বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

জোর করে ভালোবাসা আদায়

"সত্য ঘটনা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ ইমরান হোসেন (০ পয়েন্ট)

X সাগরিকার যতই সাওনের কথা ভুলতে চাইছে ততই সাওনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।আর সাগরিকার রাগ সাওনের উপর বেড়ে যাচ্ছে আর বিকালের কথা গুলি মনে পড়ছে শুধু এতে করে সাগরিকার জেদ আরো চেপে বসছে তাকে যেকোনো উপায়ে সাওন কে পেতেই হবে,,কিন্তু সাওন তো অন্য কাউকে ভালোবাসে। কি করবে সে?? হ্যা সাওনের সাথে এই মেয়েটার কি সত্যিই রিলেসন আছে?? নাকি বিকালের যেটা ঘটেছিল ওটা শুধুই নাটক ছিল?? এ সকল প্রশ্ম সাগরিকার মাথায় ঘুরপার খাচ্ছে।অবশেষে সাগরিকা সিদ্ধান্ত নেয় সাওন আর নিধির রিলেসন আছে কিনা সে সিওর হবে তারপর ভেবে দেখবে কি করবে….. . এদিকে সাওন ও ভাবছে মেয়েটা কি বিকালের ঘটনার পেক্ষিতে কি কিছু করে বসবে নাকি ও মেয়ে যে dungarees সবকিছুই করতে পারে যা তার ভাববার অতীত.. . পরেরদিন ক্যাম্পাসে… সাওন নিধি ও জুবায়ের বসে আছে আর কালকে বিকালের ঘটনা নিয়ে কথা বলছে। আর সাগরিকা দুরে দাড়িয়ে আছে তাদের দেখছে সাগরিকা স্বাভাবিক ভাবেই আছে।সাগরিকার বন্ধুরা সাগরিকাকে বলছে কাল তোকে সাওন ভাইয়া দেখা করতে বলল কি হলো সে কি প্রমান করতে পারল কিছু.. –নিয়ে এসে তো নিধি না কিনামের একটা মেয়েকে বলল নাকি তার gf..(সাগরিকা) –কেন তোর মনে হয় না..??(সাগরিকার বন্ধু তমা) –নারে..(সাগরিকা — এখন মনে না হওয়া দিয়ে কি হবে সাওন ভায়াকে তোর এখন ছাড়তেই হবে। শতের কথা মনে নাই..??(তমা) –হুট তোর শত এটা যদি সাওনের অভিনয় হয় আমাকে দেখানোর জন্য…(সাগরিকা) –তাও ঠিক..(তমা) –কি ঠিক ঠিক করিস এটাই ঠিক..(সাগরিকা) –আর যদি সত্যিই হয় তবে ..??(তমা) –সে তখন দেখা যাবে। –এখন কি করবি…?? –করব তো অনেক কিছু শুধু দেখ… –মানে…?? –মানে মানে করির নাতো.. এদিকে সাওন জুবায়ের ও নিধি বলছে.. –সাওন কাজটা কিন্তু ঠিক হলো না করা।(নিধি) –কি করা ঠিক হলোনা..??(সাওন) –তুই বুঝিস না নিধি কি বলছে..(জুবায়ের) –বুঝলাম তো…(সাওন) –মেয়েটা কিন্তু তোকে সত্যি ভালোবাসে(জুবায়ের) –ঠিকি বলছে জুবায়ের(নিধি) –কি ঠিক বলছে ও মেয়ে আসলেই একটা প্যারা গেছে ভালো হইছে..(সাওন) –তাও সাওন তুই কি মেয়েটাকে নিয়ে ভাবতে পারতি…(নিধি) –ভাবার কিছুই নাই(সাওন) –সাওন আমার মনে হয় সাগরিকা তোকে ছাড়বে না (জুবায়ের) –কথাটা কিন্তু ঠিক।(নিধি) –ও আবার কি করবে…(সাওন) –সেটা তো দেখাই যাবে।(জুবায়ের) –আচ্ছা তোরা আমার বন্ধু না সাগরিকার রে(সাওন) –তোর ও!আর তোর জন্যই তো মিথ্যা নাটক করতে হলো।(নিধি) –আমি কিছু করি নি তোদের জন্য(সাওন) –করেছিস কিন্তু..(জুবায়ের) –আর কিন্তুর কিছু নাই..(সাওন) –তাও একবার ভেবে দেখিস(নিধি) –আচ্ছা এবার তো বাসাই যান আনেক দেরি হয়ে গেছে..(সাওন) –আচ্ছা চল..(দুজনেই একসাথে) এরপর যে যার বাড়ি চলে গেল এভাবেই দিন যেতে থাকে সাগরিকা সাওন কে নিয়মিত ফলো করে তার মাঝে মাঝে সন্দেহ হলেও সাওন এমন বিহেব করে আসলে সাওন আরে নিধি যেব gf bf বুঝতেই দেয় না কাউকে আর সাওন কে নিধির সাথে কথা বলতে দেখলে সাগরিকার পাগলের মতো করতে থাকে এই তো সেদিনের কথা.. সাওন সাগরিকা দেখিয়ে দেখিয়ে নিধির সাথে কথা বলছিল তখন পাশে দাড়িয়ে ছিল সাগরিকা আর তার বন্ধুরা সাগরিকা সাওন কে নিধির সাথে কথা বলতে দেখে চিৎকার করে ওর বন্ধুদের সাথে ঝগড়া শুরু করে দিল যাতে করে বন্ধুরা প্রথমে ভেবাচেকা খেয়ে গেলেও পরে বুঝতে পারে আসল ঘটনা।আর পাশে সাওন সাগরিকার এরূপ বিহেব দেখে শুধু হাসে থাকে।সাগরিকা সাওন কে অন্য কারোর সাথে মেনে নিতে পারে না কখনো সে এখন আগের মতো নেই মন মরা হয়ে বসে থাকে সাওন সাগরিকার এরূপ অবস্তা দেখে তার খারাপ লাগে আসলে সাগরিকার এই পাগলামি গুলোর প্রেমে পড়ে গিয়েছিল সে সেগুলো কে মিস করে। এভাবেই দিন কাটতে থাকে তাদের সাগরিকা এখন সাওনকে পাবার আশা ছেড়ে দিয়েছে প্রায় কিন্তু তাও কেন যেন তার আশা করতে মন চাই কিন্তু কি করবে সে এদিকে সাওন ও সাগরিকার এরূপ দশা সহ্য করতে পারে না কিন্তু কি করবে?? সাওনের মনের ভাব জুবায়ের আর নিধি বুঝতে পারে তারা কিছু করবে কিন্তু তাও পারে না সাওনের জন্য এভাবেই একদিন …জুবায়ের আর নিধি আপন মনে পাকে হাতধরা ধরি করে হেটে যাচ্ছে সাগরিকা তাও আবার দেখছে মানে সাগরিকা পাকে ছিল তখন সাগরিকা নিধি আর জুবায়ের কাছে চলে যায় আর তাদের কাছে গিয়ে বলতে থাকে… –ছি এই তোমরা বন্ধু তোমারা সাওনকে এইভাবে ঠকাচ্ছো..(সাগরিকা) –আরে….(নিধি) –এই যে জুবায়ের ভায়া আপনিও সাওন না আপনার bestfriend তাকে আপনি ধোকা দিলেন তার রিশ্বাসের এই মজাদা দিলেন..(সাগরিকা) –সাগরিকা…(জুবায়ের) –আপনারা আসলেই..সাওন যদি জানে তবে কতকষ্ট পাবে জানেন(সাগরিকা) –চুপ করো এবার..(নিধি) –কি চুপ করব..(সাগরিকা) –আরে আগে শুনবা তো..(নিধি) –বলেন কি বলবেন(সাগরিকা) –শুনো(জুবায়ের আর নিধি সাগরিকাকে সাওনের প্লানের সব কথা বলে) –আমার সাথে এরকম করল কেন(সাগরিকা ওদের কথা শুনে কাদতে থাকে আর বলে) –সেটা আমি জানি না..(নিধি) –ওকে আনেক বার বলেছি কিন্তু ও এ বিসয় নিয়ে কিছুই ভাবতে চায় না(জুবায়ের ) –আমি তো ওকে অনেক ভালো বাসি আর এই কয়দিনে জানেন ও অন্যকারো জেনে আমার কি হয়েছিল আর আপনি তো জানেন ই জুবায়ের ভায়া আপনি তো ওর ছোটবেলার বন্ধু আপনি তো কিছি জানেন(সাগরিকা) –সেটা আমি জানি সাগরিকা কিন্তু সাওন কেন যে এরকম করল আমি কিন্তু বুঝতে পারিনি ওর সাথে আমার সেই ছোট বেলা থেকে বন্ধুত্ব কারো সাথে ও প্রেম করেনি ও মেয়েদের এড়িয়ে যায় সব সময় বলে ওর নাকি মেয়েদের ভালোলাগেনা (জুবায়ের) –কেন ..??(সাগরিকা) –যখন বলতেই হবে শুন আমারা যখন class 9 এ পড়ি তখন ওর কাকা মানে ওর বেস্ট ফ্রেন্ড ও ওর সব কিছু কাকার সাথে সেয়ার করত ওর কাকাও ওর কাকাও একটা মেয়েকে ভালোবাসত মেয়েটাও আসলে মেয়েটা অভিনয় করত ওর কাজাে সাথে মেয়েটা ওর কাকাকে সবার সামনে চরম অপমান করে যার কারনে ওর কাকা আত্নহত্যা করে সেই থেকে ওর প্রেমের প্রতি এরকম মনোভাব ও এজন্যই তোমার সাথে এরকম করল।(জুবায়ের) জুবায়েরে কথা শেষ হতেই সাগরিকা আর নিধি অতভাগ বেশি হতভাগ নিধিই কারন সে সাওনের সাথে সাগরিকার সামনে অভিনয় টা করেছে আর তাকে আর জুবায়ের কে মিলিয়ে দিয়েছে তো সে সবাই চুপ তারপর নিরবতস ভেঙে সাগরিকা বলতে থাকে… –সবার পরিনতি তো এক হয় না(সাগরিকা) –কিন্তু ওকে বোঝাবে কে…(নিধি) –জুবায়ের ভায়া কিছু করতে পারেন না আপনি?? (সাগরিকা) –জুবায়ের কিছুকি করার নাই..(নিধি) –আছে ওকে বোঝাতে হবে না ওর বিশ্বাসের পরিবতন করতে হবে তবে হতে পারে কিন্তু বোঝাবে কে?(জুবায়ের) –আমি বোঝাবো..(সাগরিকা) –তুমি কিন্তু কিভাবে??(নিধি) –শুনেন কাল প্রথমে প্রপোজ করব তারপর যদি না রাজি হয় তবে ওর সামনে সুইসাইডের নাটক করবে ওকে বোঝাবো সব রিলেসন এক না.. (সাগরিকা) –কিন্তু যদি কিছু গরবড় হয়ে যায় তবে।(জুবায়ের) –তুমি সব সময় নেগেটিভ চিন্তা কর ক্যান গো??(নিধি) –কি আমি নেগেটিভ চিন্তা করি??(জুবায়ের) –হ্যা কর সব সময়।(নিধি) –আসলেই সাওন ঠিক বলে মেয়েরা??(জুবায়ের) –কি বলে??(নিধি) –কিছুনা(জুবায়ের) -বল বলছি ??(নিধি) ওদের ঝগড়া দেখে সাগরিকা হেসে দেয়।সাগরিকা এতক্ষন পর হাসতে দেখে জুবায়ের আর নিধি চুপ হয়ে যায় তারপর সাগরিকা বলে… –ঝগড়া বাদ দেন সব ঠিক হবে দেখবেন..(সাগরিকা) –সব যেন ঠিক হয় এই দোয়াই করি(দুজনে এক সাথে) তারপর তারা নিজেদের বাসায় চলে যায় অপেক্ষাকি হবে কালকে কালকে সাগরিকা সাওনের মুখমুখি হবে এদিকে সাগরিকার রাত কাটতেই চায় না কি হবে কালকে।সাওন কে জুবায়ের ফোন করে সাকাল ৮টাই ক্যাম্পাসে আসতে বলে কারন জানতে চাইলে জুবায়ের আসেই জানতে পারবে বলে। পরেন দিন সবাই ৮টার মধ্যে ক্যাম্পাসে আসে কিন্ত যার আসার কথা সেই তো আসে না এদিকে সাওন ক্ষেপে যায় তারপর জুবারেয় আর নিধি বলে প্লানের কথা কিন্তু সাগরিকা তো আসল না সাগরিকার কিছু হয়েছে সাওন আর দেরি না করে সাগরিকার বাসার দিকে যেতে থাকে…পথের মধ্য দেখতে পায় লোকজমা হয়ে আছে সাওন লোক সরিয়ে দেখতে পায় সাগরিকা পড়ে আছে সবাই বলে সাগরিকা রাস্তা পার হবার সময় একটা গাড়ি এসে ধাক্কা দেয় সাওন আর কিছু না ভেবে সাগরিকাকে নি হাসপাতালে নিয়ে যায় সাগরিকা icu তে সাওন চিন্তায় একশেষ ভাবছে ওর জন্যই সব হলো জুবায়ের আর নিধি সাওব কে শান্তনা দিচ্ছে ডাক্তার icu থেকে বেরিয়ে আসল রোগি এখ ঠিক আছে তাকে কেবিনে দেওয়া হচ্ছে.. কেবিনে.. সাগরিকাে ঙ্গান ফিরে সে আবিষ্কার করে সে হাসপাতালর সামনে সাওন বসে আছে সাওনে দেখে উঠে বসতে চাইলে…সাওম বলে.. –তুমি অসুস্ত ওখনো উঠো না। –কিন্তু আমি এখানে কেন..?? –তুমি রাস্তায় আসার সময় accident করেছো। –ওও আমি মরে গেলে কার কি। –কেন তোমার বাবা মা তুমি মরে অনেক কষ্ট পেতো না তাদের তুমি একমাএ মেয়ে না। –শুধু কি তারাই পেতো আর কেই পেত না ?? –আর কে পাবে..(বুঝেও না বুঝার ভান করে) –আচ্ছা আমি যাই তাহলে –আপনি এবার চলে গেলে কিন্তু আমি নিজেকে সত্যিই শেষ করে দিব(রাগ আর অভিমানে) –এই না না আমি যাব না (ঘাবড়ে গিয়ে যদি কিছু করে ফেলে) –সত্যি তো.. –হুম.. –তুমি রাজি তো নাকি… –কিসে রাজি(যদিও জানে তাও) –আমার সাথে প্রম করতে –না .. –কেন করবে না কেন আমি খারাপ আমি ভালো না তাই (রেগে) –সেটা না.. –তবে কি হুম –তুমি কি জোর করে প্রেম করবা নাকি..?? –হুম করব.. –আমি যদি না বলি.. –আমি কিন্তু এবার সত্যি সত্যি নিজের কিছু একটা করব…. –না থাক লাগবে না। –তাইলে তুমি রাজি। –না রাজি হয়ে উপায় আছে যা সব করছ। –কি করছি আমি হুম –জোর করে ভালোবাসা আদায়। –জোর করেই বটে। –তা আর বলতে। –প্রোপোজ কর.. –পারি না তো.. –কর বলছি..‌ –আরে করছি । এই তুমি কি আমার নাতির দাদি হবে?? –এটা কি ধরনের প্রপোজ। –এর থেকে ভালো পারি না রাজি হলে হও নয় তো যাই?? –না না আমি রাজি তোমসর নাতনির দাদি হতে। . অতপর,এভাবেই একটা নতুন সম্পকের সৃষ্টি হলো অনেক বাধার পরে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৯৪১ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now