বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অদিতি ও আনিকা খুব ভাল বান্ধবী। তাদের মনের অন্তস্তলে লুকিয়ে থাকা যেকোনো কথা তারা একে অপরের সাথে শেয়ার করে। তারা দুজনেই হাসি খুশি থাকতে খুব পছন্দ করে।
অদিতিঃ আনিকা তকে আজ এত বিষন্ন দেখাচ্ছে যে!
আনিকাঃ আমাদের মেয়েদের জিবনটাই ত বিষন্ন। তবে কি, সেই বিষন্নটাকে কখনো অনুভবই করিনি। আাচ্ছা অদিতি আমরা কি সমাজের বুঝা নাকি!
অদিতিঃ হঠাৎ এভাবে কথা বলছিস কেন!
আনিকাঃ আমরা ত সবে মাত্র এইসএসসি পাশ করেছি আসলে বয়স কি খুব বেশি হয়ে গেছে!
অদিতিঃ আজ তুই এভাবে অন্যমাত্রার প্রশ্ন করছিস যে। কি হয়েছে সেটা তো বল?
আনিকাঃ আমার পরিবার আমার জন্য পাত্র দেখতেছে। আমি বাবাকে বলেছি আমি আরও পড়তে চাই আমি এখন বিয়ে করতে চাই না।
অদিতিঃ তর বাবা কি বলেছে?
আনিকাঃ বাবা বলেছে মেয়েদের নাকি সুন্দরই সব মেয়েদের পড়ালেখা করে কি হবে। আরে অদিতি সুন্দর্য কি ক্রিমের মধ্যে লুকিয়ে থাকে! সুন্দর্য ত লুকিয়ে থাকে তাদের কাজের মধ্যে। আমরা যদি সেই কাজেরই অংশিধার হতে পারিনা তাহলে সুন্দর্য কিরুপে প্রকাশ পাবে আমাদের। আমি ত মেয়েদের সুন্দর্য বলে কিছু দেখতে পাই না।
অদিতিঃ সেটা ত তাদের মনগড়া কথা মাত্র। আসলে আমরা পরিবার ও সমাজের কাছে বুঝা মাত্র। সেই জন্যই ত তারা আমাদের সস্তা ভেবে বস্তা বন্ধি করে নদীতে ফেলে দিতে চায়। সেটা হোক পরিবার বা সমাজ।
আনিকাঃ মানুষ ত বলে নারী-পুরুষের নাকি সমান অধিকার। কোন ধরনের অধিকার এটি! সমান অধিকারই যদি হয়ে থাকে তাহলে কেন ছেলেদেরও কম বয়সে বিয়ে করানো হয় না। তাদের নাকি ক্যারিয়ার গঠন করে বিয়ে করতে হয়। আমাদের কি কোনো ক্যারিয়ার নেই! নাকি আমাদের জ্ঞানের পরিধি তাদের থেকে কম কোনটি! আমাদের কি শুধু চাকরের মতো জীবন অতিবাহিত করতে হবে! যখন মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় তখন স্বামীর অর্জনের উপর বেছে থাকতে হয় একটি নারীকে চাকর হয়ে। আর বিবাহিত হওয়ার পূর্বে পরিবার ও সমাজের বুঝা হয়ে।
অদিতিঃ আনিকা শুধু তোমি পরিবার ও সমাজকেই দুশারূপ করছ কখনও কি আইনের দুশ দেখেছ!
আনিকাঃ কি দুশ অদিতি?
অদিতিঃ আইন বলে নারী-পুরুষের নাকি সমান অধিকার। যদি সমান অধিকারই হয়ে থালে তাহলে কেন মেয়েদের আটারোর আগে বিয়ে নয় আর ছেলেদের একুশের আগে বিয়ে নয়! মেয়েদের কি গড় আয়ু কম নাকি যে এই আইন। মানুষ এই আইনের উপর নির্ভর করে আরও শিঘ্র করে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়। আমি ধিক্কার জানাই এই আইনকে। আটারো বছর বয়সেই কি মেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় নাকি!
আনিকাঃ আমাদের যদি তাদের সাথে সমান অংশিধার করা হতো তাহলে বিশ্বে আজ বাংলাদেশ অন্যমাত্রায় থাকত।
অদিতিঃ একদম সত্যি কথা বলেছ আনিকা। যদি আইনটাই ঠিক না থাকে তাহলে পরিবার ও সমাজ কিরুপে ঠিক থাকে।
আনিকাঃ আমাদের কি তাহলে নিরব মুখে সবকিছু সহ্য করেই বেঁচে থাকতে হবে!
অদিতিঃ না আনিকা আমাদের অধিকারগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। তুই যেকোনো জয়ের ইতিহাসের দিখে তাকিয়ে তাকলে দেখবে নিরব মুখে কোনো কিছুই অর্জন হয় নি! আন্দোলন করে অর্জন করতে হয়েছে। যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন।
আনিকাঃ সত্যি কথা বলেছ অদিতি আমাদের অধিকার এগুলো আমরা ভিক্ষা হিসেবে গ্রহন করব কেন!
অদিতিঃ সেটি অর্জন করতে হলে আমাদের সব নারীদের এক হয়ে লড়তে হবে।
[সত্যি কথা বলতে কি এই গল্পটি টাইপিং করতে করতে আমি নিজেই কেঁদে ফেলেছি। কিসের অধিকার এটি! জিজেতে আমার প্রথম ইমুজি এটি।
[আমার প্রকাশিত গল্পসমূহ সব আমার নিজের লেখা তাই দয়া করে আমার নাম ব্যাতিত লেখাগুলো কপিরাইট করবেন না]
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now