বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
♦ভিক্ষুক♦
"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মফিজুল (০ পয়েন্ট)
X
গল্পঃ ♦ভিক্ষুক♦
লেখকঃ
-----------------------------------------------
আধা ঘন্টা বেশী হবে কমলাপুররেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি। তাও বার রোদের মধ্য। আমার গন্তব্য দিনাজপুর। এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে রেলস্টেশনের মানুষজন দেখছি।খুব বিরক্তিকর একটা মুহুর্ত। ওহ আমার পরিচয় দেওয়া হয়নাই। আার নাম হলো আসিফ। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের ছাএ।খুবই মেধাবী এবং কর্মঠ। আমার বাবা মা আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব করেন। প্রত্যেকবার অনেক ভালো রেজাল্টকরি এবং টিউশনি করে টাকা ইনকাম করি।
তো এবার ভার্সিটি বন্ধ হওয়ায় দিনাজপুরে আমার বাড়ি যাব খুবই উত্তেজিত হয়ে আছি কারণঅনেকদিন পর যাব ভাই বোনদেরদেখব। ভালোই লাগবে কিন্তু ট্রেন দেরি কারাতে আমার ম্যাজাজটা অনেক গরম হয়ে আছে।তারওপর রেলস্টেশনএ হকার, ফেরিওয়ালা, ভিক্ষুকদের চিৎকার চেঁচামেচি। উফ অসহ্য। আমি একদমই এসব নিচু মানুষদের দেখতে পারিনা। সৃষ্টিকর্তা যে কেনো তাদের সৃষ্টি করেছেন এবংকিসের জন্যসৃষ্টি করেছেন তা আজও আমার বোধগম্যনয়। যাইহোক এবার এসব চিন্তাবাদ দিয়ে পাশের ব্যঞ্চটাতে ইকটু আরাম করে বসলাম। কিন্তুএরই মধ্যে একটা ভিক্ষুক এসে ভিক্ষা চাইতে লাগল।ম্যাজাজটা অনেক খারাপ হয়ে গেল।
এমনিতেই প্রচন্ড গরম তার ওপর এক এসব ছোটলোক এসে টাকা চাইতে লাগল।আমার কাছে যদিও পাঁচশ টাকা ছিল কিন্তু ভানতি ছিল না। তবে খুচরা দিতে পারতাম কিন্তু এখন এসব দিতে একদম ইচ্ছা ছিলইনা। ভিক্ষুককে দেখে বয়স্কই মনে হচ্ছি। তার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছিলাম। এতে সে কিছুটা ভয় পেয়েছিল।তবুও নিচু গলায় কিছু দিতে বলেছিল----
ভিক্ষুটঃ- বাবা! মোরে কয়েকডা টেয়া দিবেন
আমিঃ আরে এখান থেকে যান তো কোন ভিক্ষা টিক্ষা নাই
ভিক্ষুকঃ যদি কিচু টেয়া দিতেন মোগর সংসারে অনেক টানাটানি চইলছে
আমিঃ বললাম না টাকা নেই ভাগ এখান থেকে কাজ করে খেতে পারেন না। মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইতে লজ্জাকরেনা। ছোটলোকের বাচ্চা
দেখলাম তার চোখ দিয়ে অনবরত জল ঝড়ছে তাও চোখ মুছে নিজের একটা পা নেই বলে অন্তত ১০ টাকা দিতে বলল। কিন্তু তাতে আমি পাত্তা দিলাম না বরং আরও বকা ঝকা দিয়ে তাড়িয়ে দিলাম।এসব উটকো ঝামেলা আমার একদম পছন্দ না।
তারপর আরও দশমিনিট পর ট্রেন আসলো। মনটা ফুরফুরে যদিও ওই ভিক্ষুকটার জন্য মাথা গরম হয়ে গেছিল কিন্তু ট্রেন আসাতে ঠান্ডা হয়ে গেছ। তারপর ট্রেন দিয়ে দিনাজপুরের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। খুবভালো জার্নি ছিল। তারপর দিনাজপুরে পৌঁছাই।আমাদের বাড়ি যেতে ১০ কিলোমিটারের মত হবে । অনেক ভালো লাগছিল। বাড়ির কথার সাথেসাথে রিফার কথাও মনে পড়ছিল। রিফা হলো আমার ভালোবাস। বাড়িতে গিয়ে তার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছ। সবকিছু মিলিয়ে অনেক আনন্দএর মধ্যে আছি। ভাবতে ভাবতেনয় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলাম আর এক কিলোমিটার বাকি। এমন সময় একটা অঘটন ঘটে। আমি অন্যমনষ্ক হয়ে পড়েছিলাম তাই খেয়াল করিনি। একটা ট্রাক আমাকে ধাক্কা দেয় ফলে আমি ছিটকে পাশের জঙ্গলে যেয়ে পড়ি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।
যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। ঠিক বুঝতে পারছিনা কিভাবে এখানে এলাম।চোখ ঝাপসা লাগছিল।ইকটুভালো ভাবে চোখ মেলার পর দেখি সেই ভিক্ষুক লোকটি আমার পাশে বসে আছে। আমি তাকে দেখে চমকে উঠি।
তারপর উঠার চেষ্টা করলে কাঁধে ব্যাথা বোধ করি। লোকটি আমাকে বলে,,এহনই উডবেন না বাবাজী আফনার আরাাম দরকার।হুইয়া থাহেন।
কিছুক্ষণ পর ইকটু ভালো অনুভব করলে উঠে বসি তারপর সেই ভিক্ষুককে জিজ্ঞাসাকরি আমি এখানে কিভাবে এলাম। সে বলে,, আফনে যহন টেরাকের ধাক্কা খাইয়া ছিটকাঔয়া পড়ি গেছিলেন তহন মুই আফনারে দেখবার পারি মুই তারাতারি করিয়া ছুইটা আহি হেরফর আফনারে হাসপাতালে ভর্তি করাই।
আমি বলি,, হাসপাতালের সকল বিল কি আপনিই দিয়েছে?
সে বলে,,, হ মুই দিছি চিন্তা হরবেন না বেশী টেয়া তো বিল আহেনাই মাএ দুই চার হাজার টেয়া আর মুই তো এহন ঠেলাগাড়ি চালাই
আমি বলি,, তিন চার হাজার টাকাও তে অনেক এত টাকা কোথায় পেলেন? ঠেলাগু চালিয়ে তো পাওয়া সম্ভবনা
সে হাসতে হাসতে বলে,, আরে বাপ হেডা আফনে চিন্তা হইরেন না। মোর মাইয়ার বিয়ার গয়না বানানোর লাইজ্ঞা কিছু টেয়া জমাইছিলাম হেডা দিয়া বিল দিয়া দিছি। কোন সমইস্যা নাই
আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রউলাম নিজের মেয়ের বিয়পর গয়না বানানোর টাকা দিয়ে আমার চিকিৎসা করল । আমি তাকে বললাম,, কেন আমার উপকার করলেন আমি তো আপনাকে তিরস্কার করেছিলাম।
সে আবারও হাসতে হাসতে বলে,,, আরে বাপ আফনে এডি কি কন আফনার লাইগাই তে মুই আজ ঠেলাগাড়ি চাইয়া সাবলম্বী হইছি আফনে তো মোর বড় উপকার হরিছেন ওইদিন যদি ওই কথাডি না কইতেন তালি কি মুই আইজ ঠেলাগাড়ি চালাইতে ফারতাম। আফনে ঠিহিই কইছেন নিজের হাত থাকতে পরের কাছে ভিক্ষা চাই ক্যান আমার পা লোলা তাতে কি হাত তো আছে
তার কথাগুলোশুনে নিজেকে অনেক ছোট মনে হচ্ছিল। আসলেই আমি অনেক বড় ভূল করছি। তারপর তার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে প্রতিজ্ঞা করি আর কখনো কোন নিচুস্তর লোককে অপমান করবনা কারণ এই নিচুস্তর লোকরাই একদিন আমাদের উপকারে আসবে শুধু আসবেনা তাদের জন্যই তে আমরা উঁচুস্থরের লোক।
এরপর সুস্থ হয়ে আমি নিজের বাসায় ফিটি সকলকে সব ঘটনা খুলে বলি তারপর সকলে আমাকে অনেক বুঝায়।আমি এরপর থেকে আর কখনো ভিক্ষুকদের কে অপমান করিনা কোন গরীব ফকির মিছকিনদের কে গালি দেইনা। বরং যাকাত দেই আর তাদেরমতো লোকদেরকে খাবারের ব্যবস্থা করে দেই।তাদের সাথে সদাচরণকরি।
[আপনাদেরকেও বলি কোন নিচুশ্রেনীর লোকদেরকে অপমান করবেন না তাদের সা ভালো ব্যবহার করবেন এবং যাকাত দিবেন। ধন্যবাদ সকলকে]
গল্পটি ৩০° সেলসিয়াসে শেষ করা হলো
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Rehnuma Ahmed
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমফিজুল☎
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেSushmita
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেMd.Pranto
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেতানিম
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরুবাইয়া ইসলাম
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমুস্তাফিজুল হক
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেSHUVO SUTRADHAR
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমাহিন
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে★★Samir®★★
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে★★Samir®★★
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেশিখা
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেলাকি
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেলাকি
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমাহিন
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে