বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

খুনীদের খুনী - পর্ব ৩

"ক্রাইম" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ আনিছুর রহমান লিখন (০ পয়েন্ট)

X চিরকুটির সমাধান পেলেও খুনীর হসিদ পেলাম না। এটা যে গোয়েন্দা বিভাগের কত লজ্জাজনক! তা আমি জানি। কত সমালোচনা জমে রয়েছে! তবে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে এর পরবর্তীতে আরেকটি ঘটনা সূত্রপাত হবে। তাহলে পরের শিকার কে? আমিঃ মি. ডেবিট, একটি বিষয় লক্ষ্য করেছো, এই খুনীটা সিরিয়াল কিলারদের খুন করছে। ডেবিটঃ মে বি, খুনীটা সবচেয়ে বেশি চালাক। আমার মনে সে একজন ভাল মানে কেমিস্ট ছিল। স্যার চিরকুটির কালির কথা মনে আছে। আমিঃ অবশ্যই, মনে থাকবে না কেন? আমরা কথা বলছিলাম। এ সময় টেলিফোনে ক্রিংক্রিং। আমিঃ হ্যালো, অপারেশন স্কোয়ার্ড লিডার, আনিছ স্পিকিং। জৈনকঃ আমি মানাল ডি কোস্টা, ইন্টাঃপুল। আমাদের এখানে জেলে মি. ওয়াই সন্দেহাতীত খুন হয়েছে। আপনি আসুন। আমিঃ আমরা আসছি মানাল। গোয়েন্দা বিভাগের একটি স্পেশাল টিম নিয়ে জেলে খানায় পৌঁছে গেলাম। দেখি ভিক্টিম এর মাথার খুলিতে গুলি লেগেছে। যার কারণেই স্পট ডেড। জেলখানার সকল সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনীর গতিবিধি লক্ষ্য করা গেলে না। জেলখানার সকলকে জেরা করে এটা জানা গেল যে এটা বাইরের কোন ব্যক্তি এ খুনটা করেছে। আমিঃ মানাল আপনি লাশের ডিটেইলস বলুন। মানালঃ আমি যখন ইন্টাঃপুল এ আসি। এর কয়েক মাস পরেই মি. ওয়াইকে আনা হয় এই জেলাখানায়। আমি যতদূর জানি মি. ওয়াই একজন সিরিয়াল কিলার ছিল। তাকে ব্রুনাই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমার মনে হয় আন্ডারওয়ার্ল্ড এর কথা জানত। সে কারণেই তাকে তারা হত্যা করেছে। আমিঃ হুম। এটাও হতে পারে। আবার মি. এক্সের সাথে এর যোগসূত্র আছে মনে হয়।কারণ খুন করার কৌশলটি আলাদা হলেও এটি একদিকই ধাবিত হচ্ছে। সে হলো এই খুনীটা খুনীদেরই খুন করছে। মানালঃ ধারণাটা সঠিকও হতে পারে। তবে এটা তো অসম্ভব মনে হয়। কারণ সিরিয়াল কিলাররা খুব চালাক হয়। তবে তিনি এটা বুঝতে পারলেন না কেন? আমিঃ আমারও মাথায় এটি ঘুরপাক খাচ্ছে। কে হতে পারে খুনীটা? ডেবিটঃ স্যার তাহলে, আমি লাশকে ফেরনসিক ল্যাবে পাঠালাম। আমিঃ তাই করো। *****************★****************** ফরেনসিক ল্যাবে এসে জানা গেলে যে, খুনী নিজের তৈরী করা বন্দুকের গুলি দিয়ে মি. ওয়াইকে হত্যা করেছে। গুলির গতিবিদ্যা অনুসারে এটি মনে হয় এই গুলি টি ৫০০ কি.মি বেগে চলে গেছে। গুলির দ্বারা ছিদ্রটি বলছে এটি অতি গতিসম্পন্ন গুলি। তবে লোকাল বাজারে এসব গুলি ও বন্দুক তৈরী হয় না। তাহলে সে একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সে নিজে বন্দুকটি বানিয়েছে। আমিঃ ডাক্তার কিটো, কিভাবে বুঝব গুলিটি কোথা থেকে এসেছে। কিটোঃ আপনি একজন ফিজিস্টের কাছে যান।আমার জানা মতে, মি. কেরুবালা একজন দক্ষ ফিজিস্ট। আমিঃ কোথায় পাব তাকে? কিটোর কাছে ঠিকানাটা নিয়ে চললাম মি. কেরুবালার উদ্দেশ্যে। দেখি কি সুরহা মিলে? না হলে চিন্তায় মাথার চুল আস্ত থাকবে না। মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করি, আসলে খুনীটা কে, কি উদ্দেশ্য তার? চলবে.........


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৫৭ জন


এ জাতীয় গল্প

→ খুনীদের খুনী — পর্ব ২
→ খুনীদের খুনী— পর্ব ১

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now