বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
দিকে এগিয়ে এসেছেন, আম্মু চারিদিকে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো দেখিয়ে আব্বুকে জিজ্ঞেস করলেন, “এখানে এত মানুষ কেন?” তাদের কারো কিছু মনে নেই।
আব্বু বললেন, “বুঝতে পারছি না। দেখি কাউকে জিজ্ঞেস করে ।” তিতুনি দেখল আব্বু শামীমের কাছে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “এখানে কী হয়েছে? এত মানুষ কেন? এত যন্ত্রপাতি কেন?” শামীম মাথা চুলকে বলল, “ঠিক বলতে পারছি না। আমরা এলিয়েন লাইফ ফর্ম খুঁজি, হয়তো এখানে সে রকম সিগন্যাল ছিল। দেখি আমি আমাদের টিম লিডারকে জিজ্ঞেস করি।"
তিতুনি দেখল শামীম রিক গার্নারের কাছে গিয়ে তাকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করল। রিক গার্নার শূন্য দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ শামীমের দিকে তাকিয়ে রইল তারপর হঠাৎ মুখ বিকৃত করে একটা হিংস্র পশুর মতো শব্দ করল।
শামীম লাফ দিয়ে পিছনে সরে গিয়ে ভয় পাওয়া গলায় বলল, “নাহার, প্রফেসর গার্নারের কী হয়েছে? এ রকম করছে কেন?”
নাহার বলল, “বুঝতে পারছি না। প্রফেসর ক্লাইডও খুব বিচিত্র ব্যবহার করছেন। কথা না বলে কেমন জানি শব্দ করছেন। জন্তুর মতো শব্দ।”
তিতুনি দেখল আব্বু তাদের কাছ থেকে সরে আসছেন, সবাই মিলে রিক গার্নার আর বব ক্লাইডকে ধরে ট্রেইলারের ভিতর নিয়ে যাচ্ছে। মানুষ দুটো হিংস্র পশুর মতো শব্দ করে যাচ্ছে।
এলিয়েন মেয়েটি যাবার সময় রিক গার্নার আর বব ক্লাইডের সব স্মৃতি শুধু মুছে দেয়নি, তাদের মস্তিষ্কটি তাদের উপযুক্ত করে সাজিয়ে দিয়েছে, হিংস্র পশুর মতো। তাদের যে রকম হবার কথা।
তিতুনি চারিদিকে তাকায়, কারো মাথায় এলিয়েনের কোনো স্মৃতি নেই, শুধু তার মাথায় আছে। এলিয়েন মেয়েটি তার অনুরোধ রেখেছে। অন্য সবার স্মৃতি মুছে দিলেও তার স্মৃতিটি মুছেনি। তিতুনিকে সে তার স্মৃতিটি উপহার দিয়ে গেছে।আম্মু একটু অবাক হয়ে তিতুনির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন, তারপর বললেন, “আচ্ছা তিতুনি, তুই কি কিছু জানিস এখানে কী হচ্ছে?”
তিতুনি আম্মুর দিকে তাকাল, আম্মু বললেন, “তোকে দেখে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে তুই কিছু একটা জানিস!”
তিতুনি মাথা নাড়ল, বলল, “না আম্মু। আমি কিছু জানি না।” তারপর চোখ বন্ধ করে মনে মনে বলল, “খোদা, আমি আম্মুর সাথে মিছে কথা বলেছি। তুমি আমাকে মাফ করে দিও।”অন্ধকার রাতে যখন আকাশে লক্ষ লক্ষ তারা ওঠে তখন তিতুনি তাদের ছাদে একটা মাদুর পেতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে।
আব্বু জিজ্ঞেস করেন, “তুই কী দেখিস তিতুনি?” তিতুনি বলে, “আকাশের তারা দেখি।”
আম্মু বললেন, “তারার মাঝে আবার দেখার কী আছে?” তিতুনি বলে, “এই আকাশের বহু দূরে একটার পর একটা গ্যালাক্সি আছে, সেই গ্যালাক্সিতে হয়তো কোথাও কোনো প্রাণী থাকে, তারা হয়তো সেখানে থেকে আমাদের কথা ভাবছে-এটা চিন্তা করতে আমার খুব ভালো লাগে।”
টোটন হি হি করে হেসে বলে, “আমাদের তিতুনি ফিলোসফার
হয়ে গেছে আম্মু! দেখেছ?”
তিতুনি কিছু বলে না, সে আকাশের নক্ষত্রের দিকে তাকিয়েই থাকে। না সে ফিলোসফার হয়নি। সে কী হয়েছে সে নিজেও জানে না।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now