বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
তোমার কি একটি বারও কি মনে হয়না যে আমি বিরক্ত হই। শুনো আমি তোমাকে ভালোবাসি। দুর রাখ তো তোমার ভালোবাসা। Please আমাকে দূরে ফেলে দিও না যা খুশি করো আরো মারো বকো। আমি কিছু মনে করব না। একটু শুধু ভালোবাসো আমাকে। যেখানেই দেখা পেত সেই খানেই মেয়েটি আমাকে তার ভালোবাসার কথা বলতে ভুলে যায়নি। এমন কোনো জায়গা নেই যে খানে আমি যাই সে জানে নাহ। তার আমার এমন কোন বন্ধু নেই যে , আমাকে ভালবাসার কথা বলা বাকি রাখছে। একদিন বিকালে আমি একটা চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছি ওর কলেজের এক sir এসে বলতেছে নিলয় বাবু নিলয় বাবু আমার খুব বড় ভুল হয়ে গেছে। আরে স্যার, কি হয়েছে বসেন চা খান। নাহ্ বাবু আমাকে মাপ করে দেন। দুর বাবু বলেন তো কি হইসে। আমি জানলে এই ভুল কোনো দিনও করতাম না। স্যার বলেন না কি হইসে। Incurse পরীক্ষায় আপনার girl friend কে ফেল করে দিয়েছিলাম। Please নিলয় বাবু মাপ করে দেন। এইভুল আর হবে না। যতদূর বুজলাম ওই মেয়েটা (অয়ন্তিকা) তার sir কেও আমার নামে ভয় দেখিয়েছে। ওকে একটা ফোন দিলাম।
Hello অয়ন্তিকা বল ছেন।
অয়ন্তিকা: জান পাখি বল। কি করবো তোমার জন্য। তোমার কাছে আসবো। তুমি কি অসুস্থ বাবু।
আমি:- এই মেয়ে তোমার তো সাহস কম নয়।
--- তোমার girlfriend এর সাহস না থাকলে চলে বলো। তাছাড়া লোকে কি বলবে বলো ।
--- এই তুমি কোথায় আছো? বলো
--- কেনো বাবু আমাকে দেখতে ইচ্ছা হইসে তোমার।
আমি একটু বিরক্তি হয়ে বললাম হম খুব ইচ্ছা হইসে বলো।
--- আচ্ছা বাবু দাঁড়াও আমি আসতেছি। বলে ফোনটা কেটে দিল। এই মেয়ে জানে নাকি আমি আছি।
চায়ের দোকানদার বলল কে অয়ন্তিকা, ভাই আপনার চিন্তা করতে হবে না। সে ঠিক চলে আসবে।
আমার সম্পর্কে একটু বলি আমি এই এলাকার ভাই। এই এলাকায় আমাকে বাদ দিয়ে কেউ কিছু করবে মানেই তার বিপদ। মোট কথা যাকে বলে মাস্তান। সবাই আমাকে দেখে ভয় পায় কিন্তু এই মেয়েটাকে দেখে আমারই ভয় লাগে। কখন যে কি করে বসে কি যানে। দেখি দোকানদার লোক বের করে দিতেছে। আমি একটু ভিতরেই বসি যা আর একটা খুপরির মতো। সেখানে এই টাইম টা আড্ডা দেই। দেখলাম অয়ন্তিকা আসলো। আর সবাইকে কিজেনো বললো তবে শব্দ ছাড়া সবাই চলে যেতে চাইলো কিন্তু আমি বসতে বললাম। যেনো আমার বিরোধী পার্টি।
আমি কেনো জানিনা সেই দিন ওর সাথে বেশ রাগ হয়ে ছিলাম। বললাম স্যারকে কি বলছো।
অয়ন্তিকা: জান, তুমি আজ প্রথম আমায় ডাকলে please কিছু খাও। এই মামা একটা চা একটা সিগারেট। এই তোমরা কি দেখছো যাও ঐদিকে গিয়ে যা মনে চায় খাও দেখছো না দাদা বৌদি প্রেম করেছে।
আমি ওকে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলাম বললাম দাদা বৌদি আমরা প্রেম করছি না। এই মেয়ে কি মনে করো নিজেকে। হ্যা। যা মনে আসে তাই বলে যাচ্ছো। এমন কেউ বাদ নাই যে তুমি বলো নাই আমরা প্রেম করছি। এই কি চাও তুমি। তোমার কি একটি বারও কি মনে হয়না যে আমি বিরক্ত হই। শুনো আমি তোমাকে ভালোবাসি। দুর রাখ তো তোমার ভালোবাসা। Please আমাকে দূরে ফেলে দিও না যা খুশি করো আরো মারো বকো। আমি কিছু মনে করব না। একটু শুধু ভালোবাসো আমাকে। ভাই একটু শান্ত হউন। এই এটাকে এখান থেকে এখনই সারাও নইলে আমি অন্য কিছু করে বসবো কিন্তু। অন্যরা :- বৌদি please এখন যান ভাইয়ের মাথা ঠান্ডা হোক। Please..
অয়ন্তিকা :- তোমাকে সত্যিই খুব ভালোবাসি। ভালোবেসে তোমাকে নিজের করে নিতে চেয়েছি, ভেবেছিলাম তোমায় একদিন ভালো করবো। জানি তুমি খুব বড় মনের মানুষ। তুমি হাজার অপমান করেছ আমি মনে কিছুই করিনি কিন্তু তুমি আজ সবার সামনে আমার গায়ে হাত তুললে। Ok Fine ভালো থেকো। আর তোমায় ডিস্টার্ব করবো না।
এর কিছুদিন পরে আমার উপর হামলা হলো। আমাদের উপরের নেতাদের সাথে ঝগড়া হলো। প্রায় আমার ছেলে গুলো আমার বিপরীতে চলে গেলো। তারা আমার উপর আক্রমণ করলো। আমি hospital এ ভর্তি। 2ই দিন আমার জ্ঞান ছিল না। পরে শুনলাম দোকানদার আমাকে নিয়ে মেডিক্যালে ভর্তি করে গেছে। ভাবলাম এখন আর মাস্তানি করবো না। সব ছেড়ে দিয়ে দূরে কোথাও গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করবো। তখনই মনে হলো অয়ন্তিকার কথা। তখন থেকে অয়ন্তিকাকে খুব মিস করতে লাগলাম। প্রায় ওই মেয়েটা আমার সাথে 7 থেকে 8 মাস যাবৎ যোগাযোগ করে নাহ্। সে কি যাবে আমার মতো একটা মাস্তানের সাথে? সে কি আবার নতুন করে আমায় ভালোবাসবে?
উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now