বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
পার্ট ২
বৃদ্ধ কুরু তার বাসার সামনে এসে দাঁড়াল। ভারী দরজার সামনে লাগানো ছাট মডিউলে চোখের রেটিনা স্ক্যান করানোর সাথে নিঃশব্দে দরজাটা খুলে বল বৃদ্ধ কুরু ঘরের ভেতরে ঢুকে রুহানকে ডাকল, “এসো রুহান।” রুহান ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল, “তুমি এখন রেটিনা স্ক্যান করে ঘরে কে?
বৃদ্ধ কুরু দুর্বল ভঙ্গিতে হেসে বলল, “ক্রিস্টালগুলোর জন্যে তা না হলে মার ঘরে মূল্যবান কী আছে, বল?" রুহান মাথা ঘুরিয়ে বৃদ্ধ কুরুর দিকে তাকিয়ে বলল, “তোমার অনেকগুলো স্টোল ?
বলতে পারো ।
"এত ক্রিস্টাল দিয়ে তুমি কী করবে?” বৃদ্ধ কুরু হাসার চেষ্টা করে বলল, “জানি না কী করব। আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন পুরো পৃথিবীতে নেটওয়ার্ক ছিল। পৃথিবীর যে কোনো মানুষ যে কোনো জায়গা থেকে তথ্য আনতে পারত। এখন তো আর পারে না। তাই ক্রিস্টালগুলো জোগাড় করেছিলাম—যতটুকু সম্ভব তথ্য জমা করে রাখার জন্যে এত তথ্য তো আমি সারাজীবনে দেখতে পারব না, তবু এক ধরনের সখ।"
“তোমার কাছে কীসের কীসের ক্রিস্টাল আছে কুরু?"
বৃদ্ধ কুরু একটু হেসে বলল, “কীসের নেই। ব্যাক্টেরিয়া ভাইরাস থেকে শুরু করে নীল তিমি, পরমাণু থেকে গ্যালাক্সী, প্রেতচর্চা থেকে বিজ্ঞান সবকিছু
আছে।" “পৃথিবীর সব ক্রিস্টাল কী কারো কাছে আছে?”
“উঁহু। সেটি সম্ভব না। জ্ঞান তো থেমে থাকে না। নতুন জ্ঞানের জন্ম হলেই নতুন ক্রিস্টালে সেটা রাখা হয়। তাই একজনের কাছে কখনোই সব ক্রিস্টাল থাকতে পারে না।"
রুহান বৃদ্ধ কুরুর ঘরের একটা পুরানো চেয়ার টেনে সেখানে বসে বলল, “কুরু, তোমার কী মনে হয় এখনো পৃথিবীতে নতুন জ্ঞানের জন্ম হচ্ছে? নতুন ক্রিস্টালে সেটা লেখা হচ্ছে?” বৃদ্ধ কুরু কিছুক্ষণ রুহানের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, “আমি জানি না
রুহান। যদি সত্যি সত্যি সেটা বন্ধ হয়ে থাকে, তাহলে বুঝবে পৃথিবীতে সভ্যতা
বলে আর কিছু নেই ।" রুহান আর বৃদ্ধ কুরু কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইল, বাইরে পাখির কিচির মিচির ডাক শোনা যেতে থাকে, সন্ধ্যেবেলা মানার মন।
বৃদ্ধ কুরুর দিকে তাকিয়ে
বলল, “কুর, আমার মাঝে মাঝে মাথার মধ্যে খুব ভয়ানক একটা চিন্তা আসে।"
বৃদ্ধ কুরু জিজ্ঞেস করল, " চিন্তা?"
“আমাদের যে ক্রিস্টাল রিডারগুলো আছে, সেগুলো যদি এক সময় নষ্ট হয়ে যায় তখন কী হবে?”
“নষ্ট হয়ে যায়?"
হ্যাঁ।
"কিন্তু" বৃদ্ধ কুরু ঠিক বুঝতে পারল না, ইতস্তত করে বলল, "নষ্ট হয়ে যায় মানে কী?"
“এখন যদি আমি আমার কথা জমা করতে চাই, ক্রিস্টাল রিডারে সেটা জমা থাকে। শুনতে চাই ক্রিস্টাল রিডারে শুনতে পাই। কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে ক্রিস্টাল রিডারে খোঁজ করি। সবকিছু আমরা করি ক্রিস্টাল রিস্তার দিয়ে।
"হ্যা।" বৃদ্ধ কুরু এখনো ঠিক বুঝতে পারছে না, ভুরু কুচকে বলল, “ক্রিস্টাল রিডার দিয়েই তো করব।”
রুহান বলল, “কিন্তু ক্রিস্টাল রিডার তো একটা যন্ত্র। একটা যন্ত্র তো নষ্ট। হতেই পারে। পারে না?”
“কিন্তু এটা তো সেরকম যন্ত্র না। এর মাঝে কিছু নড়ছে না, কিছু ঘুরছে না। ক্রিস্টালের অণুগুলোর মাঝে তথ্য সাজানো হয় সেখান থেকে তথ্য বের হয়ে আসে..."
“রুহান একটু উত্তেজিত গলায় বলল, “কিন্তু তারপরেও সেটা তো নষ্ট হতে পারে। আমাদের শুরুনের ক্রিস্টাল রিডার নষ্ট হয়ে গেছে না)
বৃদ্ধ কুরু হেসে বলল, “শুরুনের কথা ছেড়ে দাও। সে নিদানি পাতার নির্যাস খেয়ে নেশা করে তার ক্রিস্টাল রিডারটা ফায়ার প্রেসের আগুনে ফেলে। দিয়েছে। সেটা নষ্ট হবে না তো কী হবে?
“তা যাই হোক, কিন্তু তার ক্রিস্টাল রিডার তো নষ্ট হয়েছে। এখন সে পাগলের মতো একটা খুঁজছে খুঁজে পাচ্ছে না। আমি শুনেছি পৃথিবীতে আর ক্রিস্টাল রিডার তৈরি হয় না।”
বৃদ্ধ করু একটু গম্ভীর হয়ে বলল, “হ্যা। আমিও শুনেছি পৃথিবীর নেটওয়ার্ক ধ্বংস হবার পর আর ক্রিস্টাল রিডার তৈরি হয় না। শেষ ক্রিস্টাল রিভার তৈরি
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...