বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
ছোট মেয়ের বুদ্ধি (৩)
"রূপকথা " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান TARiN (০ পয়েন্ট)
X
মেয়ে জিজ্ঞাসা করল, বাবা তুমি কাঁদছ কেন?
হায়, কাঁদব না তো কি করব? রাজামশাই আমাকে চারটি হেঁয়ালি জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি কখনোই তার উত্তর দিতে পারব না।
কা হেঁয়ালি বল না?
হেঁয়ালিগুলি হচ্ছে- সবচেয়ে বলবান আর দ্রতগামী কোন জিনিস?
সবচেয়ে মোটা কে?
সবচেয়ে নরম কি?
সবচেয়ে প্রিয় কোন জিনিস?
বাবা, রাজামশায়ের কাছে তুমি বলবে- সবচেয়ে বলবান আর দ্রতগামী হল বাতাস।
সবচেয়ে মোটা পৃথিবীর মাটি; কেন না, যা কিছু বাঁচে এবং বাড়ে, সকলের খাবার সে যোগায়।
সবচেয়ে নরম মানুষের হাত, কারণ তখনি মানুষ শোয়, সে তার হাতখানা রাখে মাথার নিচে।
আর পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রিয় জিনিস হল ঘুম। মেয়ে উত্তর করল।
তিন দিন পরে রাজার কাছে দুই ভাই গিয়ে উপস্থিত হয়েছে। তাদের কথা শুনে রাজামশাই গরীব ভাইকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ উত্তরগুলি তুমি নিজে ভেবে বের করেছো?, না আর কেউ বলে দিয়েছে?
রাজামশাই, আমার একটি সাত বছরের মেয়ে আছে। সে ই উত্তরগুলি বলে দিয়েছে।
তোমার মেয়ের যদি এত বুদ্ধি তবে এই রেশমের সুতোটুকু দিয়ে আমার জন্য একখানা ফুল-কাটা তোয়ালে বুনে দেয়।
গরীব ভাই সুতুটুকু নিয়ে অত্যন্ত বিমর্ষ মুখে বাড়ি ফিরে এল। এসে সে মেয়েকে বলল, বড়ই বিপদের কথা মা। রাজামশাই বলেছেন এই সুতোটুকু দিয়ে তুমি তাকে একখানা তোয়ালে বুনে দেবে সকালের ভিতর।
মেয়ে বলল, ভাবনা নেই বাবা। তারপর সে ঝাঁটা থেকে ডাণ্ডাটা ভেঙে নিয়ে এসে তার বাবার হাতে দিয়ে বলল, তুমি এই ডাণ্ডাটা নিয়ে রাজামশাইকে দাও। তিনি যেন তাঁর কারিগরদের দিয়ে ডাণ্ডা থেকে তাঁত তৈরি করিয়ে দেন।সেই তাঁতে তোয়ালে বুনবো। গরীব ভাই রাজামশাইকে ডাণ্ডাটা দিয়ে দিল, আর মেয়ে যা বলেছিল সে কথা জানাল।
তখন রাজা তাকে পঞ্চাশটা ডিম দিয়ে বললেন, তুমি এই বিষয়গুলো তোমার মেয়েকে দাওগে। সে যেন এ থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে আমাকে কাল সকালে দেয়।
গরীব ভাই আরো বেজার হয়ে বাড়ি ফিরল। এক বিপদ কাটে তো আরেক বিপদ উপস্থিত হয়। সে ডিম থেকে ছানা ফোঁটা বার হুকুম মেয়েকে বলল।
লেখক- সুখলতা রাও
চলবে..
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now