বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আসালামু আলাইকুম,
নাম ছিলো তার করোনা। খুব ছোট ছিলো যখন ওর জাতি মানে সার্স ভাইরাস পৃথিবীতে আক্রমণ করেছিল,সেই ২০১১সালে। যখন সার্স ভাইরাস পৃথিবীতে আক্রমণ করল তখন মহামারী শুরু হয়ে যায়। মানুষ তার বুদ্ধি দিয়ে সেটা প্রতিরোধ করতে জয়ী হয়। মানুষ সার্স ভাইরাস ধ্বংস করে কিন্তু পুরোপুরি নয়। সার্স ভাইরাস মানুষের কাছ থেকে হেরে গিয়ে পালিয়ে যায় চীন দেশে। তারা সেখানে কোথা লুকিয়ে থাকতো। সুযোগ পেলে দুই এক মানুষকে আক্রমণ করত।
তাদের মধ্যেই বড় হচ্ছিলো ছোটো করোনা। যখন সাস ভাইরাসকে মানুষ ধ্বংস করে তাদের মধ্যে করোনার মা বাবাও ছিলো। তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য করোনা মনে মনে পণ করে যে সে পৃথিবীর সকল মানুষকে আলাদা করে ধ্বংস করে দিবে। সে তার দাদার সাথে থাকত।তারাও কিন্তু চীনে থাকতো। করোনা তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বছর ধরে শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে।অবশেষে সে অনেক শক্তিশালী হয়ে যায়। সে তার দলকেও শক্তি শালী করে তোলে।তাদের পরিকল্পনা ছিল যে মানুষকে আলাদা করে দিবে এবং তারপর তাদের ধ্বংস করে দিবে।তারা আক্রমণ করল প্রথমে চীনে। ধীরে ধীরে সংক্রামণ বেড়ে গেল সারা দেশে। ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে। পৃথিবীর সকল মানুষকে ঘরের ভিতর থাকতে বলা হলো।৩ফিট দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলতে বলা হলো। বিদেশ থেকে এলে ১৪দিন কোয়ারান্টাইন থাকতে বলা হলো। তারপর কিছু দিন পর লক ডাউন করে দেয়া হলো। এটাই তো চেয়েছিল করোনা যে মানুষ একসাধে থাকবে না আলাদা হয়ে যাবে!
কিন্তু সে তো আর জীবদের মধ্যে সবচেরে বুদ্ধি মান মানুষকে চেনে না! এখন সবাই আধুনিক যুগের মানুষ, এখন অনেক যনএপাতি তৈরি হয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ দূরে থেকেও আপনজনের কাছে থাকতে পারে। করোনা ভাবতেও পারেনি যে যদি মানুষকে আলাদা করে দেয় তাহলে সে একজন থেকে আরেকজনকে সংক্রমণ করতে পারবে না।
কিন্তু যখন করোনা সেটা বুঝতে পারলো তখন সে নিজের আকৃতি পরিবর্তন করতে শুরু করে। সে আরও শক্তি সঞ্চয় করে বাতাসের মাধ্যমে ও ছড়াতে লাগলো।
কিন্তু মানুষ সেটাতেও হার মানলো না!তারা সবাই মাস্ক পরলো,নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত পরিস্কার করলো,স্যানেটাইজার ব্যবহার করল,একে অপর থেকে দূরে থাকলো। তারপর আস্তে আস্তে ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলো। এভাবে তারা করোনা ও তার বাহীনিকে বিলুপ্ত করে দিলো!মানুষ আবারও জয়ী হলো!
(বি.দ্র. লিখায় ভুল ক্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন )
.......রোদেলা রিদা......
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now