বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সেদিন চাঁদনি রাতে

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান হৃদয় (০ পয়েন্ট)

X লেখক: কাল্পনিক হৃদয় [MH2] রাত ৮ টার মতো বাজে।কারেন্ট চলে গেল শ্যামলী গ্রামে।ঘরের দরজায় এসে দাড়ালো রিহান।বাইরে গিয়ে চাচাতো ভাই বোনদের সাথে গিয়ে আড্ডা শুরু করে দিবে ও।এমনিতে সারাদিন এবং রাতে তাকে পড়াশোনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে হয়,তার আম্মু তাকে বের হতে দেয় না।চাচাতো ভাই বোনগুলোরও একই দশা।ওরা মনে মনে চায় কারেন্ট চলে যাক,তাহলে বাইরে বের হয়ে পড়াশোনা হতে অন্তত বাঁচা যাবে।আজও কারেন্ট চলে গেছে,বাইরে আজ পূর্ণিমার চাঁদ।আজকে রাতে তো ঘর হতে বেরিয়ে কানামাছি না খেললে অনেক বড় লোকসান হয়ে যাবে তাদের।তাই কারেন্ট চলে যাওয়ায় বড্ড খুশি হয়েছে রিহান।বাইরে বের হওয়ার আগে আম্মুকে বলে নেওয়া উচিৎ,তাই ডাক দিল,,, রিহান:আম্মুওওওও নাজিয়া বেগম: কী বলবে রিহান বাবা??? রিহানের মায়ের নাম নাজিয়া বেগম,একজন স্কুল শিক্ষিকা,রিহানের পড়ালেখায় যেন কোনো ঘাটতি না থাকে তার দিকে খেয়াল রাখতে তিনি বদ্ধ পরিকর।রিহানের বাবা দুবাই থাকেন।তাই ছেলে সামলানোর দায়িত্ব ওনার উপর।অবশ্য এক মাত্র ছেলের দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করছেন তিনি। রিহান:আম্মু আমি ঘরের সামনে চাচ্চুদের উঠানে যাচ্ছি।কারেন্ট নাই তাই পড়ব না। নাজিয়া বেগম: চার্জলাইট জ্বালিয়ে পড়তে বোস। রিহান: না আম্মু,প্লিজ,সবসময় তো পড়ি,এখন যাই। নাজিয়া বেগম: আচ্ছা ঠিক আছে,যাও,আর ঝগরা করো না ওদের সাথে।আমিও আসছি,এই জৈষ্ঠ মাসে যা গরম পরেছে, ঘরে থাকা যায় না।যাও আমিও আসছি। রিহান বাইরে আসল।দেখল চাচাতো ভাই বোনেরা কানামাছি খেলা শুরু করে দিয়েছে।আর একটু দূরে দাদি আর তার দুই চাচী বসে আছে।রিহানের চাচাতো ভাই বোন মোট পাঁচটা।রিয়েন,সিয়াম,সারা,খুশি আর নীলা।রিয়েন রিহানের দুইবছরের ছোট,সিয়াম আর খুশির বয়স ৬ বছর, নীলার বয়স ৫ বছর আর সারার বয়স হলো ৪ বছর।বয়সে রিহানই সবার বড়,সবার খেলাতে সে অবশ্যই আছে,ভাই বোনগুলোও তাকে ছাড়া খেলতে চায় না।ওকে দেখেই বলল,রিহান ভাইয়া এসেছে,আবার টস হবে। রিহান: কে টস করবে??? নীলা: ভাইয়া,টস করার দরকার নাই,তুমি কানামাছি হও। রিহানও হাসি মুখে কানামাছি হতে রাজি হলো,সে চায় তার মাধ্যমেই খেলা শুরু হোক।খেলা শুরু হলো,চাঁদের আলোয় তাদের খেলা অনেক সুন্দর লাগছে।দুইমিনিটও লাগল না, রিহান সিয়ামকে ধরে ফেলল।নিয়ম অনুযায়ী সিয়াম কানামাছি হলো।কিন্তু ও কানামাছি হওয়ার পরপরই রীতীমতো ঝগরা শুরু হয়ে গেল।ঝগরার কারণ সিয়াম নাকি গামছার ফাক দিয়ে সব দেখছে,সিয়াম সেটা অস্বীকার করছে,নীলা সবসময় সিয়ামের পক্ষে,ও ছাড়া সবাই বলছে সিয়াম দুই নাম্বারি করছে।ঝগরা মারাত্মক আকার নেওয়ার আগেই তাদের দাদি এসে ঝগরা থামালেন,আর লোভ দেখলেন রূপকথার গল্প শুনানোর।আর কী চাই,সবাই রাজি হয়ে গেল গল্প শুনার জন্য,ঝগরা ভুলে গেছে সবাই। সারা তাদের ঘর হতে চাটাই নিয়ে আসল।সামনে চেয়ারে রিহানের আম্মু আর দুই চাচী বসে আছে,দাদিও চেয়ারে বসা ছিল,কিন্তু এখন চাটাইয়ে এসে বসলেন,রিহান হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে দিতে লাগল।পূর্ণিমার চাঁদ তখন অনেকটা উপরে চলে এসেছে,চাঁদের আলোয় চারিদিক উজ্জ্বল।দাদি গল্প বলা শুরু করলেন,,," এক ছিল রাজকুমার,শিকার বিদ্যায় বিশেষ পারদর্শী। একবার গেল রূপনগরে শিকার করতে,,,,,,,,,,,,,"।দাদির গল্প বলা চলছে,বাচ্চারাও সব শুনছে,চোখের সামনে যেন সবকিছু দেখছে ওরা। গল্পটার মাঝখানে এসে দাদি থেমে গেলেন,কারণ কারেন্ট চলে এসেছে। রিহান: দাদু থামলে কেন,বল পরে কী হলো???রাজকুমার কী রাক্ষসের হাত থেকে রাজকুমারীকে আনতে পেরেছিল??? দাদি: কাল বলব বাকি গল্প,এখন যাও সবাই,কারেন্ট চলে এসেছে।পড়তে বস। তখনই সবাই চিৎকার করে কান্না শুরু করে দিল।কারণ তারা জানে এলমাত্র কান্না করলেই দাদি গল্পটা শেষ করবে, না হলে নয়।দাদিও গল্পটা শেষ করলেন।চাঁদের দিকে তাকিয়ে থেকে রিহান এতোক্ষণ রূপকথা শুনছিল,তার চোখের সামনে যেন সব কিছু সে দেখতে পাচ্ছে।হতচ্ছাড়া কারেন্ট না আসলে কী হতো,আরও একটা রূপকথা শুনতে পারত ওরা।কিন্তু কী আর করার,পড়তে তো হবেই। আজ সাত বছর পার হয়ে গেছে।রিহান এখন বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ে।অন্যান্য চাচাতো ভাই বোনগুলোও এখন বাড়িতে থাকে না,তারাও পড়াশোনা নিয়ে ব্যাস্ত।দাদিরও স্মৃতি শক্তি কমে গেছে অনেকটা।আজও বাড়ি গেলে তার সেইসব দিনগুলোর কথা মনে পরে।বারবার মনে পরে সেদিনের চাঁদনি রাতের গল্প,কিন্তু হারানো অতীত তো আর ফিরে আসে না।তাই স্মৃতি হয়েই আছে সেদিন চাঁদনি রাতের গল্প। [কেমন লাগল??? কোনো ভুল নজরে আসলে বলবেন] বি.দ্র.: যথেস্ট সময় এবং মেধা কাজে লাগিয়ে গল্প লিখি,তাই দয়া করে কপি করবেন না। আল বিদা,,,


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৭০৪ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now