাকা, পরদিন সকালে ত্লাবং ঝর্না দেখে জাদিপাই পাড়ায় গিয়ে রাতে থাকা, পরদিন জাদিপাই ঝর্না দেখে বাকলাই পাড়ায় এসে রাতে থাকা এবং পরদিন সকালে বাকলাই ঝর্না দেখে এসে ঢাকার উদ্দেশ্য পাড়া থেকে বেরিয়ে পরা। যেহেতু অফরুট এবং বিগত কিছু ট্যুরে পাড়ায় ট্যুরিস্ট থাকতে দেয় নাই সেহেতু একরাত আমাদের জুমঘরে থাকতে হতে পারে। কিন্তু যে জীবনে বান্দরবান যায় নি সে কীভাবে বুঝবে এই প্লান।আমি এসব না কানে তুললাম, না কিছু বুঝলাম। এমনকি গুগল থেকে এই তিনটা ঝর্নার ছবি পর্যন্ত দেখি নাই। ট্রিপে যাওয়ার ব্যাপারে অনেকটা ভয় কাজ করতো আমার মাসল ক্রাম্প নিয়ে। পূর্ব ট্রেকিং অভিজ্ঞতা বলতে গেলে আমার নাপিত্তাছড়া ঝর্না । অনেক ভয় থাকলেও মনস্থির ছিলো যে যাবো। যতই দিন ঘনিয়ে আসতেছিলো ততই মনোবল যেনো কমে আসতেছিলো। তখন তানিম আর মিশুপু দুইজন ই মোটিভেট করলো। অফরুটের ট্রিপ ও ট্যুরিস্টবহুল এরিয়া না হওয়ায় ঢাকা থেকে টিমের খাবার দাবার কিনে নেওয়া হবে। কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ফিরে গুছিয়ে ফেললাম নিজের ব্যাগপ্যাক । কিন্তু হঠাৎ করেই সমস্যা দেখা দিলো গাইড নিয়ে। গাইড ফোন দিয়ে বলল বান্দরবানে অনেক বৃষ্টি, ট্রিপ ক্যান্সেল করে কয়েকদিন পরে যেতে। তার বাড়ি থিনদলতে পাড়ায়। কথা ছিলো থানচি এসে নিয়ে যাবে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য সে বের হতে পারছে না। এইদিকে টিম মেম্বার দের ছুটি নেওয়া সহ সকল প্রস্তুতি নেওয়া শেষ, অপেক্ষা শুধু বান্দরবানগামী বাসে ওঠা। ওরা ট্রিপটা ক্যান্সেল না করে গাইডকে বললো যতটুকু পারে আগাতে আমরাও যেতে থাকি দেখা যাক কি হয়। নির্দিষ্ট দিনে বাসা থেকে আমরা সবাই বের হলাম বৃষ্টি মাথায় করে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা পেলাম মিশুপু,হৃদয়,তানিম,রিদা,সিয়াম ও বাকি টিম মেম্বারদের। বাসে উঠে আমরা সবাই বসে ভালো অনুভুতির আবেগে ভাসতে লাগলাম। মিশুপু আমাকে একজনের ছবি দেখিয়ে বলল “দেখ, মানুষ ঘুরতে গিয়ে কত সুন্দর জীপের সাথে ছবি তুলে”। বাস চলতে শুরু করলে কিছুক্ষণ এটা ওটা নিয়ে গল্প করলাম। তারপরে ঘুমাতে ঘুমাতে বৃষ্টিভেজা পিচঢালা রোড ধরে প্রথমবারের মত চললাম বান্দরবানের পথে। ভোর ভোর বান্দরবান পৌছালাম, নেমে নাস্তা করে নিলাম। হোটেল থেকে বাইরে এসে আমাদের জীপ দেখে আমরা সবাই অবাক সেই সাথে অনেক খুশিও। কারণ আমাদের জীপের রংটা খুব সুন্দর,জলপাই রংয়ের। বান্দরবান শহরেই গাইডের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম সে থাইক্ষ্যাং পাড়ায় এসে সামনে আসতে পারতেছে না। তাকে বলা হলো অন্ততপক্ষে বাকলাই পাড়া পর্যন্ত আসতে, আমরা কোনোভাবে থানচি থেকে বাকলাই পাড়া পর্যন্ত যাবো। গাইড পাওয়ার অনিশ্চয়তা, হালকা বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যেই জীপে করে ছুটে চললাম থানচির উদ্দেশ্য। প্রথমবার যাওয়ার জন্যই মনে হয় সবকিছু দেখে মুগ্ধ হতে থাকলাম। পাহাড়ি পথ, পথের বাক, ওপর থেকে দেখা নদী সবই যেন মনকে আনন্দ দিচ্ছে। ট্যুরের স্বাদ পাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিলে জীপ চলা শুরু করা থেকেই। ওপর থেকে যখন নদী দেখালাম তখন কে যেনো বলল এটাই সাঙ্গু নদী। চারপাশে পাহাড় বেষ্টিত নদীটা দেখতে অপরুপ। ছোটবেলায় বইয়ে পড়ার মাধ্যমে এই নদীর নাম জানা। সেই নদীও যে এতটা সুন্দর হতে পারে তার ধরনা আগে ছিলো না৷ এখানে এসে সব কিছুই যেন আমার কাছে ধরা দিচ্ছে অপার সৌন্দর্য নিয়ে বিস্ময়ের সাথে। চলতি পথে মেঘগুলোকেও দেখলাম কাছ থেকে। সে যেন এক ভীষন ভালো লাগা। পথের মধ্যে আর কোনোভাবেই গাইডের সাথে যোগাযোগ করা গেলো না। সবাই এটা নিয়ে চিন্তিত। জীপের মধ্যে বসে ওরা আরেকটা ব্যাকআপ প্লান রেডি করলো। এই প্লান ক্যান্সেল হলে একুশ কিলো দিয়ে আলিকদম হয়ে ক্রিসতং রুংরাং যাওয়া যাবে। সেজন্য ঐ রুটের গাইডের সাথেও প্রাথমিক কথা বলে নিলো। বললো থানচি গিয়ে তাকে ফাইনাল জানানো হবে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কি হয় এবং আমাদের কোথায় যাওয়া হয় এই দুশ্চিন্তাটুকু নিয়ে চলতে চলতে আমরা চলে এলাম বলিপাড়া ক্যাম্পে। ট্যুরের আগে কেউ একজন পারিজাত ক্যাফের রাতে ধারণকৃত একটি ছবি দিয়েছিলো মেসেঞ্জার গ্রুপে। জায়গাটা সেই ছবির মতই সুন্দর। নেমে প্রথমেই আমি আর মিশুপু সুন্দর রংয়ের জীপের সাথে আগে ছবি তুলে নিলাম। ক্যাম্পে আমরা বললাম আমরা সবাই থানচি যাবো। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হলো। এরমধ্যেই অন্য একটা নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বলল তাকে এই নাম্বার থিনদলতে পাড়ার সেই গাইড দিয়েছে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, তার বাড়ি বাকলাই পাড়ায়। তার সাথে কথা বলে বলিপাড়া থেকে বের হয়ে সুন্দর এক যাত্রাপথ অতিক্রম করে আমরা দুপুর নাগাদ থানচি পৌছালাম। সেখানে খাওয়াদাওয়া শেষ করলাম, বৃষ্টির জন্য সবাই পলিব্যাগ দিয়ে তাদের ব্যাগকে প্রটেক্ট করে নিলো। যেহেতু আগে যাই নি আর কিছুই জানি না সেহেতু অনেক কিছুই বুঝি না। তখন শুনলাম আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারনে সাঙ্গু নদী দিয়ে কোনো ট্যুরিস্ট যেতে দিবে না। ওই রুটে সবার ট্রিপ ক্যান্সেল। এমন সময় তানিমের এক বন্ধু আসলো। ও টিম নিয়ে আমিয়াখুম নাফাখুম যাচ্ছিলো কিন্তু ট্রিপ ক্যান্সেল হওয়াতে ও আমাদের সাথে যোগ দিলো। এমন ট্রিপ ক্যান্সেলের খবর শুনে সেখানে মনে হলো কেমন যেন একটু আশাভঙ্গ পরিস্থিতি। কিন্তু আমাদের রুট তো অন্য, যাবো বাকলাইয়ের দিকে লুকিয়ে লুকিয়ে। তখনো আমাদের থানচি থেকে বাকলাই পথে যাওয়ার জীপ পাওয়া যায় নি। নতুন যে গাইড ফোন দিয়েছিলো সে একটি জীপের নাম্বার দিলো তার সাথে কথা বলে ঠিক হলো বিকেল বিকেল বের হতে হবে। তা নাহলে আর্মিদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারি। সুতরাং থানচি থেকে আমাদের দেরি করে বের হতে হবে। থানচি থেকে বাকলাই এর ঐ রোডটাতে কনস্ট্রাকশনের কাজ চলতেছে। বৃষ্টির জন্য রাস্তা খারাপ, ১৫ কিলো পর্যন্ত জীপ যেতে পারবে না। ১১ কিলো নামিয়ে দিবে সেখান থেকে আমাদের হেটে যেতে হবে। এরপরে ঠিক করা সেই জীপটা আমাদের সামনে দিয়ে এগিয়ে চলে গেলো। থানচি বাজার থেকে কিছু টা পায়ে হেটে সামনে যেয়ে তারপর আমাদের জীপে উঠতে হবে। গাইড, জীপ ও নানা বিষয়গুলো দেখতেছিলো লুমি ভাইয়া, তানিম ও মুস্তাফিজ । যখন আমাদের ওপরে উঠতে বলা হলো তখন কিছুটা উঠেই মনে হলো আর পারবো না। কিন্তু পারলাম, উঠে গিয়ে জীপে বসলাম। এবং সেই বাকলাই এর ১১ কিলো রাস্তার যেই মনভোলানো সৌন্দর্য দেখেছিলাম সেটা বর্ননাতীত। আকাশে মেঘের আনাগোনা এবং মাঝে মাঝে বৃষ্টি পরিবেশটাকে ভয়ংকর সুন্দর করে তুলেছিলো। গাড়ি থেকে নেমে আমরা সবাই হাটতে শুরু করলাম। উচু নিচু পথ, চারপাশে চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য। কিন্তু সেই পথ হেটে হেটে খুব ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার অবস্থা। একটু পর পর খাড়া উচু ঢাল দেখলেই মনে হতো এ আমি কোথায় এসে পরলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম দুইজন মেয়ে আসতেছে পিছনে একটি ছেলে। মেয়েরা সামনে আসতেই জিজ্ঞেস করলো আমরা কোথায় যাচ্ছি। জাদিপাই এর কথা শুনে ওরা বললো অনেক কষ্ট যাওয়া এবং প্রচুর জোঁক। শুনে তো ভয়ে আমাদের অবস্থা খারাপ হওয়ার জোগাড়। কিন্তু সেটা নিয়ে ভাবলে চলবে না তাই সেই ভাবনাটা মাথা থেকে উড়িয়ে দিলাম। চলার পথে ওরা যখনই নেটওয়ার্ক পাচ্ছে গাইডের সাথে কথা বলে নিচ্ছে। এভাবে চোখজুড়ানো সুন্দর কিন্তু ক্লান্তিকর পথ পাড়ি দিতে দিতে হাপিয়ে পরেছিলাম। সাথে বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার। হঠাৎ তানিমের চিৎকার শুনলাম, ওর পায়ে ইয়া বড় আর পিচ্ছিল একটা জোঁক বসে বসে রক্ত খাচ্ছিলো।মেয়েরা জোঁক দেখেই ভোঁ দৌড়।তানিম তো ন্যাকা কান্না শুরু করছে,পরে আমি পাতা দিয়ে ধরে অনেক জোরে টান দিছি কিন্তু এতোই পিচ্ছিল যে ছুটতে চাইছিলো না,লুমি ভাইয়া চেষ্টা করেও পারলোনা, পরে দেখি মিশুপু তার ব্যাগ থেকে লবন বের করে জোঁকের গায়ে দিতেই জোঁক বাবাজি ফুস হয়ে গেছে।সবার শেষের যেই খাড়া রাস্তাটুকু ছিলো সেটা ওঠার সময় বার বার মনে হচ্ছিলো শরীর আর মনের জোর এই বুঝি ভেঙে পড়লো। অতঃপর, যখন আমরা গাইডের দেখা পেলাম তখন সূর্য অস্ত যাওয়া মুহুর্ত এবং আকাশে রক্তিম আভা। গাইড আমাদের শুরুতেই কি কি করা যাবে এবং কি কি করা যাবে না সেই রুলস ও রেগুলেশন নিয়ে একটু ব্রিফ করে দিলো। যেমন- লাইন ধরে দলবদ্ধ হয়ে পাড়ায় ঢুকতে হবে, সবাইকে তার পিছনে থাকতে হবে, জোরে কথা বলা যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। সবশুনে আমরা চললাম বাকলাই পাড়ার উদ্দেশ্যে এবং গাইডকে বার বার জিজ্ঞেস করতে লাগলাম “আর কত দূর.?”। আর উনার উত্তর “এই তো সামনেই “। অথচ অতটুকু ট্রেকিং কে পুরো ট্রিপের ট্রেলার বললেও ভুল হবে। তার চেয়েও কম ছিলো। সামনে ছিলো অনেক লম্বা পথ। পাড়ায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রকৃতিতে অন্ধকার নেমে এলো। আমরা গাইডের বাড়িতে গিয়ে ভেজা কাপড় পরিবর্তন করে নিজেদের খাবার তৈরিতে ব্যস্ত হলাম। তখন সেই আগে কথা বলা থিনদলতে পাড়ার গাইড চলে এলো। পরে ওরা বললো তাদের নিজেদের মধ্যে কথা বলে নিতে। তারা দুইজন ও আমাদের টিমের ছেলেরা কথা বলে সিদ্ধান্ত হলো বাকলাই পাড়ার এই গাইডই আমাদের পুরো ট্রিপ ঘুরাবে। শুরুতে প্লান ছিলো প্রথমদিন থাইক্ষ্যাং পাড়ায় যাওয়ার কিন্তু আমরা প্রথমদিন বাকলাই পাড়া অতিক্রম করতে না পেরে সেই পাড়াতেই থেকে যাই। নাহার আপু রান্না করলো খিচুরি।ইসরাত আপু আর তারিনের নিয়ে যাওয়া আচার দিয়ে খিচুড়ি খেয়ে শুয়ে পরলাম। পরদিন পরিস্থিতি অনুযায়ী প্লান করা হবে এটা ঠিক করে সবাই ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম। অন্যদিকে সারারাত ঝড়সহ প্রবল বৃষ্টিপাত হলো। ভোর ভোর ঘুম ভাঙলো। ঘুম ভাঙতেই শুনতে পেলাম আলোচনা হচ্ছে পরবর্তী যাত্রা নিয়ে। প্রথমদিন ত্লাবং দেখার প্লান ছিলো যদি আমরা আগেরদিন থাইক্ষ্যাং পাড়া যেতে পারতাম। কিন্তু সেটা হয় নি। রাতভর তুমুল বৃষ্টির কারনে ঝিরিতে নাকি অনেক পানি এবং সেই সাথে স্রোতও থাকবে বেশি। আর ত্লাবং এর জন্য কিছুটা পথ ঝিরি ধরে আগাতে হবে।তাই প্লান পরিবর্তন করার কথা হচ্ছে। পাড়ায় বসেই আশেপাশের ঝিরি থেকে পানির স্রোতের শব্দ শোনা যাচ্ছে খুব। নানা রকম দুর্ঘটনার কথা মাথায় আসায় আমরা বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। ভাবলাম এখান থেকে আর না এগিয়ে এই পাড়াতেই দুই একদিন থেকে বরং চলে যাই। ওটা ছিলো মনে মনে আমাদের একটি দুর্বল মনোভাব যেটা প্রকাশের সাহস ছিলো না। যাইহোক, শুয়ে শুয়ে ওদের বললাম “দেখো, তোমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিও না যাতে আমরা বড় কোনো বিপদে পরি”। তারপর সবাই সিদ্ধান্ত নিলো আগে জাদিপাই ঝর্না দেখবে। কারন আমাদের রুটপ্লানে সেখানে যেতে কোনো ঝিরি ধরে আগাতে হবে না। তখনও আমার মনের মধ্যে ইচ্ছাটা ছিলো টিমের কেউ একজন এই পাড়ায় থেকে গেলে আমিও থেকে যাবো।কিন্তু প্রত্যেকেই যাবে তাই আমিও যাবো। সবাই উঠে নিজেদের ফুডপ্যাক থেকে সকালের নাস্তা সেরে নিলাম। আমার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস মিশুপুর ব্যাগে দিয়ে বাকি জিনিসসহ ব্যাগ বাকলাই পাড়ায় রেখেই টিমের সাথে হাটা শুরু করলাম। উদ্দেশ্য জাদিপাই পাড়া তারপর জাদিপাই ঝর্না। বাকলাই পাড়া থেকে সেদিন আরো দুইটি টিম বের হয়েছিলো একটি একটু ছোটো এবং একটি বেশ বড় টিম। আমরা প্রায় সাড়ে সাতটার দিকে বের হলাম। ধীরে ধীরে হাটতে হাটতে এগিয়ে চললাম। কিছুদুর গিয়েই একটি ঝিরি পার হতে হলো। স্রোত থাকায় হিউম্যান চেইন করে ঝিরিটা পার হলাম। এবং হাঁটতে হাঁটতে কিছুক্ষণ পরে বুঝতে পারলাম অসংখ্য জোকের মধ্যে দিয়ে হাঁটতেছি। পরিস্থিতিটা এমন ছিলো যে জোকের ভয়ের দিকে মন দেওয়া যাবে না হাঁটতে হবে। গাইডকে আমরা যতবার জিজ্ঞেস করি কতক্ষণ হাটতে হবে, সে বলে থাইক্ষ্যাং পাড়ার আগের ওয়াই জংশন পর্যন্ত দুই ঘন্টা হাটতে হবে। কিন্তু সেই দুইঘন্টা যেন আর শেষ হয় না। পথটা খুব সুন্দর ছিলো। অসংখ্য ঝিরি আর ছোটো ঝর্না ছিলো। কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রামের জন্য দাঁড়ালে খুব সুন্দর দৃশ্য দেখা যেতো। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো যেনো মেঘের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে এবং শরীর থেকে জোক ছাড়াতে ছাড়াতে প্রায় চার ঘন্টা ট্রেকিং এর পর আমরা পৌছালাম ওয়াই জংশন। সেখানে বিশ্রাম নিলাম কিন্তু বসলাম না জোকের ভয়েতে। অন্য টিমটি চলে গেলো থাইক্ষ্যাং পাড়ার দিকে। সবাই বললো কাছেই থাইক্ষ্যাং পাড়া। তখন মনে হলো যাত্রাটা বোধহয় জাদিপাই পাড়া না হয়ে থাইক্ষ্যাং হলেই ভালো হতো। কিছুটা তাড়াতাড়ি শেষ হতো। তারপর শুরু হলো আবার হাটা। লুমি ভাইয়া গল্প করে, পরামর্শ দিয়ে, মোটিভেট করে করে সামনে নিয়ে যাচ্ছিলো। এবারও ইচ্ছাটা আমার এমন ছিলো যে আগে জাদিপাই পাড়ায় যাই। তখন সিদ্ধান্ত নিবো যে ঝর্না দেখতে যাবো কি যাবো না৷ এই পথেই যাওয়ার সময় শাহরিয়ার মোটিভেশান স্বরূপ বললো জাদিপাই আর ত্লাবং ঝর্না দেখতে পারলে ঢাকায় গিয়ে সুলতানস ডাইন এর কাচ্চি খাওয়াবে। পথের সৌন্দর্য অবলোকন করতে করতে সামনে আগানো শুরু করলাম। বলা হয়েছিলো ওয়াই জংশন থেকে দেড় ঘন্টা ট্রেকিং করলে পাবো জাদিপাই পাড়া। আমরা সেই দেড় ঘন্টার ট্রেকিং কে আমাদের মত করে উপভোগ করতে করতে আগালাম। পথিমধ্যে মনোমুগ্ধকর ছোট্ট একটি পাড়া পরলো। নাম নাকি “উদ্যমী জাদিপাই”। ভীষণ সুন্দর এই পাড়ার কিছু কিছু জায়গায় গিয়ে আমরা ছবি তুলতে লাগলাম। সেই পাড়াতে একরাত থাকার খুব ইচ্ছা জাগলো। কিন্তু সেটা সম্ভব না। মনে মনে আমি কিছুটা আশাহত হলেও আবার সামনে আগালাম। গাইড বললো খুব কাছেই আমাদের গন্তব্য। এবং ধীরে ধীরে আমরা পৌছে গেলাম জাদিপাই পাড়ায়।ওয়াই জংশন থেকে আমাদের সময় লাগলো আড়াই ঘন্টা। বৃষ্টি আর জোকের জন্য সেদিন আমাদের ট্রেকিং টাইমটা কিছুটা বেশি লেগেছিলো। আবার সেই গাইডের নিয়ম অনুযায়ী লাইন ধরে কথা না বলে তার পিছু পিছু হেটে পাড়ায় ঢুকলাম। পাড়ায় ঢুকেই প্রথম মনে হলে “ওয়াও, কি সুন্দর জায়গা”। সময়টা তখন দুপুরের শেষ শেষ, প্রায় আড়াই টার মত হবে। আকাশ কিছুটা মেঘমুক্ত। প্রকৃতিটাকে মনে হলো অন্যরকম সৌন্দর্য নিয়ে বসে আছে। পাড়াটা কল্পনার মত সুন্দর লাগলো আমার কাছে। পাড়াকেন্দ্রটা খুব পছন্দ হলো। শখ হলো সেখানে একটা ছবি তুলবো। কিন্তু তাড়াহুড়ায় ছবিটা তোলা হলো না। যেই ঘরে আমরা থাকবো সেটা আমাদের গাইডের শ্বশুর বাড়ি। সেখানে গিয়ে প্রথমেই চলে গেলাম ভিতরের রুমের পাশে খালি জায়গাটায়।এবং বেশ খানিকটা সময় নিয়ে আমরা শরীরে জোক আছে কিনা চেক করতে লাগলাম। হালকা কিছু খেয়ে প্রায় সাড়ে তিনটা নাগাদ বের হলাম ঝর্নার উদ্দেশ্য।পাহাড়ে যাওয়ার আগেই খুব ইচ্ছা ছিলো পাহাড়ি মুরগী খাওয়ার। তাই যাওয়ার আগে যে ঘরে আমরা থাকবো তাদের বলে দেওয়া হলো একটা পাহাড়ি মুরগীর ব্যবস্থা করতে। পাড়া থেকে বের হয়ে আমাদের এবার শুরু হলো নামার পালা। বেশ ক্ষানিকটা সময় ধরে নামতে নামতে টের পেলাম পাহাড়ে শুধু ওঠাটাই কষ্টকর না, নামাটাও কষ্টের। এভাবে নেমে নেমে আমরা একটা সময় ঝিরি পার হলাম। কিন্তু ঝিরি পার হতেই মনে হলো যেন আর রাস্তা নেই, ঝোপঝাড়ের মধ্যে দিয়ে হাটা দিলাম। গাইডকে গলা ছেড়ে ডেকে ডেকে একটু নিশ্চিত হয়ে নিলাম যে সামনে আগাবো কিনা। সামনে আগাতে আগাতে ধীরে ধীরে ঝর্নার শব্দ কানে আসতে লাগলো। এবং অনুভুতিটা তখন থেকে ভালো হতে শুরু করলো। সামনে আগানোর স্পৃহা টা বেড়ে গেলো। যেতে যেতে একটা ব্রিজ পেলাম। ব্রিজের ওপর রাস্তাটা ভালো না। আসিফ বললো পাহাড় ধ্বস হয়েছিলো নাকি। সেই ব্রিজ, ব্রিজের ওপর মাটি,গাছপালা পরে থাকা রাস্তা পার হয়ে সামনে যেতে থাকলাম। এর মধ্যেই শুনলাম কেউ জোরে জোরে চিল্লাচ্ছে। বুঝলাম আমাদের টিমের কেউ ঝর্নার কাছে চলে গেছে। সেটা তানিম ছিলো। সামনে গিয়ে যখন ঝর্নাটা দেখতে পেলাম তখন মনে হলো যেনো একটা ঘোরের মধ্যে যাচ্ছি। তখন প্রায় পাঁচটা বাজে, প্রকৃতিতে বিকেলের স্নিগ্ধতা। আগের রাতের ভারি বৃষ্টির জন্য ঝর্নায় পানি অনেক বেশি। পানির প্রবাহ, আর শব্দ মিলে সেখানটায় ছিলো এক বিমোহিত পরিবেশ। টিমের সবাই বললো জাদিপাই এর এই রুপ কোনো ছবিতেই নাকি দেখে নাই। প্রথম দেখা যায় যেখান থেকে সেখানে আমরা কিছু ছবি তুলে নিলাম। কিন্তু কথা হলে আরো নিচে নামবো কিনা। নিচে নামার রাস্তাটা ভয়ংকর খারাপ। কোনো রাস্তা নাই। একদম খাড়া, পাথর ভাঙা নুরি এবং গাছ উপরে পরা। ধরে নামা বা ধরে ওঠার মত কিছু নাই। তখন তানিম আর হৃদয় বললো “এতটা রাস্তা এসেছো। কিছুটা নিচে নেমেই দেখো।” বিশেষ করে লুমি ব্রো বলেছিলো যে “আরেহ পারবা, নামো”। এবারে মনে হলো শাহরিয়ারের সাহস বেড়ে গেলো। সেও নামার কথা বলতে লাগলো। যতটা সম্ভব নিচে নামলাম “আল্লাহ আল্লাহ ” করতে করতে। এখনো ওই রাস্তাটুকুর কথা মনে পরলে ভয় করে। সামান্য ভারসাম্য এদিক সেদিক হলেই নিচে পরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ভীষণ সুন্দর সেই ঝর্নাকে আরো কিছুটা কাছ থেকে দেখার অনুভূতি টা তখন অনেক বেশি ভালো ছিলো। খুব বেশি কাছে না গিয়েও প্রচুর পানির প্রবাহ থাকায় ছিটে পানিতেই আমরা সবাই ভিজে একাকার। ঠিকমত ছবিও তোলা যাচ্ছিলো না পানির জন্য। তখন প্রায় শেষ বিকেল। কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা নামবে। সুতরাং ফিরতে হবে আমাদের। সবাই চেয়েছিলো সন্ধ্যার আগে অন্তত ঝোপঝাড়ের রাস্তাটুকু যেনো পার হতে পারি। আমরা সৌন্দর্য অবলোকনের পার্ট চুকিয়ে ফিরার জন্য ভাবলাম। মাত্র আধ ঘন্টা সময়ে কিছু অপার সৌন্দর্যের মুহুর্ত কাটিয়ে সাড়ে পাচটার দিকে ফিরতে শুরু করলাম। কিছুটা ফিরার পরই সন্ধ্যা টা যেন হঠাৎ নেমে এলো। হেড ল্যাম্প জালিয়ে আমরা হাটা অব্যহত রাখলাম। অন্ধকারে পোকামাকড়ের নানা রকম শব্দের সাথে চলতে থাকলাম। একটু পর পর পায়ে বসা জোক ছাড়াই। এর মাঝে মনে হলো পায়ে একটু বেশিই জ্বলতেছে। লাইট দিয়ে দেখি যেই জায়গাটায় ফোসকা পরেছিলো সেটার চামড়া উঠে গেছে এবং সেই ক্ষততে জোক কামরে ধরেছে। তখন ভীষন রকমের জ্বলন হচ্ছিলো। কোনোমতে জোকটা ছাড়িয়ে আবার হাটা দিলাম। এর মধ্যে পিছন থেকে কেউ কেউ এসে আমাদের ক্রস করে সমানে চলে যাচ্ছে। মাঝে শুনতে পেলাম লুমি ভাইয়া পায়ে খুব ব্যথা পেয়েছে গাইড তাকে নিয়ে আসতেছে। তারপরে আগাতে আগাতে আমরা পাড়ায় পৌছালাম প্রায় সাড়ে সাতটার দিকে। এসে গোসল করে ঘরে গিয়ে বসলাম আর প্রচন্ড শীত জেকে বসলো। সেই সাথে শরীরে ব্যথা আর অবসাদ। লুমি ভাইয়া এসেছিলো বেশ দেরি করে। তার শরীর খুব খারাপ ছিলো। এসেই সে রেস্ট নিচ্ছিলো। মুস্তাফিজ ভাই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও মেডিসিন দিয়েছে। অন্যদিকে আমাদের রান্না হচ্ছে। আজকের রান্না করছে নাহার আপু। সবাই মিলে বললাম মাংস টা ঝাল বেশি দিয়ে রান্না করতে। বাকিদের কেউ কেউ কাটাবাটায় সাহায্য করছে। আমি গিয়ে চুলার পাশে বসলাম আগুন পোহাতে। পায়ের সেই ফোসকা পরা, জোকে ধরা জায়গাটা দেখে মিশু আপু বললো এটাতে ইনফেকশন হয়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। শুনে একটু ভয় পেলাম, আর ব্যথাটাও ছিলো প্রচন্ড। কিন্তু মুস্তাফিজ ভাই প্রাথমিক একটা চিকিৎসা দিয়ে দিলো। কিছু সময় অন্তর অন্তর দুইটা মলম দিলো আমাকে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে নিতে। খাবার হয়ে গেলে আমরা সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়ে নিলাম। আরো কিছু ওষুধও সে রাতে খেয়ে নিয়েছিলাম পরদিন ঠিকমত হাটার জন্য। ইনশাআল্লাহ চলবে,,,,, লেখকের কিছু কথাঃ- জিজেবাসী পাঠকের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য আমার মতো অধম,সাধারন,পুচকু লেখককে প্রেরনা জোগাবে ইনশাআল্লাহ। তাই অনুরোধ রইলো আমাকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য।কিছু কন্টেন্ট ইন্টারনেট থেকে নেয়া।আমি এই গল্পটিতে অতটা চরিত্রের কথোপকথন যোগ করিনি চেষ্টা করেছি কম কথা বলে ঘটনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।পরের পর্ব গুলা কি তোমরা চাও? চাইলে সুন্দর মন্তব্য উপহার দিতে হবে।gjঅনেকেই ভ্রমণ গল্প লিখতেছো রিসু,শাহরিয়ার তোমাদের প্রতি দোআ রইলো তোমরা আরও এগিয়ে যাও। আমার গল্প গুলা বাস্তবিক করার চেষ্টা করি অতোটা মজাদার না কিন্তু তোমাদের গল্প গুলা সত্যিই অনেক মজাদার বিশেষ করে তানিম ভাইয়ার মন্তব্য গুলা আরও মজার।gj ভুল ত্রুটির কাফফারা স্বরুপঃ- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়াতুবু ইলাইক। আলহামদুলিল্লাহ loveভালোবাসা অবিরামlove


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৫৮ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • _Dead_
    User ২ বছর, ২ মাস পুর্বে
    এটার বাকিগুলা কইgj

  • Gizem
    User ২ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    nice gj

  • Radiyah Ridhi
    Golpobuzz ২ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    খুব ভালো লাগলো। সুন্দর গল্প ✌️

  • Sᕼᗩᕼᗩᖇᓰᗩᖇ
    User ২ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    ✍️

  • [তা-নি-ম]
    User ২ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    ভাভাগো, কত্ত বড় গল্প! এই গল্প পড়িয়ে তো একটা মানুষকে আধমরা করে ফেলা যাবে!!! যাইহোক,সুন্দর ভাবেই ভ্রমনকাহিনী প্রেজেন্টেশন করছেন, সব কিছু ঠিক ঠাক ই লেগেছিলো ঝোকের কাছে নিয়ে আসতেই কেমন যেন সব উল্টিয়ে গেলো!!!! ঝোকের ব্যাপারটা সাইডে রাখলে,ঘুরাঘুরি, এনজয়,খাওয়া-দাওয়া,খাড়া পাহাড়,ওভারঅল সুন্দর!!! নেক্সট!!!!!"

  • ☯পিচ্চি হুজুরッ
    User ২ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    wow

  • Sᕼᗩᕼᗩᖇᓰᗩᖇ
    User ২ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    ওয়াও নাইস ধন্যবাদ আমাকে নেওয়ার জন্য thumbsup