বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

দূরে থেকেও সে কাছে

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সাফায়েত হোসেন (০ পয়েন্ট)

X আমি সাকিব।একটা দুশ্চিন্তা অনিশ্চয়তার মাঝে বাস করছি এখন কারণ আমার এইচ.এস.সি পরিক্ষা স্থগিত হয়ে আছে।করোনা ভাইরাস সব এলোমেলো করে দিয়েছে।দিন দিন বাড়ছে করোনার প্রকোপ।তাই মনের মধ্যে শান্তি নাই।তো এই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে একজনকে খুব মিস করছি।তার নাম স্নেহা।আমার খুব ভালো বন্ধু সে।বলা যায় আমার বেস্টফ্রেণ্ড।স্নেহা আমার কলেজের ক্লাসমেট ছিল তারপর সে টিসি নিয়ে অন্য কলেজে চলে যায়।আর আজ আমি স্নেহার সাথে আমার পরিচয় হওয়া এবং তার সাথে কাটানো কিছু মূহুর্ত তুলে ধরবো।বলে রাখি স্নেহার সাথে আমার কাটানো সময়টা কোনো সুন্দর ধারাবাহিক নিয়মে হয় নি বরং মাঝখানে অনেক দূরুত্ব অনেক অপেক্ষার মাধ্যমে স্নেহার সাথে আমার সময় কেটেছে। আজ থেকে দুই বছর আগে ২০১৮ সালে আমি কলেজে ভর্তি হই।কলেজে কয়েক দিন যেতেই কয়েকজন বন্ধু বান্ধবী হয়।কয়েকদিন পর আমি কয়েকবার স্নেহা কে দেখি।তখন আমি ওকে চিনতাম না নাম ও জানতাম না।তো স্নেহা অনেক সুন্দরী ছিল।ওরে দেখে আমার ভালই লাগে।কিন্তু নিজে গিয়ে যে ওর সাথে কথা বলবো সেই সাহস ছিল না আমার।আর আমিও তেমন একটা গূরুত্ব দেই নি।যাইহোক আরো কয়েকদিন পর আমার এক বন্ধু তার নাম হচ্ছে মনির।তো মনির বিকেল কি সন্ধ্যায় আমায় ফেসবুকে বলে যে তার ওই মেয়েকে ভাল লাগছে তাই আমি যেন ওই মেয়েটির সাথে তার প্রেম করিয়ে দেই।আর মেয়েটি ছিল কিন্তু স্নেহা।তখন অবশ্য আমি স্নেহাকে চিনতাম না।যাইহোক বন্ধুর কে বলছি সাহায্য করবো নি।বন্ধুর সাথে কথা বলার পরেরদিন কলেজ এ গিয়ে একটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে।আসলে আমি আর্টসের ছাত্র ছিলাম।আর আমাদের দুইটা শাখা ছিল।সমাজবিজ্ঞান ক্লাস টা আমাদের আরেকটা শাখায় গিয়ে হতো।তো আমি আর আমার বন্ধু আমরা সমাজবিজ্ঞান ক্লাস করার জন্য আমাদের রুম থেকে বের হয়েছিলাম কিন্তু আমাদের সমাজবিজ্ঞান ক্লাস করার ইচ্ছা ছিল না।পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আজ আর সমাজবিজ্ঞান ক্লাস করবো না তার থেকে ভালো আমরা আমাদের ক্লাসে গিয়েই বসে থাকি।তো আমি আর মনির আমারে ক্লাসে গিয়ে দেখি আমাদের এক বান্ধবী রিমি আর তার সাথে বশে আছে মনির যেই মেয়েকে পছন্দ করছে সেই মেয়ে মানে স্নেহা বসে আছে।ওরা দুইজন ছাড়া আর কেউ ছিল না রুমে।তো রুমে ওদের দেখে আমি আর মনির অনেক অবাক হলাম।যাই হোক অবাক মনেই আমি আর মনির গিয়ে রিমি আর সেই মেয়েটির কাছে গিয়ে বসলাম।তারপর কথায় কথায় মেয়েটির সাথে পরিচয় হলাম।নাম্বার আদানপ্রদান হলো আমাদের মেয়েটির সাথে।তারপর ওইদিন প্রথম জানতে পারি যে মেয়েটির নাম স্নেহা।এরমধ্যে আবার রিমি আমার আর মনির এর উপর রাগ করছে।কারণ আমরা নাকি অনেক কথা ওরে বলি নাই শুধু গোপন করছি।এইজন্য রাগ করে অন্যদিকে মুখ ঘুরালো ওহ।আর এতে মনির রিমির রাগ ভাঙ্গাতে লাগলো আর এদিকে আমি আর স্নেহা পাশাপাশি বসে গল্প করছি।তারপর এক ইয়ারফোনে এক তার স্নেহার কানে আর আরেকটা আমার কানে দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখতে লাগলাম আমরা।আসলে স্নেহা যে এত ফ্রি মাইন্ডের একটা মেয়ে আমি ভাবতে পারি নি।মনির এর সাথে ওর প্রেম করানোর কথা ছিল কিন্তু উল্টে আমার সাথেই ভালো বন্ধুত্ত হয়ে গেল।তারপর ওইদিন কলেজ শেষে ওর সাথে ওর মেসের কাছে গেলাম আমি,মনির,রিমি আর আমাদের আরেক্টা বন্ধু রায়হান।স্নেহা কলেজের পিছনে একটা ছাত্রী মেসে থাকতো।তারপর ওর সাথে ওর মেস পর্যন্ত যাওয়ার পর ওহ মেসে ঢুকে গেল আর আমরা যে যার বাসার দিকে চলে গেলাম।বাসায় আসার পর স্নেহার সাথে ম্যাসেজ এ কথা হলো।আসলে ওর ফেসবুক আইডি খোলা ছিল মায়ের ফোনে আর তাই ওহ ফেসবুক তেমন চালায় না।তাই ফোনের ম্যাসেজে কথা হলো এবং স্নেহা আরো আমায় এটা বললো যে আমরা শুধু ভালো বন্ধু হবো তাই কখনো প্রেম এর দিকে ভাবিস না।এসব আমার ভালো লাগে না।তো আমিও বলছি যে ঠিক আছে আমরা বন্ধুই হবো শুধু।তারপর ভাবছিলাম যে স্নেহার সাথে প্রতিদিন কলেজ এ আড্ডা দিব কিন্তু সেই ভাগ্য আর আমার হয় নি।যেদিন প্রথম দেখা ওইদিন ই স্নেহা ওর বাসায় চলে যায়।ওর সাথে কথা বলে জেনেছিলাম যে ওহ বাবা মাকে ছেড়ে মেসে থাকতে সমস্যা হয়।তাই ওহ বাসায় যাবে আর কয়েকদিন পর আবার কলেজ আসবে।এমনকি ওহ কলেজ থেকে টিসি নিয়েও চলে যেতে পারে।যাই হোক ওর সাথে প্রথম দেখার পর আবার সাতদিন হয়ে গেছে এর মধ্যে আর ওর সাথে দেখা হয় নি।আমিও ওরে খুব মিস করছিলাম।তো সাতদিন পর একদিন কলেজে ক্লাস করছিলাম তখন হঠাৎ স্নেহা আসে ক্লাসে।তখন আমি আমার এক বান্ধবী নেহার সাথে বসে ক্লাস করছিলাম।তো স্মেহা এসে আমাদের বেঞ্চেই বসলো।বলে রাখি আমার বেশিরভাগ বন্ধুর সাথেই স্নেহার ভালো পরিচয় ছিল। তো স্নেহা বেঞ্চে এসে বসে আমায় বললো তোকে কতবার ফোন দিছি ধরিস নি কেন? আমি বললাম যে ফোন পকেট এ ছিল শুনতে পাই নি। তারপর ক্লাস শেষে আমাদের আবার ইংরেজী ক্লাস ছিল কিন্তু আমি ক্লাস করলাম না।তার সাথে স্নেহা কে নিয়ে কলেজের মধ্যে ঘুরতে চাইলাম।কিন্তু স্নেহা যেতে চাচ্ছিলো না আবার বলছে আমি ক্লাস করতেই আসলাম তাই ক্লাস করবো।কিন্তু আমিও নাছোড়বান্দা তাই ক্লাস করতে দিলাম না।বরং আমি স্নেহা আর নেহা কলেজে ঘুরতে লাগলাম।আর স্নেহা কে অনেক অনুরোধ করলাম যে আমার সাথে সেলফি তুলার জন্য কিন্তু সে রাজি হলো না।তাই লুকিয়ে সেলফি তুলতে লাগলাম আর ওহ অন্যদিকে মুখ ঘুরালো।এতে আমার সাথে ওর চুল এর সেলফি উঠে গেল।তাতে কি সেই ছবিটাও এখনো আমার ফোনে আছে।স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছি। তারপর কলেজ শেষে আমি আর স্নেহা আবার ওর সেই মেসের দিকে যেতে লাগলাম।ওহ বলছে যে একটু পর ওর আব্বু আসবে তারপর ওহ তার আব্বুর সাথে বাসায় চলে যাবে।তাই ততক্ষণ সে মেসে থাকবে।তো ওর মেসের কাছে আসার পর আবার সেলফি তুলার জন্য জোর করলাম ওরে।কারণ তখন সেলফি তুলতে পারি নি ভালো করে।কিন্তু এখনও ওহ তো রাজি হয় না কিন্তু আমার জোড়াজুড়িতে অবশেষে ওহ রাজি হয়ে গেলো।এবার আমরা দুজন একটা সুন্দর সেলফি তুললাম।সেই ছবিটি এখনো আছে।আমি যত্ন করে ফোনে রেখে দিয়েছি।যাইহোক সেলফি তোলার পর আমি চলে গেলাম বাসায়। তারপর ওর সাথে আর দেখা নাই।দেখতে দেখতে মাস চলে যায় কিন্তু স্নেহা আর কলেজে আসে না।এর মধ্যে আবার আমার বাসার এখানে মেলা বসেছে তাই আমি আমার অন্য বান্ধবীদের জন্য কিছু জিনিষ কিনেছি আর স্নেহার জন্যও কিনেছি।স্নেহার জন্য কিনেছি সবচেয়ে সুন্দর একটা গিফট।স্নেহার জন্য কিনেছি একটা শো পিচ আর একটা হেয়ার ব্যাণ্ড।কিন্তু সেগুলো ব্যাগে করে কলেজে প্রতিদিন নিয়ে আসতাম কিন্তু স্নেহা আর আসতো না।অনেক মিস করতাম ওরে।ম্যাসেজেও তেমন একটা কথা হতো না।অনেকদিন পর পর কথা হতো।তো এভাবেই প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে।হঠাৎ একদিন স্নেহা আমায় ফোন করে বললো যে একটা কাজে ওহ কলেজে আসবে তারপর আবার চলে যাবে আমি যেন যাই কলেজে।আর স্নেহা এটাও বললো যে সে সকালে আসবে।আর আমি তো কলেজ এমনিতেও যাবো।কিন্তু স্নেহা আমায় সকাল সকাল যেতে বলছে।তো স্নেহার কলেজে আসার দিন আমি ঠিক করেছি সকাল সকাল বের হবো বাসা থেকে কিন্তু একটু বৃষ্টি হওয়াতে আমার বাসা থেকে বের হতে দেরি হলো।বলে রাখা ভালো যে আমি বাসা থেকে কলেজ যেতে বাসে যাই।এতে দশ পনেরো মিনিট লাগে।যাইহোক আমি বাসে করে কলেজ এর দিকে যেতে লাগলাম।দশমিনিট পর বাস থেকে নামলাম।তারপর আবার অটো নেওয়া লাগে।তো অটো তে চড়ার পর আমায় মনির ফোন দিয়ে বললো যে স্নেহা কলেজে আসছে তোরে খুজছে তাই তুই তাড়াতাড়ি কলেজ আয়।তারপর আমি অটোয়ালাকে জোড়ে চালাতে বললাম।তো কলেজ পৌছানোর পর আমার ক্লাসরুমে গেলাম।আমায় দেখে মনির বললো এত দেরি করলি কেন স্নেহা এসে চলে গেলো।কথাটা শোনার পর আমার খুব খারাপ লাগলো।এতদিন পর দেখার হওয়ার একটা সুযোগ হলো স্নেহার সাথে আর আমি এক্টুর জন্য আবার হারিয়ে ফেললাম স্নেহাকে। গল্পের বাকি অংশ পরের পর্বে জানানো হবে। [এই গল্পটি একটি সত্য ঘটনা নিয়ে লিখা।গল্পটি এক পর্বেই লিখতে চেয়েছিলাম আমি কিন্তু গল্পটি এক পর্বে লিখলে অনেক বড় হয়ে যাবে দেখে গল্পটির পর্ব করতে বাধ্য হলাম।গল্পটির বাকি অংশ আশা করছি পরের পর্বেই শেষ করে দিতে পারবো]


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫৭৪ জন


এ জাতীয় গল্প

→ দূরে থেকেও সে কাছে(শেষ পর্ব)
→ দূরে থেকেও সে কাছে(২য় পর্ব)

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now