বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমেরিকার এক
শহরে এক
নাম করা ব্যবসায়ী
ছিলো। টাকা পয়সা,
নামে,দামে,কোনো কিছুরই
তার
অভাব ছিলো না।
কিন্তু তার মডার্ন
সোসাইটিতে
মুখ
দেখাতে পারতো না শুধু
তার মায়ের জন্য।
কারণ তার
মা ছিলো অন্ধ।
মায়ের
মুখে ছিলো আগুনে
পোড়া দাগ। আর
মাথায়
কোনো চুল
ছিলো না।
তাই মডার্ন
সোসাইটিতে নিজের
মান-সম্মান বজায়
রাখার জন্য
মা কে বাসা থেকে বের
করে
দিলো।
বেচারি অন্ধ
মা কেঁদে কেঁদে
রাস্তায় রাস্তায়
ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
হঠাত
একটি গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে
বৃদ্ধা মারা গেল।
ছেলে শুনে কষ্ট
পেলো না,
ভাবলো আপদ
বিদায় হয়েছে।
কিছুদিন পর
কোনো একটি ডকুমেন্ট
খুঁজতে খুঁজতে মায়ের
ঘরে
মায়ের
লেখা একটা ডাইরি
পেলো।
ডাইরিতে লেখা ছিলো।
০৫-১২-১৯৮০ = আজ
আমি সুন্দরি মিস
আমেরিকা
এর award পেয়েছি।
০২-০৫-১৯৮৩ = আজ
আমার pregnant এর
abortion না করার
জন্য আমার
স্বামী আমাকে
divorce দিয়েছে।
০৭-০৩-১৯৮৫ = আজ
আমার
বাড়িতে আগুন
লেগেছিলো।
আমি বাহিরে ছিলাম।
আর আমার
কলিজার টুকরা
ছেলে বাড়ির
ভিতরে ছিলো।
নিজের জীবন
বাজি রেখে শুধু
ছেলের জীবন
বাচাতে গিয়ে
আগুন লেগে আমার
চুল
এবং মুখ পুড়ে আমার
সমস্ত
সৌন্দর্য পুড়ে ছাই
হয়ে গেছে।
তাতে আমার কোন
দুঃখ নেই।
কিন্তু তবু আমার
কলিজার
টুকরা ছেলের চোখ
দুটো আমি
বাচাতে পারিনি।
০৭-১৫-১৯৮৫ = আজ
আমার
নিজের চোখ
দুটো আমার
ছেলে কে দিতে যাচ্ছি।
The End Of My
LifeDiary!
_____________xx x______
________
ডায়েরী টি পড়ে ছেলে পাগলের
মতো কাঁদতে কাঁদতে দেয়ালে
মাথা আছড়াতে লাগলো।
আমার আর বলার
কিছু নেই।
সমস্ত পৃথিবীর
মা জাতীর
প্রতি রইলো আমার
গভীর শ্রদ্ধা ও
ভালোবাসা।
copied
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now