বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
১ম পর্ব
-
-
-
প্রত্যেক মাসের ১৪ তারিখে ওই কবরটায় মাঝ রাতে কেউ এসে ফুল রেখে যায় আর কাঁন্না করে।অদ্ভুত মায়াবী সে সুর।বিয়ের পর থেকেই আমি এটা লক্ষ্য করছি।
এটা কতদিন ধরে হয়ে আসছে আমার জানা নেই।আমি প্রথম ওই ঘটনা দেখি যেদিন আমার প্রথম বিয়ে হয়।আমি আমার স্বামির সাথে বাসর রাতে একসাথে চাঁদ দেখার আবদার জানায়।
ছাদে গিয়ে হটাত ই খেয়াল করি অনেক দূর থেকে সাদা কাফন জড়িয়ে কোনো মহিলা হেটে আসছে আর ওই কবরে ফুল দিচ্ছে।গভীর রাতে হুহু গম্ভীর কন্ঠে কান্না শব্দে আমি ভয়ে আমার স্বামি কে জড়িয়ে ধরি।
যারা গ্রুপে পর্ব পান না তারা আইডি ফলো দিন
কিন্তু ও ভয় পাবে বলে আমি কিছুই বলি না ওকে।১ মিনিট পর চেয়ে দেখি ওখানে কিছুই নেই।আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় এখনি যাকে দেখলাম সে কোথায় গেলো।
আমি পরের দিন জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করি।কিন্তু পরেরদিন কাউকে দেখি না।আমি তারপর আর কোনদিন সেই দৃশ্য দেখি নি।এরপর হটাত একদিন আমি আবার দেখি ওই দৃশ্য।
আজ প্রায় এক মাস পরে আমি সেই দৃশ্য দেখলাম।প্রায় এক মাস বলা ভুল আমি হিসাব করে দেখলাম গত মাসের ১৪ তারিখ আমার বিয়ে হয়েছিলো আজ ও ১৪ তারিখ আজ আবার সেই সাদা শাড়ি পড়া মহিলা কে দেখলাম।তাহলে কি ও শুধু ১৪ তারিখেই আসে।
আমার নাম প্রিতী। আমার বান্ধবীর দেবরের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।আমার সাহসিকতার জন্য আমার বান্ধবী তার দেবরের সাথে আমার বিয়ে দেই।কারণ ভূত প্রেত আত্মা নিয়ে আমার পাড়ালেখা করা।অনেক বার এসব সমস্যা আমি সমাধান করেছি।
বিয়ের পর ই এ বাড়িতে নানা গুজব শুনে চলেছি।কিন্তু আমি কখনো তেমন কিছু পাই নি।
আমার বান্ধবীর নাম তিসা।
গত এক বছরে এ বাড়িতে নাকি খারাপ আত্মার প্রভাব পড়েছে। কেউ নিশী রাতে এ বাড়ি পাহারা দেই।
সন্ধার পর ই এ বাড়ির বিদ্যুৎ চলে যায়।রাত ১১ টার পর ঝুম ঝুম শব্দে করে কেউ ঘুরে বেড়ায়।কিন্ত কাউকে দেখা যায় না।শুধু অনুভব করা যায় তাকে।
বাড়ির ছাদের আমগাছে নাকি পা ঝুলিয়ে বসে থাকে অশরীরী।তার শাড়ির সাদা থান নাকি ঝুলে পড়ে মাটিতে।
রুমের মাঝে কোন এক বাচ্চা নাকি নূপুরের ঝন ঝন শব্দে হেসে খেলে বেড়ায়।
আমি ঘুমিয়ে আছি একদিন।বাইরে দেখি একটি বাচ্চার শব্দ।আমি রুম থেকে বেরিয়ে আসি।দেখি ফুটফুটে একটি মেয়ে পুতুল নিয়ে খেলছে।
আমাকে বলছে কাকি আমার সাথে খেলবে। আমার না একা একা ভাল লাগে না। আমি বললাম কেনো মা।তুমি একা কেনো।
মেয়েটি আমাকে বলে আমার এই পুতুল টি আমার সঙ্গী।তুমি খেলবে আমার সাত্থে।আমি বললাম হ্যা খেলবো।
খেলতে খেলতে এক সময় খুব জোরে কেঁদে দিলো ও আমি বললাম কি হয়েছে তোমার ও বলে আমার খুব কষ্ট।বলতে বলতেই আমার ঘুম ভেঙে যায়।
ঘুম ভাঙার সাথেই শুনি তিসার চিৎকার।
আমি ছুটে গেলাম তিসার কাছে।
একটি পুতুল নাকি হাওয়ায় উড়ছিলো।পুতুল টি নাচছিলো গান গাইছিলো।অন্ধকার রুমে পুতুল টি নাকি জ্বলজ্বল করছিলো।
কিছু সময় আগে নিজেই তো একটি পুতুল স্বপ্ন দেখলাম। এটা সেই পুতুল নাতো।
পরেরদিন স্টোর রুম ঝাড় দিতে গিয়ে দেখি সেই পুতুলটা।যেটা গতরাতে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম।
বাহ!কি সুন্দর পুতুল টা।এই স্টোর রুম টা এত নোংরা কিন্তু পুতুল টার গায়ে কোনো ধুলো নেই।মনে হচ্ছে যেন রোজ কেউ পুতুলটার যত্ন নেই।
পুতুল টা কার আমার এটা খুব জানতে ইচ্ছে করে।তাই বাড়ির সবাই কে ডেকে পুতুল টার কথা জানতে চাই যে এ পুতুল টা কার।বাড়ির সবাই যেন ভূত দেখেছে এমন ভাবে চেয়ে থাকে।
তিসা সাথে সাথেই পুতুল টা আমার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে স্টোর রুমে ফেলে দেই।আর কান্নায় ভেঙে পড়ে।আমাকে বলে এ পুতুল নিয়ে একটা কথাও আর বলবি না।
আমি তিসা কে এত এক্সাইটেড হতে দেখে আর কিছু বললাম না।আজ আবার ১৪ তারিখ আমি জানালা খুলে তাকিয়ে আছি।আজ আর ঘুমালাম না।।
আজ ও সেই সাদা শাড়ির মহিলা কবরের পাশে দাড়িয়ে আছে।
এদিকে হটাত ই স্টোর রুম খোলার শব্দ পেয়ে উকি মেরে দেখি স্টোর রুম টা নিজ থেকে খুলে গেছে আর পুতুল টা নিজে নিজে চলছে।।
চলবে......!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now