বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
সকাল বেলা বাড়ির উঠানে বসে আছি হঠাৎ দেখি আকবর মিয়া দৌড়ে আসছে
আমি বললাম "ওহো মিয়া ভাই, দৌড়াচ্ছো কেন?"
সে হাফাতে হাফাতে বলল "পাড়ার কোনো হাফিজের বউয়ের লাশ পড়ে আছে" বলেই সে চলে গেল
ঘটনার মাথা গোটা দেখতে গিয়ে খুজে পেলাম হাফিজ ও হাফিজের স্ত্রী পরশু তাদের মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে গিয়েছিল স্কুলে তো ভর্তি নেয় নি বরং পুলিশকে খবর দেয়! পুলিশ ইন্সপেক্টর এসে বলেছিল "ইস মুসলিম দেশমে কোইভি লাড়কি স্কুল্মে দাখিলা নেহি লে সাকতি"
কিন্তু তখন হাফিজের স্ত্রী বলে "চেংড়ি (মেয়ে) হই জন্মাইছি বলে পড়িবা পারিমো না"
এই বলে তর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশ তাকে হুমকি দেয়! আর আজ তার ধর্ষিত লাশ পাওয়া যায়!
আমি, হাফিজ আর চৌকিদার দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলাম কিন্তু মামলা নিল না কারণ সেই মহিলা পুলিশের সাথে তর্ক করেছে তাই নাকি! আমরা পুলিশের আশ্চর্য হলাম!
দফায় দফায় গেলাম কিন্তু হলো না।
আজ ৩০ জানুয়ারি ১৯৬৮ সন,
এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল, তাজপুরের হাফিজ এর স্ত্রীকে নাকি পুলিশ ইন্সপেক্টর খান রাশিদ ধর্ষন করে গলা চাপ দিয়ে ধর্ষন করেছে! এবং এটা জানা গেলে মাঈন উদ্দিন এর ছেলে নাকি থানায় ঝাড়ু দেয় সে নাকি এটা ইন্সপেক্টর খানের মুখে শুনেছে । এলাকার লোক ক্ষিপ্ত, সিদ্ধান্ত হলো আন্দোলন হবে। আমাদের এলাকা বড় ছিল তাই বড় সড় আন্দোলন বের করলাম।
দুই দল হয়ে এক দল গেল রেল স্টেশন ঘেরাও করতে আরেক দল গেল থানা ঘেরাও করতে! দুই মাস হলো এই আন্দোলনের ঢাকা থেকে কত বড় বড় নেতা আসল কিন্তু কাজ হলো না। শেষ মেষ সিদ্ধান্ত হলো মুজিবকে আনা হবে, দেখিয়ে দেবে বাঙ্গালী তুচ্ছ নয়! আমি, আর দিনাজপুর সংগ্রাম পরিষধের ৩ নেতা রোয়ানা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে ????
ঠিক করা হলো এক সপ্তাহ পর পাকিস্তানের শোষনের বিরুদ্ধে হলে ‘মহা সংগ্রাম’
[ আসছে দ্বিতীয় পর্ব, কেমন লাগল কমেন্টে জানান]
লেখক : মোঃ নুরজাতুল ইসলাম তুহিন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now