বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমি অনিম। একজন মানুষকে তো নানা ভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া যায়, তাই এই ছোট্ট গল্পে আমার পরিচয় আমি একজন ক্রীড়া প্রেমী বা খেলা পাগল। এই খেলা নিয়েই একটা ছোট্ট মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি সবার সাথে।
আমাদের দেশে খেলাধুলা পছন্দ করে না এমন একজন ছেলেকে খুঁজে পাওয়া আর AB গ্রুপের রক্ত ধারী মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেকটাই একই।। বাঙালি হিসেবে ক্রিকেট প্রেম থাকাটা অস্বাভাবিক কিছুই নয়, যদিও বা গ্রামাঞ্চলের মেয়েদের ক্ষেত্রে তা কিছুটা কমই পরিলক্ষিত হয়। আর ফুটবল হলে তো কথাই নেই। বাঙ্গালিরা দুইভাগে ভাগ হয়ে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা সমর্থনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
ঠিক সেভাবেই আমিও ক্রিকেট-ফুটবলের বিরাট ভক্ত। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস, আমার গার্লফ্রেন্ড আবার খেলাধুলাকে প্রচন্ড অপছন্দ করে। আমার খেলতে যাওয়া এবং খেলা দেখা নিয়ে তার অভিযোগের শেষ নেই। তার এক কথা, খেলতে যাওয়া এবং খেলা দেখা চলবে না।।। এমনভাবেই একদিন বিষয়টা এতটাই গুরুতর হয়ে গেলো সে বলেই বসলো "খেলা বাদ না দিলে সম্পর্ক শেষ????।"
এখন ভালোবাসার মানুষের জন্য একটা পছন্দের বিষয় তো ত্যাগ করাই যায়। কিন্তু আমার কাছে বিষয়টা ততোটাও সহজ ছিল না। যার কারণে আমি চিন্তা করলাম, " এতদিন থেকে অর্পিতার ( আমার গার্লফ্রেন্ড) সাথে আমার সম্পর্ক, এতো তুচ্ছ একটা বিষয়ের জন্য ও সম্পর্ক ভাঙবে না। ???? হয়তো আজ একটু হুমকি দিচ্ছে, কাল এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। এতো সহজে কথা মেনে নেয়া ঠিক হবে না।"
তাকে বলে দিলাম, "আমি খেলা ছাড়তে পারবো না।"
ওপাশ থেকে উত্তর আসলো, "ম্যাসেজ দিবা না আমাকে। " ????????
ভাবলাম ঠিক আছে, মাথাটা একটু ঠান্ডা হোক, পড়ে ম্যাসেজ দিবো। কিন্তু পড়ে যতবার ম্যাসেজ দিছি ততোবারই একটাই কথা, "খেলা না ছাড়লে ম্যাসেজ দিও না।" ????????????
এভাবে একটা দিন চলে গেলো। দ্বিতীয় দিন,,,,
আমিঃ দেখো ছোটবেলা থেকে খেলার প্রতি আমার আলাদা একটা ঝোক ছিলো। টিভিতে খেলা হলে কখনোই মিস করতাম না।। মায়ের কাছে কতবার বকা খাইছি, তারপরও খেলা দেখা বাদ দেই নাই। রেজাল্ট খারাপ হইছে, উরাধুরা পিটানি খাইছি, মা টিভির সামনে বসতে দিতো না, তারপরও পাশের বাড়িতে গিয়া খেলা দেখছি।। সেই খেলা আমি কিভাবে ছাড়বো বলো? (ইমোশনাল বানানোর জন্য ২/৪ লাইন বানাই বললাম ????)
অর্পিতাঃ কিভাবে ছাড়বা তুমি জানো, কিন্তু ছাড়তে হবে ব্যস।
(এক বস্তা ইমোশনরে মাটি চাপা দিয়া দিলো ????)
আমিঃ শুনো, খেলাকে আমি ভালোবাসি ১৫ বছর ধরে, আর তোমাকে ৫বছর ধরে। কিভাবে খেলাকে ছাড়তে পারি আমি??
অর্পিতাঃ ঠিক আছে।
আমিঃ ☺️☺️
অর্পিতাঃ তাইলে আমারেই ছাইড়া দাও।
আমিঃ ????????????
আমিঃ আমার ভালো লাগার কোনো দাম নেই তোমার কাছে?? তোমাকে তো খেলা দেখতে বলছি না, আমি দেখবো শুধু।।
অর্পিতাঃ আমি খেলা সহ্য করতে পারি না। আমার খারাপ লাগার দাম নেই তোমার কাছে??
(আমার তীর আমার দিকেই ছুড়তেছে ????????)
নাহ এভাবে হবে না, একটা সাময়িক সমাধান খুজতে হবে। কি করা যায়, হ্যা উপায় পাইছি ????
আমিঃ আমি খেলা দেখা ছাড়বো এক শর্তে।
অর্পিতাঃ কি শর্ত??
আমিঃ বিয়ের পর তোমাকে তোমার ভালোবাসা দিয়ে আমার মাথা থেকে খেলাধুলা দুর করতে হবে। যেমন ধরো আমি খেলা দেখতে বসলাম, তুমি তোমার ভালোবাসা দিয়ে আমাকে আকৃষ্ট করবা যাতে আমি খেলা বাদ দিয়ে তোমার কাছে ছুটে যাই। পারবা??
অর্পিতাঃ ঠিক আছে। কিন্তু বিয়ের আগে খেলা দেখা চলবে না।।
আমিঃ না না তা তো চলবে না। আমি এখন খেলা না দেখলে তো বিয়ের পর এমনিতেই দেখতে ইচ্ছে করবে না।। তাহলে কিভাবে তুমি ভালোবাসা দিয়ে আমার মাথা থেকে খেলার ভুত নামাবা?
অর্পিতাঃ কিন্তু,,,,
আমিঃ কি নিজের ভালোবাসার প্রতি নিজের বিশ্বাস নেই??
অর্পিতাঃ অবশ্যই আছে।
আমিঃ তাহলে??????
অর্পিতাঃ যাও বিয়ের আগে যত খুশি দেখো।
????????????????
আর এভাবেই অর্পিতার কাছ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য খেলা দেখার অনুমতি আদায় করলাম।। তো বন্ধুরা, কি মনে হয়? অর্পিতা কি পারবে, তার ভালোবাসা দিয়ে অনিমের মাথা থেকে খেলার ভুত নামাতে??
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now