বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ফাক্কু স্যার ক্লাশের দিকে তাকালেন, ফ্যাকাসে মুখে বললেন, “ক হল অমর?” অন্য-তিতুনি হাসি হাসি মুখে বলল, “স্যার, আপনি আকার
উকার-একার ব্যবহার না করে কথা বলার চেষ্টা করছেন।”
স্যার ফ্যাকাসে মুখে মাথা নাড়লেন। ক্লাশের ফার্স্ট গার্ল যে সবকিছু জানে সে বলল, “স্যার আপনার মনে হয় ব্রেন স্ট্রোক
করেছে।” ফাক্কু স্যার চোখ কপালে তুলে বললেন, “ব্রন স্টর্ক?"
“জি স্যার। ব্রেন স্ট্রোক হয়ে ব্রেনের যে জায়গায় আকার-উকার একার আছে সেটা ড্যামেজ হয়ে গেছে। তাই আকার-উকার একার বলতে পারছেন না।”
ফাক্কু স্যারের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল, স্যার বললেন, “তই কমন কর জনস?" কারো বুঝতে সমস্যা হলো না স্যার বলার চেষ্টা করছেন, “তুই কেমন করে জানিস?”
মেয়েটা উত্তর দেওয়ার আগেই অন্যেরা বলল, “ওর আব্বু
ডাক্তার।” ডাক্তারের মেয়ে নিশ্চয়ই অর্ধেক ডাক্তার হবে, তাই ফাক্কু স্যার তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “ওখন ক হব?” অর্থাৎ “এখন কী হবে?”
ডাক্তারের মেয়ে মাথা চুলকাতে থাকে, এখন কী হবে সে জানে না। তখন অন্য-তিতুনি বলল, “স্যার, মনে হয় আপনাকে আবার নূতন করে শিখতে হবে।"
ফাক্কু স্যার মুখ কালো করে বললেন, “নতন কর শখত হব?” “জি স্যার, প্রথমে আকার বলা প্র্যাকটিস করেন, তারপর ইকার, তারপর উকার এভাবে আস্তে আস্তে শিখতে হবে।"
ফাক্কু স্যার একটু আগে স্টিলের রুলার দিয়ে পিটিয়ে অন্য তিতুনিকে খুন করে ফেলতে চেয়েছিলেন। ঠিক করে কথা বলতে না পারায় এই ভয়াবহ বিপদে পড়ে এখন সেসব ভুলে গেছেন। যে যেই পরামর্শ দিবে সেটাই মেনে নিতে রাজি। অন্য-তিতুনির পরামর্শ খুব আগ্রহ নিয়ে শুনলেন।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...