বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বুলেট বের হয়ে তোমার মাথায় আঘাত করতে যাচ্ছিল, মাঝপথে থেমে গেছে।”
তিতুনি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, কী অবাক লাগছে দেখতে! এলিয়েন তিতুনি সাবধানে শূন্যে ঝুলে থাকা বুলেটটা ধরে তিতুনির হাতে দেয়, বলো, “নাও। দেখো এখনো গরম হয়ে আছে। আরেকটু হলে এটা তোমার মাথায় ঢুকে যেত।”
তিতুনি এলিয়েনের দিকে তাকিয়ে বলল, “থ্যাংকু, আমাকে
বাঁচানোর জন্যে।"
এলিয়েন মেয়েটি হাসল, বলল, “যখন আমি থাকব না, তখন নিজেকে দেখে-শুনে রেখো।"
“রাখব।”
তিতুনি অবাক হয়ে চারিদিকে তাকাল, চারপাশে সবাই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আম্মুর মুখে অবর্ণনীয় আতঙ্ক, আব্বু ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছেন, টোটনের চোখে-মুখে অবিশ্বাস। সবাই মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে।
রিক গার্নারের মুখে হিংস্র একটা ভঙ্গি, চোখগুলো লাল, মুখের ফাঁক দিয়ে জিভ বের হয়ে আছে। বব ক্লাইডের মুখ কুঁচকে আছে, এটমিক ব্লাস্টারটা দুই হাতে ধরে রেখেছে। এদিকে সেদিকে অনেক মানুষ, সবাই বিচিত্র ভঙ্গিতে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এলিয়েন মেয়েটি চারিদিকে তাকিয়ে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
“আমার এখন যেতে হবে তিতুনি।” তিতুনির চোখে হঠাৎ পানি এসে গেল, বলল, “তুমি চলে গেলে আমার খুব কষ্ট হবে।”
এলিয়েন বলল, “হবে না। যাবার আগে আমি তোমার স্মৃতি মুছে
দিয়ে যাব। সবার স্মৃতি মুছে দিয়ে যাব।" তিতুনি বলল, “না, প্লিজ না। আমার স্মৃতি মুছে দিও না। আমি তোমাকে মনে রাখতে চাই।”
এলিয়েন মেয়েটি মাথা নেড়ে বলল, “না, তিতুনি এটা হয় না। আমি যেখান থেকে এসেছি সেখানে কখনো কোনোদিন এই নিয়মভাঙা হয়নি, তুমি আমাকে এই অনুরোধ করো না। আমাকে সবার সব স্মৃতি মুছে দিতে হবে।”
তিতুনি প্রায় হাহাকারের মতো শব্দ করে বলল, “প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ তুমি আমার স্মৃতি মুছে দিও না। আমি তোমাকে মনে রাখতে চাই।”
এলিয়েন মেয়েটি তিতুনির হাত ধরে বলল, “আমাকে বিদায় দাও
তিতুনি। আমি যাই ৷” তিতুনি মেয়েটিকে বুকে জড়িয়ে ধরল। গালে ঠোট স্পর্শ করল, চুলে হাত বুলিয়ে দিল, তারপর চোখ মুছে বলল, “বিদায়। তুমি যেখানেই থাকো ভালো থেকো।”
এলিয়েন মেয়েটি তিতুনির হাত ছেড়ে দিয়ে নীল আলোটার দিকে
এগিয়ে যায়। কাছাকাছি পৌঁছে সে একবার ঘুরে তাকাল, হাত নাড়ল।
তিতুনি অবাক হয়ে দেখল এলিয়েন মেয়েটির চোখের নিচে চিকচিক
করছে পানি।
এলিয়েন মেয়েটি তারপর নীল আলোর বলয়ের ভেতরে ঢুকে গেল। সেখানে দাঁড়িয়ে দুই হাত ধীরে ধীরে দুই পাশে ছড়িয়ে দেয় তার শরীর তখন ঘুরতে থাকে। ঘুরতে ঘুরতে শরীরটা হঠাৎ উপরে উঠতে থাকে, দেখতে দেখতে সেটি নীল আলোর টানেলের ভেতর দিয়ে আকাশের দিকে ছুটে যেতে থাকে। দেখতে দেখতে সেটি অদৃশ্য হয়ে যায়। তিতুনি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে-তাকিয়েই থাকে।
হঠাৎ করে তিতুনি শুনতে পেল টোটন তাকে জিজ্ঞেস করল, “এই তিতুনি, তুই এ রকম হাঁ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছিস কেন?”
তিতুনি মাথা নামিয়ে আনে। একটু আগে মূর্তির মতো স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো নড়তে শুরু করেছে। আম্মু আর আব্বু তার
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now