বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকঃ মোঃ আনিছুর রহমান (নিজ)
প্রকাশনাঃ হ্যামক ট্যুরিজম বিডি
শ্রেণীঃ উপন্যাস
প্রকাশকালঃ ২০১০
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
♥পর্ব-১২♥
-কয়েকদিন পরের কথা-
অপরাজিতা আমাকে আবার জাবির লেকে আসতে বলে। সেখানে কারও আনাগোনা নেই। এমন একটি নির্জন স্থানে সে আমাকে কেন আসতে বলল তা নিয়ে আমি ভাবনায় পড়ে যাই। বারবার এ বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তুলে। যথা সময়ে সে হাজির। তার হাতে আমার লেখা সেই চিরকুট। বৃষ্টি পড়ার তালে দীঘির পদ্ম যেমন কাঁপে, ঠিক পদ্ম কাঁপার মতো সে আমার পাশে এসে দাঁড়ায়। আর ভীরু ভীরু কণ্ঠে বলতে থাকে-
- তোমার এই চিঠি ও কাবিতাখানি একটুও মিথ্যা নয়। তুমি কি আমাকে সত্যিই ভালবাসো আনিছ, না শুধু তোমার স্বার্থের প্রয়োজনে।
- এমন কথা বলতে পারলে অপরাজিতা, আমি তোমাকে বীরপুরুষের মতো ভালবাসতে পারব না! তুমি আমার উপর আস্থা রাখতে পারো। তোমার ভালবাসাকে আমি অমর্যাদা করব না। তোমাকে এর আগে সরাসরি মনের কথা বলতে পারিনি। কারণ তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিলে আমি খুব কষ্ট পাব।
- আমার ভয় হয় আনিছ। আমাদের ভালবাসা কি টিকে রবে?
- অবশ্যই, কেন নয়? দু'জনের অবস্থাকে জানার নাম ভালবাসা। ভালবাসা বিশ্বাসের একটি দেয়াল। দু'জনের প্রতি বিশ্বাস যত গাঢ় হয় ভালবাসা তত মজবুত ও শক্তিশালী হয়। বিশ্বাসের দেয়াল ধসে গেলে ভালবাসার মৃত্যু হয়।
- আনিছ, তুমি এত সুন্দর করে কথা বলো কিভাবে?
- কবি বলে কথা!... আমার উত্তরের কি হলো?
- তোমার মতো ছেলে পাওয়া একটি মেয়ের সৌভাগ্য বলতে পারো।
- তাহলে কি তুমি আমাকে ভালবাসো?
- সে আমি বলতে পারব না। বুঝে নিও তুমি। অনেকক্ষণ হলো এখানে এসেছি। মাকেও বলে আসিনি। মা মনে হয় আমাকে খুঁজছেন। দেরি হলে বকা খেতে হবে। আসি। আমার দেখা হবে।
- শুনো অপরাজিতা। আগামী শুক্রবার আমি আমার অন্তরঙ্গ বন্ধুর বাড়িতে যাব। ফিরে এসে দেখা করব। দেখা করতে পারবে না তুমি?
- হুম। আমি চলি আনিছ। বাই।
- বাই বাই।
মনের ভিতরের আলোকচ্ছটা বারবার আড়াল হয়ে যায়। আমি বুঝতে পারছি না এমনটা হচ্ছে কেন? কিসের জন্য? তাকে শুধু বারবার দেখতে চাই। আমি অপরাজিতাকে তার বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিলাম।
মাঝবয়সী একটি মহিলার কণ্ঠস্বর শোনা গেল। মনে হয়, হয়ত অপরাজিতার মা। অপরাজিতাকে ডাকছিল।
- কোথায় গিয়েছিলি অপরা? কখন থেকে ডাকছি? সাড়া পেলাম না যে।
- ওওও মা..., আমি একটু বেড়িয়েছিলাম। কি করতে হবে এখন? বলো মা।
অপরাজিতার মা তাকে বাড়ির আবর্জনা পরিষ্কার করতে বললো। তারপর এ কথা বলল, " অপরা ঘরের জিনিসপাতি সাজিয়ে রাখিস। আমি চললাম তোর ছোট খালার বাড়ি। কারণ পিঠার জন্য চালের গুড়া আনতে হবে।"
- কিন্তু মা, হঠাৎ করে এসব বলছো যে। কি ব্যাপার?
- আর বলিস না। তোর ভাই সাইদ তার এক বন্ধুকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসছে। তো ওদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে তো!
খুশীতে মন মানে না অপরাজিতার। কি যেন এক অজানা আশা দোলা দিয়ে যায়। সে ভেবে পাচ্ছে না। শুধু অন্তর্যামী জানেন। আনন্দের ফোয়ারা বয়ে যায় অপরাজিতার মনে।
- কি মজা! কি মজা! ভাইয়া বাড়িতে আসছে। কবে আসছে মা?
- বললো তো আগামী শুক্রবারে।
কোথায় সেই আকাঙ্ক্ষিত দিন? এতো দেরি আর সয় না। অপরাজিতার মনে প্রশ্ন জাগে। সে দিন গুনতে থাকে।
..........চলবে.........
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now