বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

পূরণ হইল না আশা

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ᴍᴅ. ɪǫʙᴀʟ ᴍᴀʜᴍᴜᴅ (০ পয়েন্ট)

X ১৬ই আগস্ট ২০০৮, দিনটা সারাজীবন আমার মনে থাকবে,কারন সেদিন আমি তাকে প্রথমবার দেখেছিলাম।।কলেজের প্রথম দিন,দারুন উৎসাহ,নতুন বন্ধু,নতুন পরিবেশ,প্রথম স্বাধীনতা ,এগুলো সম্পর্কে তোমাদের নতুন করে আর কি বলব,সবাই জানো ,সবার জীবনেই এই প্রথম দিন টা কত special এটা নতুন করে বলার অবকাশ থাকেনা,কিন্তু তবুও এই সব কিছু কে ছাপিয়ে গিয়ে আজ ৬ বছর পরের যদি কোন স্মৃতি অম্লান হয়ে থাকে,সেটা সেই মেয়েটা, জিনস আর কালো শার্ট পরে দেখেছিলাম তাকে প্রথমবার... জীবনবাবুর মতো কবিতা লিখতে পারলে হয়ত বর্ণনাটা আরও হৃদয়গ্রাহী হত,কিন্তু ঐ যে বললাম ,আমি বড্ড সাধারন… “hi আমি রাহুল, নাম টা শুনেছ নিচয়ই”,এইভাবে approach টা করতে পারলে হয়ত খুবই ভালো হত,কিন্তু ঐ যে, এটা বলিউড সিনেমা নয়,আর আমি Hero দের মত smart handsome-hunk ও নই, বলিউড Hero দের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম,আমি কলেজ Hero দের ও ধারে কাছে দিয়ে যায় না,শ্যাম বর্ণের কোঁকড়া-চুলের ছোটোখাটো চেহারার একটা লোক,যাদের অনেকটা শিয়ালদহ কিম্বা হাওড়া station এর ভিড়ের মতো দেখতে ,হুড়মুড় করে আসে,আবার চলেও যায়,আলাদা করে চোখে পড়বার মতো কিছু থাকেনা...তাই প্রথম দিনেই আলাপটা, আর সাহস করে সারা হলনা,কিন্তু তবুও দুঃসাহসী স্বপ্নটা দেখেই ফেললাম,মন কে সান্ত্বনা দিলাম,”হাতে এখনও ৪ টে বছর আছে,”দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে হি জায়েঙ্গে”।। দেখতে দেখতে ২ বছর কেটে গেল,semester marks এর মতই এই ব্যাপারটাতেও আমার progress ক্রমশ নিম্নমুখী ,থুড়ি মাইনাস –এ Run করতে লাগল,স্বপ্নের বিছানায় অনেকটা দূর এগিয়ে গেলেও,বাস্তবের বেঞ্ছিতে, সামান্য পাসে বসার একটা সুযোগ ও করতে পারলাম না,শুধু দূর থেকে দেখে গেলাম লুকিয়ে লুকিয়ে। দিনে কলেজে আর রাতে fulltime facebook profile stalker হয়ে পড়লাম...জানি অনেকে আমাকে Logicless Fellow বলে গালমন্দ শুরু করে দিয়েছেন,র আ মশাই আর যাই হোক,আমি দিনে ৫ বার,লোকের ধার করা দুঃখবিলাসী quotes, copy-paste করতাম না,কিম্বা feeling sad বলে download করা wallpaper-এ,৫০ জন কে Tag ও করতাম না।।তাহলে কি করতাম ,সেই প্রশ্নের উত্তর গল্পের শেষে আশা করি দিতে পারব।। ও এর মধ্যে জানিয়ে রাখি,তার নতুন বয়ফ্রেন্ড-ও হয়ে গেল,আমার ক্লাসেই,আমার এ এক বন্ধু...না না কেউ আমার “খিল্লি” ওড়ানোর সুযোগ পায়নি ,কারন সচরাচর যেটা হই,আমার ক্ষেত্রে একটু আলাদা ,খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ও ঘুনাক্ষরেও টের পাবার সুযোগ করে দিয়নি আমি...দমে গেলাম একটু ,তবে হাল ছাড়লাম না...বেশ একটা বিপ্লবী feelings এসে গেল,ভাবলাম যদি শহীদ হতেই হয়,বলেই শহীদ হব, লোকে না হয় হাসবে একটু,তা হাসুক,সে তো জানবে,যদি বলিউড সিনেমার মত হয় শেষটা,আশায় বুক বাধলাম ...।। দেখতে দেখতেএকটা মোক্ষম সুযোগ এসে গেল,Last year কলেজ Fest ,একটু-আধটু গীটার বাজাতাম,ভাবলাম ঐ একদিনের জন্য রূপম ইসলাম হয়ে উঠি, “শোন মানসী বলে মাথা ঝাঁকিয়ে জানিয়ে দি দুনিয়াকে,কে আমার হাস্নুহানা,কে আমার নিলাঞ্জনা,গীটারের ঝঙ্কারে ভিজিয়ে দি সবাইকে “November Rain”-এ ……………. কিন্তু না,পারলাম না,ঐ যে বল্ললাম,আমি বড্ড সাধারন। স্টেজে ওঠার আগে ড্রেসিং রুম এর আয়নায় চোখ পড়ল,তার প্রতিবিম্ব পড়েছে সেখানে,কি ভয়ঙ্কর সুন্দর...র তার পাশেই চোখে পড়ল ,আমার ছায়া টা,কি ভয়ঙ্কর অমিল সেখানে,সিউরে উঠলাম, আমার চোখের অতিরঞ্জন নাকি নিজের confidence এর প্রতি চিরকালিন অগাধ আস্থা,shakespeare এর othello desdemona কেও হার মানাল বোধহয়,এই প্রথম মন টা ভেঙ্গে গেল, এরপরে প্রোগ্রাম টা কেমন হয়েছিল সে বিশ্লেষনে আর গেলাম না,ঐ শ্রাধের মন্ত্র দিয়ে দুর্গাপূজা পালনের মত হোল আর কি।। দেখতে দেখতে শেষ দিন চলে এল কলেজের,Farewell day,চারিদিকে সাজো সাজো রব,সব ছেলেমেয়েরা পাঞ্জাবি,শাড়িতে । অস্বীকার করবো না,বাকি মেয়েদের দিক থেকেও আজ চোখ সরানো যাচ্ছেনা,এই ৪ বছর এরা কেন চোখে পড়েনি বুঝলাম না,নিজের মনেই একচোট হেসে নিলাম,কারন টা তো আমি নিজেই জানি।। আবার তাকে দেখলাম,বাসন্তি শাড়ীতে,চোয়াল শক্ত হয়ে গেল,ভাবলাম আজ দরকার পরলে রাজনিকান্ত হয়ে যাব,৪ বছর যা পারিনি,আজ সম্ভব করেই ছাড়ব,আজ বলেই ছাড়বো,এগিয়ে গিয়ে বললাম-“একটু কলেজের গেটের সামনে আসিস তো ,কথা আছে”। প্রথম টা অবাক হয়ে গেল সে,তারপর আবার হেসে মাথা নাড়ল,”যাব,৫ টার পর “......... “ব্যাটা ,মন মে লাড্ডু ফুটা “ এই ধরনের একটা আনন্দ হল, তার একটা কারন অবশই ছিল যে তার Break Up হয়ে গেছিল কিছুদিন আগে...বিড়ালের ভাগ্যে যদি সিকে টা ছেড়ে,আমি দৌড় লাগালাম কলেজের গেটের দিকে............... “কি লিখিস ভাই সারাদিন ডায়েরিতে” , রোহিতের খোঁচা খেয়ে হুঁশ ফিরল,ইশসস,ক্লাশের দেরি হয়ে গেছে অনেকটা ,উঠে পড়লাম,ডায়েরিটা বন্ধ করলাম... যেটা লেখা হলনা,সেটা চুপিচুপি জানিয়ে রাখি......নাহহ সেদিন সে আর আসেনি,কলেজের গেটে,happy ending ও হইনি আর Picture –ভি,বাকি নেই,খতম হয়ে গেছিল,একটাই আক্ষেপ রয়ে গেছিল সেদিন,বন্ধুত্তের খাতিরে,অন্তত ৪ বছর মুখ চেনার খাতিরে ,সে একবার আসতে পারত,শুনতে পারত... যাইহোক দুঃখ নেই,প্রেমের কবিতা লিখে কিম্বা হাতের শিরা কেটে লোক জানানো নেই,কিম্বা মদে চুর Rockstar হয়ে গিয়ে একদিন দুম তার সামনে গীটার নাচানোর কোন ইচ্ছাও নেই,কারন ঐ যে বললাম আমি বড্ড সাধারন।। আমি কলেজটা ছাড়তে পারিনি ,ওখানেই ফিজিক্‌স এর প্রফেসর হয়ে ঢুকে পড়েছি,নানা ভাববেন না যেন দেবদাস হয়ে দেওয়ালে দেওয়ালে সেই রুপসির গন্ধ খুঁজে বেড়াই,নাহ সেসাব কিছুই করিনা,তবে যখনই দেখি কলেজের ফাঁকা গেটের সামনে কোন শূন্য দৃষ্টি কিশোর দাড়িয়ে আছে,আমি বুঝে যাই,সাদ্ধমত হেল্প করার চেষ্টা করি,সবসময় যে সফল হই তাও নয়,কিন্তু তা সত্ত্বেও, কিছু নীল কে যদি তাদের নিলাঞ্জনার সাথে মিলিয়ে দিতে পারি,কিছু মানুষ কে যদি তাদের মানসীর সাথে মিশিয়ে দিতে পারি,যদি তাদের গল্পের একটা Happy ending টেনে দিতে পারি,আমারটা তো অসমাপ্তই রয়ে গেলো..


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৪০ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now