বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমাদের বাস চলছে কুয়াকাটার উদ্দেশ্য তার আপন গতিতে।আমি মনে মনে অনেক উত্তেজিত কারণ সমুদ্র দেখবো।আবার একটু মন খারাপ ও আছে কারণ আমাদের ভ্রমণ শুধু একদিনের জন্য তার মানে আমরা যেটুকু কুয়াকাটায় ঘুরবো তার থেকে বেশি বাসেই থাকতে হবে।তো যাই হোক কতক্ষণ ঘুরবো সেটা আর মাথায় না রেখে বাসের জানালা দিয়ে বাইরের প্রকৃতি দেখতে দেখতে চলতে লাগলাম।প্রায় আধঘন্টা পর আমরা এবার নাটোর পৌছালাম।নাটোর এ এসে আরো ছয়-সাত জন যাত্রি নেওয়া হলো।আসলে আমি জানতামই না যে আরো কিছু যাত্রি নাটোর থেকেও নেওয়া হবে।নাটোর থেকেও যে কয়েকজন আমাদের সাথে যাচ্ছে এই কুয়াকাটা ভ্রমণে সেটা আমার জানা ছিল না।অবশ্য পন্নাপাড়া থেকে রওনা হওয়ার সময় বাসে কিছু সিট ফাকা দেখছিলাম কিন্তু সেটা নিয়ে আমি তেমন মাথা ঘামাই নি।তো নাটোর থেকে যাত্রি নেওয়ার পর এবার বাস পুরোপুরি ভর্তি হলো এবং সব যাত্রি নেওয়াও হয়ে গেলো।বাস আবার চলা শুরু করলো।বলে রাখি আমরা যাবো কুষ্টিয়া যশোর বরিশাল হয়ে পটুয়াখালির মধ্যে দিয়ে কুয়াকাটায়।
বাসও এগিয়ে চলছে সেই দিকেই।এর মধ্যে সন্ধ্যাও হয়ে গেছে।জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি প্রকৃতিতে আধার নেমে আসছে।ঘন কালো অন্ধকার গ্রাস করে ফেলছে চারিদিক।আমাদের বাসও অনেক গতিতে এগিয়ে চলছে।বাসের মধ্যে চারিদিক তাকিয়ে দেখি কেউ গল্প করছে,কেউ মোবাইলে কিছু দেখছে এবং কেউ ঘুমাচ্ছে।আসলে সারা রাত আজ বাস চলবে আমাদের।সব ঠিক থাকলে কাল সকালে আমরা কুয়াকাটায় পৌছাবো।সারারাত বাসে একভাবে বসে থাকলে ঘুম তো আসবে আমার বুঝাই যাচ্ছে।এসব ভাবনা আবার কুয়াকাটা দেখার উত্তেজনা আমার মনকে গ্রাস করছে।আমি নিজে নিজেই কল্পনা করে নিচ্ছি কুয়াকাটা এমন হবে এসব থাকবে।আবার বাইরের দিকে তাকাচ্ছি।এভাবেই এগিয়ে চলছি।পথ চলতে চলতে অনেক রাত হয়ে গেছে।এখন যে কোথায় আছি জানি না।ওহ বলে দেই বাসে আমাদের চার সিট কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে।আমার আম্মু আর মামি একসাথে বসেছে আর তাদের পিছে আমি আর আব্বু একসাথে বসেছি।তো এবার বাস অনেকক্ষণ চলার পর একজায়গায় একটা পেট্রোল পাম্প এর কাছে এসে বিরতি দিলো।আমরা সবাই বাস থেকে নেমে পড়লাম।অনেকক্ষণ বাসে বসে থাকার ফলে পা একেবারে অষাড় হয়ে গেছে আমাদের।তাই সবাই বাস থেকে নেমে হাটাহাটি করলাম।আর আমাদের যেখানে বিরতি দিলো সেটা কুষ্টিয়ার কোনো এক জায়গা হবে।আবার অন্যদিকে মহিলারা আর বাচ্চারা যারা ছিল তার বাথরুম সেরে নিলো।বাসের ড্রাইভার আর একজন হেল্পার ছিলো তারাও বাসের জ্বালানি ভরে নিলো।তারপর যারা ভ্রমণ আয়োজন করছে তারা আমাদের সবাইকে কলা পাউরুটি দিলো।এগুলো সব খাবার আগেই থেকেই কিনে রাখা হয়েছে।তো সবাই কলা পাউরুটি খেয়ে আবার বাসে উঠে যে যার সিটি গিয়ে বসে পড়লাম।বাস আবার চালু হলো আমরাও ছুটে চললাম কুয়াকাটার উদ্দেশ্য।
রাত তখন প্রায় একটার মতন আমাদের বাস অনেক গতিতে এগিয়ে চলছে।রাস্তাটাও ফাকা রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও তেমন একটা বেশি না।বাইরে সব দোকানপাট বন্ধ।কোনো দোকানের বাইরে আলো জ্বালিয়ে রাখছে।মিটমিট করে আলো জ্বলছে দোকানগুলো সামনে এসব দেখতে লাগলাম।আব্বু আমায় বললো ঘুমিয়ে নিতে।তারপর আমি একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।কিন্তু ঘুম যেন আসছে না।চোঁখ বুজি কিন্তু অনেকক্ষণ অতিবাহিত হয়ে গেলেও চোঁখে কোনো ঘুম আসে না।বাসের মধ্যে তাকিয়ে দেখি সবাই ঘুমানোর চেষ্টা করছে কেউ জেগে নাই।কিন্তু বাসে আমার ঘুম আসছে না।বাসের সিটে বসে যেন কোনো আরাম পাচ্ছি না ঘুমানোর জন্য।তাই কি আর করার জেগে থেকেই বাসে চুপচাপ বসে থাকলাম।এভাবে চুপচাপ বাসে বসে থেকে আরো কতসময় যে পথ চললাম জানি না এর মধ্যে বাস আবার যাত্রা বিরতি দিলো একটা পেট্রোল পাম্পের কাছে।অনেকক্ষণ বাসে বসে থাকার ফলে গা হাত পা ধরে যায় তাই একটু বিরতি দিলো।তো সবাই বাস থেকে নেমে আমরা একটু হাটাহাটি করলাম।একটা দোকানের সাইনবোর্ডে দেখলাম আমরা এখন যশোর এ এসেছি।তো কিছুক্ষণ হাটাহাটি করার পর আমরা আবার বাসে উঠে কুয়াকাটার উদ্দেশ্য যাত্রা করলাম।
এখন সময় প্রায় রাত তিনটা বাস আবার তার আপন গতিতে চলছে।জানালা দিয়ে দেখি বাইরে চারিদিকে ঘুটঘুটা অন্ধকার।কালো আধার চারিদিকে আস্টেপিস্টে ঘিরে ধরেছে।সেই কালো আধারের মাঝে আমরা সবাই পথ চলছি।বাসের হেডলাইটের আলো দিয়ে সামনের দিকেও বেশি দেখা যাচ্ছে না শুধু ড্রাইভার সাহেব সেই আলোতেই সুষ্ঠভাবে বাস চালিয়ে যাচ্ছে।তো বাসে করে আরো যে কতক্ষণ পথ চললাম জানি না কিন্তু হঠাৎ করে বাস আবার থামলো।কিন্তু কেউ বাস থেকে নামলো না।আমি বাসের জানালা দিয়ে দেখলাম বাসের পাশে কয়েকটা ট্রাক ও দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু কেউ আগাচ্ছে না।ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক অবাক এর মনে হলো।পাশে আব্বুকে যে কিছু জিজ্ঞেশ করবো সেই খেয়ালটাও আমার আসলো না।প্রায় আধ ঘন্টার মতো বাসে চুপচাপ বসে থাকলাম কিন্তু বাস চলে নি।এই ব্যাপারটা আমার কাছে রহস্যর মতো লাগলো।যদি দিন হতো তাইলে ব্যাপারটা বুঝা যেতে কিন্ত এখন রাত তাই ব্যাপারটা আমি বুঝলাম না।তো আধঘন্টার মতো বাস দাঁড়িয়ে থেকে আবার বাস চলা শুরু করলো।আমারো মনে হতে লাগলো যেন এখন ভোর হতে যাচ্ছে।আর আমার একটু চোঁখে ঘুমও আসছে তাই ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।
চলবে...................
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
SushMitA
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSp Lucky
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেসাফায়েত হোসেন
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSp Lucky
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেসাফায়েত হোসেন
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSp Lucky
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বে