বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

"হুনাইনর যুদ্ধ"

"যুদ্ধের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান TH£ K!NG 0F HUNTER$ (০ পয়েন্ট)

X ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এর মধ্যে থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়া যায়। ৬৩০ হিজরি থেকে এই পর্যন্ত আনুমানিক ৩০-৪০ ঐতিহাসিক যুদ্ধের ঘটনা সম্পর্কে জানি এর মধ্যে কয়েকটি যুদ্ধের মধ্যে এটি অন্যতম। অনেক প্রশ্ন ছিল, কিন্তু আজ একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেওয়া যাক।যদি উসমানীয় সাম্রাজ্য এখন অবধি ঠিকে থাকত তবে পুরো পৃথিবীটা হয়ত অন্য রকম হত।মুসলিমদের শাসন এখন পুরো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত থাকত। এরকম টা নিচের এই ইতিহাসের মধ্যে উত্তর পাওয়া যায়। বাতিনি আর ইহুদি এই দুচোখ সারা জীবন থাকবে। কাফের ও থাকবে। এদের মধ্যে ইসলাম ও ঠিকে থাকবে।আল্লাহ পাক এর রক্ষক হয়ে সারা জীবন ঠিকিয়ে রাখবেন। আল্লাহ উপর ভরসা রাখলে হয়ত আবার ১২ হাজার সৈন্য এর পরিবর্তে ১২ জন নিয়ে ও সারা পৃথিবী জয় লাভ করেও ইসলাম কায়েম করা যেত। কিন্তু বর্তমানে ১২ জন সৈন্যের যে ইসলামিক চেতনা ধারন করা দরকার সেটা প্রকাশিত হয় না।তাই এভাবে আর যুদ্ধ জয়ের গল্প নতুন করে ইতিহাস তৈরী হয় না। উসমানীদের ৭০০ বছরের ইতিহাস এর সমাপ্তি ঘটে। আমার এক সময় ইতিহাস পড়তে জানতে ইচ্ছে হত না। কিন্তু আল্লাহ পাক চাইলে সব সম্ভব। আজ লিখব আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর হুনাইনের যুদ্ধ নিয়ে (গাজওয়া এ হুনাইন যুদ্ধ) নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) ও তার অনুসারীগণ কর্তৃক বেদুঈন গোত্র হাওয়াজিন ও তার উপশাখা সাকিফ এর বিরুদ্ধে মক্কা থেকে তাইফের পথে একটি রাস্তায় ৬৩০ সালে লড়াইকৃত একটি যুদ্ধ। মুসলিমদের বিজয়ের মাধ্যমে যুদ্ধটি সমাপ্ত হয়, যারা অসংখ্য গনিমতের মাল দখল করে নেয়। সূরা তওবা তে এই যুদ্ধের উল্লেখ আছে, যা কুরআনে উল্লেখিত স্বল্পসংখ্যক যুদ্ধের মধ্যে অন্যতম। হুনাইনের যুদ্ধ সম্পাদনা: এ প্রস্তুতির কথা জানতে পেরে নবী করীম -ও সাহাবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, এই ক্রমবর্ধমান ফিতনাকে সময় থাকতেই মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে অষ্টম হিজরীর ১০ শাওয়াল প্রায় বারো হাজার মুসলিম সৈন্য নিয়ে মুহাম্মাদ দুশমনের মুকাবিলার জন্যে রওয়ানা হলেন। ঐ সময় মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা ছিলো বিপুল আর তাদের যুদ্ধ-সরঞ্জামও ছিলো প্রচুর। এটা দেখেই তাদের মনে পূর্ণ প্রত্যয় জন্মালো যে, দুশমনরা তাদের মুকাবিলা করতে কিছুতেই সমর্থ হবে না; বরং অচিরেই তারা ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাবে। এমন কি, কোনো কোনো মুসলমানের মুখ থেকে এ উক্তি পর্যন্ত বেরিয়ে পড়লো : ‘আজ আর আমাদের ওপর কে জয়লাভ করতে পারে কিন্তু এরূপ ধারণা মুসলমানদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে কিছুমাত্রও সামঞ্জস্যশীল ছিল না। কারণ তাদের কখনো আপন শক্তি- সামর্থ্যের ওপর ভরসা করা উচিত নয়। তাদের শক্তি হওয়া উচিত শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলার দয়া ও করুণা। কুরআন পাকে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন : ‘হুনাইনের দিনকে স্মরণ করো, যখন তোমরা নিজেদের সংখ্যাধিক্যতে তুষ্ট ছিলে; কিন্তু তাতে তোমাদের কোনো কাজ হয়নি; বরং জমিন প্রশস্ত থাকা সত্ত্বেও তা তোমাদের জন্যে সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিলো এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পালিয়েছিলে। অতঃপর আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং মুসলমানদের ওপর নিজের তরফ থেকে সান্ত্বনা ও প্রশান্তির ভাবধারা নাযিল করলেন এবং তোমরা দেখতে পাওনি এমন সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করে কাফিরদের শাস্তি দিলেন। কাফিরদের জন্যে এমনি শাস্তিই নির্ধারিত।’ [৪] হুনাইন হচ্ছে মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তী একটি উপত্যকা। এখানেই এই ঐতিহাসিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুসলমানরা সামনে আসা মাত্র দুশমনরা আশ-পাশের পাহাড় থেকে এলোপাথাড়ি তীর নিক্ষেপ করতে শুরু করলো। এ পরিস্থিতির জন্যে মুসলমানরা মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। এর ফলে তাদের সৈন্যদলে বিশৃংখলা দেখা দিলো এবং কিছুক্ষণের জন্যে তারা ময়দান ত্যাগ করলো। অনেক বেদুইন গোত্র ময়দান থেকে পালিয়ে গেলো। এদের মধ্যে সবেমাত্র ঈমান এনেছে এবং পূর্ণ প্রশিক্ষণ পায়নি এমন অনেক নও-মুসলিমও ছিলো। এই বিশৃংখল পরিস্থিতিতে হযরত অত্যন্ত দৃঢ়তা ও প্রশান্ত চিত্তে যুদ্ধ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে রইলেন এবং দুশমনদের মুকাবিলা করা ও ময়দান থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করার জন্যে মুসলমানদের প্রতি ক্রমাগত আহবান জানাতে লাগলেন। তার এই অপূর্ব ধৈর্য- স্থৈর্য এবং তার চারপাশে বহু সাহাবীর অকৃত্রিম দৃঢ়তা দেখে মুসলিম সৈন্যরা পুনরায় ময়দানে আসতে শুরু করলো এবং নবতর উৎসাহ- উদ্দীপনা ও শৌর্য-বীর্যের সঙ্গে দুশমনদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। নবী করীম (স) এবং তার সাহাবীদের এই ধৈর্য ও দৃঢ়তাকেই আল্লাহ তা’আলা তাঁর তরফ থেকে অবতীর্ণ সান্ত্বনা ও প্রশান্তির লক্ষণ বলে উল্লেখ করেছেন। এর ফলে আল্লাহর অনুগ্রহে অল্পক্ষণের মধ্যেই যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেলো এবং মুসলমানরা পুরোপুরি জয়লাভ করলো। কাফিরদের প্রায় ৭০ ব্যক্তি নিহত এবং সহস্রাধিক লোক বন্দী হলো। দুশমনদের পশ্চাদ্ধাবন ও কল্যাণ কামনা কাফিরদের বাকি সৈন্যদের পালিয়ে গিয়ে তায়েফে আশ্রয় গ্রহণ করলো। কারণ তায়েফকে একটি নিরাপদ স্থান মনে করা হতো। হযরত (স) তাদের পশ্চাদ্ধাবন করলেন এবং তায়েফ অবরোধ করলেন। তয়েফে একটি মশহুর ও মজবুত দুর্গ ছিলো। এর ভেতরেই কাফিরগণ আশ্রয় গ্রহণ করেছিলো। অবরোধ প্রায় বিশ দিন অব্যাহত রইলো। হযরত (স) যখন ভালোমতো বুঝতে পারলেন যে, দুশমনদের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে এবং এখন আর তাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার কোনো আশঙ্কা নেই, তখন তিনি অবরোধ তুলে নিলেন এবং তাদের জন্যে দোআ করলেন : ‘হে আল্লাহ! সাকীফ গোত্রকে সুপথ প্রদর্শন করো এবং তাদেরকে আমার কাছে হাযির হবার তাওফিক দাও।’ কেবল দ্বীন- ইসলামের জন্যে সংগ্রামকারী খোদার নবী ছাড়া কে এমনি পরিস্থিতিতে একখানি দয়ার্দ্র হৃদয় ও স্নেহশীল হতে পারে এবং বিরুদ্ধবাদীদের জন্যে কল্যাণ কামনা করতে পারে? ইতিহাস এর মধ্যে থেকে আমি সবচেয়ে যে জ্ঞান পেয়েছি তা হলো আল্লাহর তাকওয়া,ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, ধৈর্য ধার,আল্লাহর উপর ভরসা থাকলে এই অল্প জীবন ও পরকাল দুটোই সফলতা লাভ করা যায়। সাথে ইসলামের ইতিহাসের সাথে নিজের নাম ও লেখা থাকবে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬০৫ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • দুষ্টু কবি
    User ৩ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    আপনার মূল্যবান কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

  • আহমেদ মূসা[EAGLES OFTHE SEA]
    Golpobuzz ৩ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    ভালো লেগেছেgj তবে উসমানীয় সম্রাজ্য ১২৯৯-১৯২২, খিলাফত ১৫১৭-১৯২৪ সাল পর্যন্ত। হ্যা যুগে যুগে মুসলিমরা যত বিজয় অর্জন করেছে প্রায় সবগুলো যুদ্ধেই মুসলিমদের সৈন্যসংখ্যা অনেক কম ছিল কিন্তুু আল্লাহর প্রতি ছিল দৃঢ় বিশ্বাস। উসমানীয় সম্রাজ্যর কথা আসলেই- যাদের নামে একসময় পুরো পৃথিবী কাপত। এটার পতন তখনি উকি দেয় যখন মিশর উসমানীয় সম্রাজ্যর বিরুদ্ধে বিদ্রহ করল। তখন আরও চূড়ান্ত হয় যখন ফ্রান্স মিশরে সুয়েজ খাল খনন করার নামে মিশর দখলের চেষ্টা করে। তখন থেকেই পতন শুরু হয় যখন মুহাম্মদ আল ফাতিহর প্রণিত আইন উওরাধিকার একজন রেখে বাকিদের হত্যা করতে হবে এই আইন অমান্য করা শুরু করল। যখন আরব জাতীয়তাবাদ সেকুলারিস্টদের উত্থান গঠল। তখন পতন চুড়ান্ত হয়ে গেল যখন ২য় আব্দুল হামিদের মতো শাসককে পদচ্যুৎ করা হলো। যাইহোক সবকিছুরই শেষ আছে। অবশ্যই আবারও ইসলাম বিজিত হবে।