বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমাদের ছোটবেলায় কি করি তার অধিকাংশ আমরা মনে রাখতে পারিনা। কিন্তু কত আজব ঘটনা সবারি মনে থেকে যায়। ইরেজার দিয়ে সে স্মৃতি মুছে দেয়া যায় না। আমার জীবনে এরকম অনেক আজব এবং মজার ঘটনা আছে। যা মনে পড়লে এখনো আমার হাসি পায়। সেইসব ঘটনার কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
১. আমার চাচাতো ভাই রায়হান ভাইয়া প্রতিদিন গুলতি নিয়ে পাখি শিকার করতে বের হতো, আমিও তার সাথে যেতাম কিন্তু আজব ব্যপার হলো যখন রাইহান ভাইয়া পাখির দিকে নিরিখ (নিশানা) করতো তখন আমি মনে মনে চাইতাম পাখিটা যেন উড়ে যায় আর পাখির গায়ে মার্বেল লাগলে আমার মন অনেক খারাপ হয়ে যেত।
২. বসন্তকালে রাস্তার পাশে একধরনের ছোট গাছে ছোট ছোট ফুল ফুটে থাকতো। আমি এবং আমার বন্ধুরা মিলে মৌমাছির মতো ফুল থেকে মধু চুষে খাইতাম। মনে আছে আমাদের দলপতি আরাফাত ভাই একদিন একটা ভাতের হাড়ি নিয়ে ফুলের মধু সংগ্রহে লেগে গিয়েছিল।
৩. আকাশ দিয়ে হেলিকপ্টার উড়ে গেলে আমি বলতাম হারিকেন উড়ছে। হেলিকপ্টার আর হারিকেন এর ডিফারেন্স বুঝতে অনেক দিন লেগে ছিল।
৪. ক্রিকেটের বল ঝোপের ভিতর থেকে নিয়ে আসতে গিয়ে একদিন কিসে(সম্ভবত কোনো পোকা) কামড় দিয়েছিল। সবাই মনে করেছিল সাপে কামড়াতে পারে তাই অনূভুতি টেস্ট করার জন্য (গ্রাম রীতি) মরিচ চিবাতে দিয়েছিল। ২-৩ টা খেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কোনো অনূভূতি প্রকাশ না করলেও নলকূপে গিয়ে অনে পানি খেয়েছিলাম।
৫. যতো খাবারই দেয়া হোক আমি মায়ের কাছে পান্তাভাত আর আলুভাজি খাইতে বাহানা করতাম। একদিন স্মৃতিভ্রম হয়েছিল মনে হয় দুধ ভাত খেতে গিয়ে আলুভাজি চেয়েছিলাম। অনেক বাহানা করার পরে আম্মু দিলে খেতে গিয়ে দেখি "কী ব্যাপার স্বাদটা তো এরকম লাগার কথা না" তবু দুধের সাথে আলুভাজি জিদ করে খেয়ে শেষ করেছিলাম।
।
এখন সেই শৈশবের দিন শেষ হয়েছে। কিছুদিন আগে ক্লাশ টেন এর ক্লাশরুমে আমার শিক্ষক বলেছিল "তোমাদের কোন ধরনের ভাত খেতে ভালো লাগে?" কেউ বলেছিল ব্রিয়ানি,পলুয়া ইত্যাদি। আর আমি বলেছিলাম "পান্তাভাত"
জিজেতে আমার প্রথম লেখা দিয়েছি। ভূল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। সবাইকে সালাম।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now