বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
হঠাৎ করে জ্ঞান ফিরল রাকিবের । সে নিজেকে একটা রুমের বিছানাতে আবিষ্কার করল। তবে এটা তার বাসার রুম না।স্কুল ড্রেসটা এখনও পড়ে আছে সে।
রুমটা বেশি বড় না।ধবধবে সাদা দেয়াল।ঘুমের ঘোরটা ভালো ভাবে কাটতেই বুজল দেয়ালটা টাইলস করা। দুইদিকের দেয়ালে দুইটি টিউব লাইট জ্বলছে।
চোখ খুলেই সে বুজল তার প্রচন্ড ক্ষিধে পেয়েছে।জল পিপাসাও প্রচন্ড। বসা অবস্থায় সারা রুম তন্নতন্ন করে খুজল। এক জোড়া ভীত চোখ আশে পাশে কিছু একটা খুজছে। কিন্তু এই রুমে বিছানাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। বিছানার পাশে চোখ পরতেই বোতল জাতীয় কিছু একটা দেখল সে। ফ্লোরে নামার শক্তি নেই। তারপরেও বিছানায় গা এলিয়ে হাত বাড়িয়ে বোতল টা ধরে ফেলল। ২ লিটার পানির বোতল। ঢক ঢক করে অর্ধেক বোতলের পানি শেষ করে ফেলল।
এখন কিছুটা ভালো লাগছে তার। সারা রুম একবার চোখ বোলাল। রুমে ২ টি দরজা। ফ্লোর টাইলস করা। ফ্লোরে চোখ বোলাতে গিয়ে একটা অস্বাভাবিক কিছু দেখল। ফ্লোরের এককোণে বর্গজাতীয় একটা দাগ টানা। ফ্লোরে এইরকম সিস্টেম আর কোথাও দেখেছে বলে মনে হচ্ছে না তার কাছে । রুমে নিশ্চয় সিসি ক্যামেরা আছে। তার ভীত চোখগুলো এবারও তন্নতন্ন করে খুজল। কিন্তু কোনো সিসি ক্যামেরার হদিস পেল না। নিশ্চয় আছে...... লুকায়িত।
এখন কোথায় আছে আর এখানে কি ভাবে এলো তা এখনো বুজতে পারছে না সে। স্কুলে থাকতে সে একটা চিঠি পেয়েছিল। সেখানে লিখা ছিল তার মা অসুস্থ! স্কুল ছুটির পর যেন তারাতাড়ি যেতে পারে সেজন্য স্কুলের ২ নম্বর গেটের সামনে একটি কালো গাড়ি থাকবে।
টিফিন পিরিয়ডে লিটন স্যার চিঠিটা দিয়ে গেয়েছিল। লিটন স্যার তখন বলেছিল,
" মাঝবয়েসী একটা লোক এসে তোমাকে চিঠিটা দেওয়ার জন্য বলে।"
টিফিন পিরিয়ডে খেলায় এত মশগুল ছিল যে চিঠির কথা বেমালুম ভুলে যায়। চিঠিটা খুলে ছিল ৬ষ্ট পিরিয়ডে। লেখাগুলা ছিল কম্পিউটারে টাইপিং করা। তখন তার মায়ের কি হয়েছে তা ভেবে অস্থির হয়ে যায়। যখন স্কুল ছুটি হয়েছিল তখন সে কাওকে না বলে দ্রুত স্কুল থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে। কিন্তু গাড়িতে উঠতেই কেউ একজন তার মুখ জাপটে ধরে এবং আরেকজন সিরিঞ্জ দিয়ে কি যেন ঢুকিয়ে দেয়। তখন তাদের থেকে মুক্ত হতে সে ধস্তাধস্তি করে। কয়েকবার চিৎকারও করেছিল।কিন্তু সে চিৎকারে গাড়ি ভেদ করে বাইরে বেরুইনি। তার পর সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
কত সময় পার হয়েছে তা এখনো জানে না সে। ১ দিন হবেই । স্কুল ব্যাগটা এখানে নেই। সে স্পষ্ট বুজতে পারছে যে সে একটা খারাপ চক্রের মধ্যে পড়ে গেছে। " কিন্তু কেন আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে?" প্রশ্ন উঠে তার মনে।হঠাৎ করে তার মায়ের কথা মনে হতেই মনটা বিষন্ন হয়ে উঠল।
রাতে মাকে দেখেছিল ভালোই আছে। সেই রাতে মামার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। মামার বাসায় শুধু মামানি আর মামাতো ভাই গালিব ছিল। রাকিবের নিজের বাসায় তার মা আর বোন ছিল।তার বাবা নেই। প্রায় দেড় বছর হলো তার বাবা " অস্বাভাবিক" ভাবে মারা গেছে.......
সকালে মামার বাসা থেকেই স্কুলে এসেছিল। ব্যাগ সাথেই ছিল। কিডন্যাপ চক্ররা (!) [কিডন্যাপার] আরো আগে থেকেই তাকে লক্ষ্য করছিল।তাই হইত মায়ের শরীর খারাপ হওয়ার কথাটা দিয়ে ফন্দি এঁটেছিল এবং তা সফলও হয়েছে।
থমথমে নিরব। কোথাও একটুও আওয়াজ নেই। পিনপতন নীরবতা। এরমধ্যেই তার শরীরে ঘাম বইছে। সে ভয় পাচ্ছে। তার হৃদকম্পন অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে কমছে।মনে হচ্ছে বুকে হাতুড়ি পিটানো হচ্ছে। ক্ষিধেও পেয়েছে প্রচুর! সবকিছু মিলে সবটাই নেতিবাচক। নিশ্চয় এখন রাত।"দুপুর থেকে না খেয়ে আছে" কথাটা ভাবতে গিয়ে সে একটু হয়ে ভাবল " দুপুর থেকে না গতকাল দুপুর থেকে!"।
কিভাবে এই রণক্ষেত্র থেকে বাঁচা যায় তাই এখন চিন্তা করা শ্রেয়। সে অনুমান করছে যে কেউ একজন আসবে আর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। বিভিন্ন গোয়েন্দা -ক্রাইম সিনেমায় সে এরকমই দেখেছে। কিন্তু তার জন্য এত নিরাপত্তা কেন? নিজের মনেই প্রশ্নের সমাধান টা করে ফেলল সে। বর্তমানে সে একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তি। সিনেমায় এও দেখেছে যে আটক হওয়া ব্যাক্তিটিকে উদ্ধার করার জন্য র্যাব পুলিশ রাস্তায় বের হয়। কিন্তু তাকে উদ্ধার করার জন্য কে আসবে? তার বাবা উপর মহলের লোক ছিল। নিশ্চয় এতক্ষনে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে তার হারিয়ে যাওয়ার কথা। র্যাব,পুলিশ নিশ্চয় তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।! "সাকিব এহসান তারা কি বসে থাকবে হাত গুটিয়ে??" প্রশ্ন উঠে তার মনে। নিশ্চয় তারাও তাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে...........
~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এহাসানের কানের কাছে ব্লুথুটটাই কোনো সাড়া শব্দ নেই।সে দুই-তিন বার " হ্যালো, হ্যালো" বলেও কোনো সাড়া শব্দ পেল না। সাকিব কি তাহলে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছে? নাকি সে বিপদে পড়েছে??প্রশ্ন উঠে তার মনে। যাবে কি না ভাবছিল সে। কিন্তু পরক্ষণেই মনে পড়ল তার সাথে তানভীর আছে। তার কোনো অসুবিধা হলে তানভীর তাকে সাহায্য করবে। এহসানের খুব অস্থির লাগছে। হঠাৎ দেখল তানভীর উপর থেকে হেটে আসছে। কিন্তু তার সাথে সাকিব নেই!
~~~~আমার কথা~~~~~~~~
গল্পের এই পর্বটি লিখতে আমার বেশ বেগ পেতে হয়েছে।এই পর্বটি আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে। তবে পরের পর্বটি ইনশাআল্লাহ বেশ ফাটাফাটি হবে......... ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~ অনিশ্চয়তার মধ্যেই লিখে ফেললাম! কেমন লাগল জানাবেন......
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
মেহেদী হাসান
User ৩ বছর, ৩ মাস পুর্বেছোটু মফি
Golpobuzz ৩ বছর, ৩ মাস পুর্বে