বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়ামিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
দুরুদ ও সালাম সাইয়েদুল মুরসালিন,ইমামুল আম্বিয়া, রহমাতুল্লিল আলামীন, আল্লাহর হাবীব,ঈমানদারের প্রাণের স্পন্দন, আমাদের জান এবং সবকিছুর চাইতেও প্রিয় হাবিবে কিবরিয়া নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি।
আল্লাহুম্মা সল্লি আ'লা মুহাম্মাদিন আফদ্বলা সলাতিকাআসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ।আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবীব আল্লাহ।আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রহমাতুল্লিল আলামীন।
মেহেরবান,কোরবান,কলিজার টুকরা পোলাপান, হেয়ার ইজ বিজয়(পিচ্চি হুজুর) এন্ড তোমাদের জন্য নিয়ে আসলাম আরও একটি ব্রেন্ড নিউ রোমাঞ্চকর ভ্রমনমূলক গল্প।
গল্পেরঝুড়ি ওয়েবসাইট এর Admin রা জিজেসদের নিয়ে এক বিশাল শিক্ষা সফরের আয়োজন করেন।এই ভ্রমণে শুধু জিজেসরা না চাইলে তাদের গোটা ফ্যামিলিও যেতে পারবে। কারন ইয়া বড় একটা বিশাল লঞ্চ ভাড়া করা হয়।
যেহেতু ফ্যামিলি মেম্বাররা যেতে পারবে তাই মেয়েদের নিয়েও আর কোন সমস্যা থাকলো না।
নির্ধারিত সময়ের ভিতরে form পূরন করে আগেভাগে বুকিং দেয়ার জন্য সবাইকে বলা হলো।জিজেসরা সবাই নির্দিষ্ট সময়ে form পূরন করে টাকা জমা দিয়ে বুকিং দিয়ে দিছে।
এই ভ্রমণে মিশুপু বলে দিয়েছেন তিনি যাবেন না কারন উনার নাকি ছুটি নাই।শনিবার সরকারি অফিস বন্ধের দিনও উনাকে অফিস করতে হয়।
শুনেই সকল জিজেসদের সবার মন খারাপ হয়ে গেলো বিশেষ করে রিদাপু,তারিন আপু,মুস্তাফিজ তো বলেই ফেললো,
ধুর কচু মিশুপু যাবে না আমরাও যাবোনা তাহলে।
দুষ্টুর দল বিজয়, তানিম আর হৃদয় ঠিক করে কিছু একটা করার দরকার!
মিশুপুর বসের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করে।যেভাবেই হোক মিশুপুর জন্য শনিবার to সোমবার ছুটি নিতেই হবে উনার কাছ থেকে।
লুমি ভাইয়া ঠিকানা জোগাড় করে দিলো সেই থেকে মিশুপুর বসের উপরে নজর দেওয়া শুরু,বেটাকে একবার হাতের নাগালে পেলে ক্ষেতে ফালাইয়া উত্তম মধ্যম দিয়ে গাছে ঝুলাইয়া দিতাম।
CID মানুষ তারা অনকে বিচক্ষন কিভাবে যেনো ধরে ফেললেন আমরা উনাকে ফলো করছি, উনি আমাদের কাছে এসেই কানটা ধরে বলেন, এই যে পুচকুর দল কয়েকদিন থেকেই আমার আশেপাশে তোমাদের দেখছি ব্যাপারটা কি?
আমরা তো ভয়ে শেষ! পেট পাতলা তানিম সব বলে দিলো যে মিশুপুর ছুটির জন্য আপনাকে ক্ষেতে ফালাইয়া উত্তম মধ্যম দিয়ে গাছে ঝুলাইয়া দেওয়ার প্ল্যান করা হইছিলো।
আমি আর হৃদয়তো ভয়ে শেষ এইরে এইবার বুঝি উনি মামলা দিয়ে আমাদেরই গাছে ঝুলাইয়া দিবে!
কিন্তু আমাদের ধারণা পুরাপুরি পাল্টে দিয়ে তিনি আমাদের একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলেন বার্গার খাওয়ালেন আমাদের।উত্তম মধ্যম দিয়ে গাছে ঝুলানোর কথা শুনে মিশুপুর বস হো হো করে হেসে উঠলেন।
আমরা জোরাজুরি আবদার শুরু করি মিশুপুকে ৩ দিনের ছুটি দিতে।পরে কিছুক্ষন কি যেনো চিন্তা করে বললেন,আচ্ছা তাহলে মিশুকে বইলো সে যেনো ছুটির জন্য দরখাস্ত করে।
এই কথা শুনে আমরা খুশিতে এমন জোরে চিৎকার দিলাম যে,রেস্টুরেন্টের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।তানিম তো টেবিলে উঠেই লুঙ্গি ডান্স শুরু করছে।
আমরা মিশুপুকে ফোন দিয়ে বলি আমরা তোমার বসের কাছে গিয়েছি তিনি তোমাকে বলেছেন ছুটির দরখাস্ত দিতে।মিশুপু ভাবছে আমরা মজা করতেছি,কারন আমরা তো উনার বসকে চিনতাম না।কিন্তু লুমি ভাইয়া তো CID head quarter এ গিয়ে আমাদের জন্য ইনফরমেশন আর ছবি নিয়ে আসছিলেন।
মিশুপুকে উনার বসের সাথে আমাদের বার্গার খাওয়ার কিছু পিক পাঠাই তারপর তিনি বিশ্বাস করলেন।
আলহামদুলিল্লাহ মিশুপু যথাসময়ে ছুটি পেয়ে গেছেন।এইদিকে আমার ছোট বোন বন্যা আমাকে বলতেছে ভাইয়া তুমি কত জায়গায় যাও আমাকে নিয়ে যাওনা কেনো।
বোনের আবদার কি আর ভাইয়া ফেলতে পারে!
আমি বললাম ঠিক আছে তোকে নিবো আর নাতাশাকেও (মামাতো বোন) নিয়ে চল,তোরা ২ জন তো আবার কলিজার বান্ধবী।এটা শুনে সরুপা আন্টি,তানভীর আর রবিন বলে আমরাও যাবো।পরে সবার জন্য বুকিং দিয়ে দিলাম।
নির্ধারিত সময়ে সবাইকে ঢাকা সদরঘাট উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়।আমরাও গেলাম। গিয়ে দেখি অনেকেই চলে এসেছে,
লুমি ভাইয়া,সামিয়াপু,হৃদয়,তারিন আপু,রিদাপু,ইসরাত,আরিজাপু।
কিন্তু মিশুপু এখনো আসেননি,ফোন দিয়ে জানলাম তিনি গুলিস্থানের জ্যামে বসে আছেন।কিছুক্ষন পরই তিনি চলে আসলেন সবচাইতে খুশি হইছি উনার সাথে যখন রিয়াদা আন্টিকে দেখলাম।আমাকে দেখেই বললেন কিরে পুচকু ভ্রমণে যাবি মিশুর জন্য এতো কান্ড করলি আমাকে তো যাওয়ার কথাই বললি না!
এটা শুনে আমি বললাম মোটেও এমন কথা বলবা না বুকিং এর ডেট অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছিলো,আমি বুদ্ধি করে এডমিনের সাথে কথা বলে এক্সট্রা একটা বুকিং দিয়ে রেখে দিছিলাম।সেই সুবাধে তুমি চান্স পাইছো এই ভ্রমণে।পরে রিয়াদা আন্টি তো খুশি হয়ে গেলেন আমার পিঠ ছাপড়ে বললেন ভালো করছোস পুচকু।
সবাই একে একে আসার পর ৫ টাকা করে টিকেট কেটে নদী বন্দরে ঢুকলাম।আমাদের জন্য এক বিশাল এবং সুন্দর লঞ্চ ভাড়া করা হয় যার নাম ছিলো এম. ভি. কুয়াকাটা-১,। এরপর আমরা রাত ৯ টায় লঞ্চে চড়ে বসি। আমরা প্রায় ৪০-৫০ জনের বিশাল এক দল ছিলাম। সবাই সময়মত চলে আসলেও মুস্তাফিজের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না।বেটা আবার হারিয়ে যাওয়ার অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করে।কোথাও হারিয়ে গেলো নাকি কে জানে।সবাই ফোনের পর ফোন দিয়ে একসময় জানা গেলো মুস্তাফিজ ভাই গুলিস্তানে জ্যামে আটকা পড়ে আছেন। এদিকে লঞ্চ ছাড়ি ছাড়ি করছে। উপায় না দেখে কয়েকজন গিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করার অনুরোধ জানালো। প্রায় ২৫ মিনিট পর মুস্তাফিজের আগমন ঘটলো। আমরা সবাই হই হুল্লোড় করে উঠলাম।
বড়রা সবাই কেবিনে চলে গেলো।কিন্তু কেবিনে বসে থাকা আর ঘরে বসে থাকা একই কথা।
তাইতো সবাই মিলে লঞ্চের ডেকে চলে গেলাম।২ টা চাদর বিছানো হলো একটাতে সব মেয়েরা গোল হয়ে বসলো অন্য একটাতে সব ছেলেরা।মেয়েরা একসাথে হওয়া মানেই গানের কলি খেলা।তারা সেটাই করতে লাগলো।
আর ছেলেরা একসাথে গোল হয়ে বসে কেউ লুডু খেলছে,গল্প করছে।দুষ্টুর দল কি আর এইসব মান্ধাতার খেলা খেলবে! তানভীর,বিজয়,তানিম,হৃদয়,ফাবিহা মিলে ফ্রী ফায়ারে কাষ্টম খেলা শুরু করে দিলো।
এই ধর,এই মার, চান্দের দেশে পাঠাইয়া দে,গুলি কর,হেডশট মার,গ্লু ওয়াল ফেল এইসব আজগুবি আজগুবি কথা তাদের দিক থেকে আসা শুরু করলো।হঠাৎ কেউ এসব কথা শুনলে ভাববে লঞ্চে ভ্রমনের বদলে ছোটখাটো বিশ্ব যুদ্ধ চলতেছে।
লঞ্চের ডেক থেকে জোছনাবিলাস
সেদিন সম্ভবত পূর্ণিমা ছিলো। জোছনা দেখতে সবাই লঞ্চের ছাদে চলে গেলাম। বুড়িগঙ্গা থেকে জোছনা দেখে মজা নেই, জোছনার আসল রুপ দেখা যায় মেঘনায়। যেখানে দুই পাড় দেখা যায় না, কোন কৃত্রিম আলো নেই। উপরে জোছনা আর নিচে অবারিত জলরাশি…
জোছনাবিলাশ করে আমরা লঞ্চের উপরতলার সামনের ডেকে থিতু হলাম। শুরু হলো গানের আসর। রাতের খাবারের জন্য ডাক পড়লে খেয়েদেয়ে আবারও সেই একই জায়গায়। এবার অবশ্য গানের আসর না বরং আড্ডা শুরু হলো।
এইদিকে আড্ডা ছেড়ে আমারা দুষ্টুর দল(বিজয়,তানিম,হৃদয়,তানভীর,ফাবিহা) ছাদে চলে গেলাম।চাঁদের আলোয় চারপাশ ঝলমল করতেছে যে দিকে তাকাই শুধু পানি আর পানি।মহান রাব্বে কারিম এর এই অপরূপ সৃষ্টির সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে প্রত্যেকের অন্তরের অন্তরস্থল থেকে মুখে বের হয় সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার।
নিচে সবাই আড্ডা দিতেছিলো, ছাদে আমরা ৫ জন ছাড়া আর কেউ নাই,ফাবিহা কেও নিচে পাঠিয়ে দিলাম।হৃদয় ও চলে গেলো ঘুম আসতেছে বলে।
আমরা বাকি ৩ জন টাওয়াল বিছিয়ে তাহাজ্জুদ এর নামাজ পড়ে নিলাম আলহামদুলিল্লাহ। নামাজ শেষে আবার দুষ্টামি শুরু,তানিম আমাকে একেবারে কিনারে নিয়ে ফেলে দেয়ার জন্য চেষ্টা করতেছে তার পাওনা ২৫০ টাকার জন্য।
কি আর করার এতো রাতে নদীর মাঝখানে আর কে পড়তে চায়! দিয়ে দিলাম তার ২৫০ টাকা।পরে আমি আর তানভীর মিলে তানিমকে চ্যাংদোলা করে উঠিয়ে লঞ্চের ছাদের উপর আছাড় মারি।বেচারা ২৫০ টাকার জন্য আছাড় খাইলো
যত রাত বাড়তে থাকলো তত মানুষ কমতে শুরু করলো। তিনটার দিকে আমরা ও কেবিনে চলে গেলাম কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। সকালে উঠে শুনি কয়েকজন ডেকে শুয়ে ছিলো। ঘুম এত গাঢ়ো ছিলো যে কুয়াশায় ভিজে একাকার হয়েছে টেরও পাই নাই।
কুয়াকাটা সম্পর্কে কিছু ধারণা দেই,বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাগর কন্যা কুয়াকাটা। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। এটি দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। ‘কুয়া’ শব্দটির উৎপত্তি ‘কুপ’ থেকে। ধারণা করা হয় যে ১৮ শতকে আরকানরা এই অঞ্চলে বসবাস করা শুরু করে। তখন তারা সুপেয় পানির অভাব দূর করতে প্রচুর সংখ্যক কুপ খনন করেছিলেন। মূলত সেখান থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয় কুয়াকাটা। ১৮ কি.মি. দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক এখানে আসেন। অপরূপ জলরাশি, ঝাউবন, নারিকেল গাছের সারি, ম্যানগ্রোভ বন সবকিছু মিলিয়ে কুয়াকাটা যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতসহ প্রতিটি ঋতুতেই নতুন রূপে ফুটে ওঠে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। বন্ধু-বান্ধব অথবা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকেই নেমে পড়েন সমুদ্রে। অনেকে আবার সমুদ্রতটে বসে ক্যামেরায় বন্দী করে রাখেন অমূল্য কিছু মুহূর্ত। দিনের বেলা কোলাহলের কারণে সাধারণত সমুদ্রের গর্জন খুব একটা শোনা যায়না। তবে সমুদ্রের গর্জন শুনতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে রাতে সমুদ্রতটে যেতে হবে
সকালে পটুয়াখালী নেমে সবাই নাস্তা করে নিলাম। বাকিপথ বাসে করে যেতে হবে। আনুমানিক ১০-১১ টার দিকে আমরা কুয়াকাটা পৌঁছালাম। আমরা উঠেছি পর্যটন হোটেলে। ৫ জন ৫ জন করে গ্রুপ করে সবাইকে রুমের চাবি দিয়ে দেওয়া হলো।
দুপুরে সমুদ্রে কিছুক্ষণ দাপাদাপি করে সবাই স্থানীয় একটা হোটেল থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে ২ টার দিকে বেরিয়ে পড়লাম সৈকতের পশ্চিম দিকে।
সৈকতের এইদিকের উপকূলীয় সৌন্দর্য কিন্তু আবার কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির।
আধাঘন্টা পর সবাই পৌঁছে গেলাম “তিন নদীর মোহনা”তে,আন্ধারমানিক নদীর মোহনা এখানে।
একপাশে সমুদ্র, সেটা মিশেছে নদীর মোহনায়, নদীর অপর পাশে উপকূলীয় ফাতরার বন- সব মিলিয়ে জায়গাটা চোখ জুড়ানোর মতো।
এখান থেকেই একটা ট্রলার ভাড়া করে সবাই মিলে ঘুরে আসলাম ওপারের ফাতরার বনে।
এইবনের গাছপালা কিছুটা হলদে-সবুজ বর্ণের, বনের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলার পথ চলে গেছে বনের গভীরে। অসম্ভব সুন্দর!
এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন।
গেওয়া, কেওড়া, সুন্দরী, গোলপাতাসহ অসংখ্য প্রজাতীর উদ্ভিদ এবং বানর, শুকরসহ বিভিন্ন পশু-পাখি আপনাকে আমন্ত্রণ জানাবে এখানে।
বনের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সাগরের দিকে বের হওয়া যায়। এখানে রাতে ক্যাম্পিং করে সবাই মিলে বারবিকিউ পার্টি করলাম।
ফাতরার বন থেকে ফিরে ফিরতি পথে নামতে হবে লেবুর চরে।
এখানকার প্রকৃতি ভিন্নরুপে আতিথ্য দিবে আপনাকে।
এখানকার চরে জেগে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গাছ কেওড়া গাছ, গাছের শিকর।
পাশেই রয়েছে বিস্তীর্ণ ঝাউবন।
এখানে কিছু হোটেল আছে যেখানে সমুদ্রের বিভিন্ন প্রকার তাজা মাছ রান্না এবং বারবিকিউ করে দেয়।আমরা এখানে খেলাম তার
সাথে সাক্ষী হয়ে থাকলাম অস্তমিত সূর্যের!
কারন এখানেই আপনি সূর্যাস্ত দেখবেন।
সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে লালিমার শেষ চিহ্নটুকু নিয়ে হারিয়ে যাবে, তখন আমরাও ফিরে আসলাম আমাদের হোটেলে।
রাতে আশেপাশের এলাকা, রাখাইনদের বাজার, শুটকিপল্লী- ইত্যাদি ঘুরে আসলাম
পরদিন সূর্যোদয় দেখতে গঙ্গামতির চরে যাওয়ার কথা থাকলেও ঘুম থেকে উঠতে পারি নাই। অবশ্য না গিয়ে ভালোই হয়েছে যারা গেছে তারাও নাকি দেখতে পায় নাই।
আজ আমরা ঢাকা চলে যাবো। প্রথমে কথা ছিলো পটুয়াখালী থেকে লঞ্চে করে ঢাকা যাওয়ার। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে ঠিক হলো বাসে করে বরিশাল গিয়ে দুপুরে গ্রীন লাইন ওয়াটার বাসে করে রাতের মধ্যে ঢাকা চলে যাবো।
গ্রীনলাইন ওয়াটার বাসে করে ঢাকা ফিরে যাচ্ছি সবাই।
সকালের নাস্তা করে তাই ব্যাগ গুছিয়ে বের হয়ে পড়তে হলো। কুয়াকাটা-বরিশালের বাস জার্নি মোটেই সুখকর হলো না। অনেক গরম ছিলো। স্বাভাবিকভাবেই সবাই ক্লান্ত ছিলো। গ্রীন লাইনে উঠে বেশিরভাগই চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়লো। গ্রীন লাইনে সেবারই প্রথম উঠেছিলাম কিন্তু এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে ঘুরে ঘুরে দেখার মত শক্তিও ছিলো না।
রাত ১১টায় ঢাকা পৌঁছে সমাপ্তি ঘটে কুয়াকাটা ভ্রমণের।এরপর যে যার মতো বিদায় নিয়ে বাসায় চলে যাই।
লেখকের কিছু কথাঃ- জিজেবাসী ইনশাআল্লাহ তোমাদের নিয়ে পরের গল্পে কোন জায়গায় বেড়াতে যাবো সেটা অবশ্যই জানাবে।পাঠকের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য আমার মতো অধম,সাধারন,পুচকু লেখককে প্রেরনা জোগাবে ইনশাআল্লাহ। তাই অনুরোধ রইলো আমাকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য
মজলিশের ভুলত্রুটির কাফফারা স্বরুপঃ-
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়াতুবু ইলাইক।
আলহামদুলিল্লাহ
ভালোবাসা অবিরাম
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now