বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ছোট মেয়ের বুদ্ধি (৪)

"রূপকথা " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান TARiN (০ পয়েন্ট)

X দুঃখ করো না বাবা মেয়েটি জবাব দিল। সে ডিমগুলি সিদ্ধ করে, বিকালে আর রাত্রে খাবার জন্য রেখে দিল। তারপর তার বাবাকে আবার পাঠাল রাজার কাছে এই পরামর্শ দিয়ে- রাজামশাইকে বল, ছানাগুলোর জন্য একদিনের খাওয়ার মতো জেনারেল দানা দরকার। একদিনের ভিতরেই ক্ষেতে চাষ করে, বীজ পুঁতে, জনার কেটে তা কুটে ফেলতে হবে। নইলে ছানারা মোটে একটি দানাও মুখে দেবে না। সব কথা শুনে রাজামশাই মনে মনে অবাক হলেন, মুখে বললেন, তোমার মেয়ের কত বুদ্ধি এইবারেই বোঝা যাবে। তাকে বলো, কাল সকালে এখানে আসতে- কাপড় পরেও আসবে না, না পরেও আসবে না; হেঁটে আসবে না বা ঘোড়ায় চড়ে আসবে না; আমাকে কোনও উপহার দেবে না অথচ দেবেন। গরীব ভাই ভাবল- হায় হায় এমন বিদঘুটে কাজ কি আমার মেয়ে করতে পারবে? সবই গেল! কিন্তু সাত বছরের মেয়েটি বলল- বাবা , কিছু ভেবো না। তুমি শিকারীদের কাছ থেকে আমার জন্য একটা জীবন্ত জংলি খরগোশ আর একটা জীবন্ত তিতির পাগলী কিনে আন। লোকটি গিয়ে খরগোশ আর তিতির কিনে আনল। পরদিন ভোরবেলা মেয়েটি নিজের কাপড় ছেড়ে, একটা মাছ ধরবার জাল নিয়ে বেশ করে গায়ে জড়াল। তারপর তিতির হাতে নিয়ে খরগোশের পিঠে চড়ে রওনা হল রাজবাড়ী। বাড়ীর ফটকের কাছে রাজামশাইয়ের সঙ্গে দেখা। মেয়েটি নমস্কার করে বলল, আপনার জন্য এই উপহার এনেছি। বলে পাখীটাকে বাড়িয়ে দিল রাজার দিকে। যেই না রাজা সেটাকে ধরতে যাবেন অমনি- হুস্ করে পাখীটা উড়ে গেল। বেশ বেশ। মা আমি বলেছিলাম, ঠিক তাই করেছ তুমি। আচ্ছা তোমরা তো গরীব; কেমন করে তোমাদের খাওয়া পরা চলে? বাবা শুকনো ডাঙ্গায় মাছ ধরেন, নদীর জলে জাল পারেন না। আমি সেই মাছ বাড়ী নিয়ে আসি কাপড়ের ভিতর গুজে আর তারই সরুয়া রেঁধে খাই। খুব ভাল লাগে। আপনারও ভাল লাগবে খেলে। হ্যা। বোকা মেয়ে শুকনো মাটিতে আবার কে মাছ পায়? তারা তো জলে থাকে। আর, চালাক রাজামশাই, কোথায় দেখেছেন গাড়ীর বাচ্চা হতে? ঘোড়ীরই বাচ্চা হয়, গাড়ীর নয়‌ তখন রাজামশাই ভারী খুশি হয়ে ঘোড়ার বাচ্চা ফিরিয়ে দিলেন গরীব ভাইকে। লেখক- সুখলতা রাও


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৫৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now