বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গত পর্বের পর,
আমি যে মেয়েকে ভালবাসতাম, তার কথা আমার স্ত্রী অপরাজিতাকে জানিয়ে দিলাম।
আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মেয়েকে ভালবাসি। মেয়েটিও আমাকে ভালবাসত। এভাবে চলে যায় তিনটি বছর। হঠাৎ আমাদের ব্যবসায় অর্ধ কোটি টাকা লোকসান হয়। আমরা বিরাট অট্টালিকা ছেড়ে রাস্তায় চলে আসি। এদিকে মেয়েটি যে এভাবে আমাকে ঠকাবে আমি জানি নি।
- আজ একটু দেরি হয়ে গেল, সরি।
- তুমি প্রায়ই দেরি করে আসো।
- বলছি না সরি। আমাদের অবস্থার কথা ভাবো একবার।
- আমাকে আর ভাবতে বলো না।
- কেন? কি হয়েছে?
- আমার কিছু হয়নি। হয়েছে তোমার!!!
- আমার!!!!
- হ্যা।
- কি হয়েছে আমার?
- বলো কি হয়নি তোমার? তোমাদের এই পরিস্থিতিতে আমি চাই তোমার সাথে সম্পর্ক রাখতে।
- কি বললে? এতদিন তাহলে এগুলো অভিনয় ছিল।
- না। অভিনয় ছিল না। শুধু সম্পর্কের মায়াজাল ছিল।
- তাই!!!
- তুমি একটু ভেবে দেখো, তুমি ভুল করছো।
- আমি ভুল করছি না। তোমার সাথে থাকলে আমি সুখী হবো না, আনিছ। এই নাও আমার বিয়েয় কার্ড!!!
- ওহো তাই বলো, আমি এখন নিঃস্ব, তাই তুমি প্রাচুর্যের মোহে পড়ে আমাকে ভুলে গেলে? তবে একটা কথা জেনে নাও প্রাচুর্য মানুষকে শান্তি দিতে পারে না।
কান্না সিক্ত হৃদয়ে সাথীহারা বেদনার প্রহর গোনছি। আর পরিবারের এই অভাবের দিনে আমাকে সংসারের হাল ধরতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে চলে গিয়েছিলাম কাজ করতে। কোন কাজই পেলাম না। কারণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা এখনো শেষ হয়নি। তাই চাকরীর কোন সুরহা হলো না। অবেশেষে আমার বন্ধুর সিএনজি টা চালাতে শুরু করি। এখন আমি সিএনজির পাইলট বটে। সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ বর্ষে পড়াশুনা করছি।
*******★*******★*******★******
এদিকে আমার আগের প্রেমিকার সাথে দেখা। চেহারায় অসহ্য বেদনার ছাপ স্পষ্ট। আর এক ধরণের বিতৃষ্ণা!!! তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। লোকানো আছে তার মনের মাঝে। বলতে চেয়েও বলে না সে আমাকে।
চলবে....
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now