বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
প্রতিশোধ
পর্ব ::: :-- ৪ /৫
Writer: Asif islam jibon
বাড়ি উদ্দেশ্য তিনজন রওনা দেয়।তিন জন্য অনেক ক্ষন হেটে যায় নানা বিষয় কথা বলে।সাথী &তিথি বাড়ি রাস্তা অন্য মোড়ে হওয়ার তাই ওরা অন্য দিকে যায় । আর আলিশা বাড়ি অন্য মোড়ে।তারা ওখান থেকে আলিশা থেকে বিদায় নেয়।
তিথিঃ আলিশা একা যেতে পারবি তো। নাকি আমরা এগিয়ে দিয়ে আসব।
আলিশা ঃহ্যাঁ. পারব
সাথী ঃ আচ্চা bye.আর পৌছে গিয়ে ফোন দিছ
তারপর আলিশা ওদের বিদায় দিয়ে একটু এগিয়ে যেয়ে রিকশা জন্য দাঁড়ায়। অনেক দাঁড়িয়ে থাকে।।রিকশা না পাওয়া নিরাশ হয়ে হাটতে শুরু করে। রাস্তা কোনো মানুষ নাই, এবং কি দুই-তিন গাড়ি ছাড়া আর কিছু নাই।তাই অন্ধকারে রাস্তা টা নিজর্ন দেখাচ্ছিল। তার গাড়ি না পাওয়া নিরুপায় হয়ে হাটা শুরু করে বাড়ি উদ্দেশ্য । কিছুক্ষন হাটা পর।আলিশাকে কয়েকজন ছেলে ঘিরে ধরে।তাদের দেখে বুঝা যাচ্ছ যে ওরা নেশা করেছে। তাদের মধ্যে একজন ছেলে বলে উঠে
প্রথম ছেলে ঃএই যে সুন্দরী কোথায় যাও । আমাদের কি চোখে পড়ে না।
আলিশা তাদের কথা কান না দিয়ে হাটতে শুরু করে।
দ্বিতীয় ছেলে ঃ সুন্দরী মনে হয় অনেক তেজ। তাই আমাদের কথা পাত্তা দিল না।চল সবাই মিলে আজকে সুন্দরী তেজ কমাই দিব
আলিশা তাদের কথা শুনে। এবার জোড়ে জোড়ে হাটা শুরু করে। ছেলে গূলো এসে হাত ধরে ফেলে।
আলিশা ঃ একি! আপনা আমার হাত ধরলেন কেন? ছাড়ুন বলছি।
ছেলেরাঃ ছাড়ব বলে তো ধরি নাই।
আলিশা ঃ ছাড়ুন বলছি। না হলে ভালো হবে কিন্তু,,,,
ছেলে গুলো আলিশা হাত ধরে টানাটানি করা শুরু করে দেয়।দুজনে আসে দুহাত ধরে আলিশার।আর আলিশা help help বলে চিৎকার করতে থাকে
ছেলেরা ঃ যতই। চিৎকার করো না কেন?কেঊ আসবে না এখন তোমাকে বাছাতে সুন্দরী। তাই ভালোই ভালোই চলে আমাদের সাথে।
আলিশা কেঁদে চলছে। আর মনে মনে আল্লাহ্ কে ডাকে।তখন একটা গাড়ি আমাদের সামনে থামে।আর গাড়ি আলো সবার চোখে যাওয়াতে সবাই চোখে হাত দেয়।একটা ছেলে বলে উঠে। এই যে মিস্টার চোখে দেখেন না।চিৎকার করে বলে।তারপর লাইট অফ হয়ে যাওয়া তে আলিশাকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে।
লাইন অফ করে গাড়ি থেকে বের হয়
আলিশা ঊনাকে দেখে অবাক হয়ে যায়। উনি আলিশার সামনে এসে বলে ছেলেগুলো কে। আলিশাকে ছেড়ে দিতে।
ছেলেগুলো ঃ এই হিরো,,,, আমাদের পথ ছাড়, না হলে ভালো হবে না।।
এটা বলে আলিশাকে টানতে টানতে নিয়ে যায় নীলে সামনে থেকে।তখন নীল ছেলেগুলো কে পিছন থেকে আঘাত করে।পিঠে লাথি মারে। এভাবে দুজন কে লাথি মারে। দুজন দু দিকে ছিটকে পড়ে। আলিশা উনার পিছনে চলে যায়। ছেলে গুলো কে উঠে উনার সাথে মারপিট করে।উনার এই বডির সাথে নআআ ফেরে ছেলেগুলো চলে যায়।জাওয়ার আগে বলে যায়,,,। আবার ফেলে দেখে নিবে,,,
।
আলিশা ঃtnx দিয়ে ছোট করব না। আজকে আপনি না থাকলে জানি আজকে আমার আজকে কি হতো
নীল ঃ আপনি বিপদে পড়েছেন। আপনাকে না বাচিয়ে। কাপুরুষ মতো চলে যাওয়া এটা নিলাভ্র চৌধুরী কাজ নয়।
আলিশাঃ আপনাকে যতই দেখে ততই অবাক হই (মনে মনে)
নীল ঃ মিস আলিশা
আলিশা ঃহুম। (নীলের ডাকে হুশ ফেরে)
নীলঃ কি, ভাবছেন
আলিশাঃ কিছু না
নীল ঃ আচ্ছা! আপনি এত রাতে এককা কেন যাচ্ছেন?
আলিশা ঃআসলে রাস্তা কোনো রিক্সশা না পাওয়ার কারনে হাটতে থাকি তখন ছেলে গুলো কোথায় থেকে আসে। তারপর পিছ নেয়।
নীল।ঃ গাড়ি তে উঠুন
আলিশা ঃ কেন?
পর্ব ::: :-- ৫
আলিশা আব্বু ঃ আরে বাবা এখন তো তোমাদের খাওয়ার বয়স। তোমার বয়স তো আমি প্রচুর খেতাম।আলিশার আম্মু ওকে আরো দাও তো
নীল ঃ আংকেল আমি আর খেতে পারব না।
আলিশা আব্বু ঃ এই টুকু খেয়ে হাপিয়ে গেলে।
আলিশা না খেয়ে ভাত হাতে নিয়ে নাড়াছাড়া করে নীল দিকে তাকিয়ে।নীল এটা খেয়াল করে। নীল চোখে ইশারা করে আলিশাকে। এভাবে কেন? তাকিয়ে আছে। আলিশা লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে খাবার খায়। সবার খাওয়া শেষ হয়ে যায়। নীল বিদায় জানাতে আসে। আকাশ নীলের সাথে হ্যান্ডশেক করে বিদায় জানায়।
আলিশা আব্বু ঃমাঝে মাঝে সময় ফেলে আমাদের বাসায় এসো
নীল ঃ জ্বি, আংকেল আসব
তারপর নীল যাওয়া সময় আলিশা দিকে এক পলক তাকিয়ে মমুচকি হেসে চলে যায়।
আলিশা ঃ এই ছেলেটা কেন? এভাবে হাসে। হাসলে উনাকে আরো সুন্দর লাগে। উনার হাসির প্রেমে যে আমি পড়ে গেছি
এসব ভাবতে ভাবতে আলিশা রুমে চলে যায়। রুমে গিয়ে আধ শোয়া হয়ে আজকে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা কথা মনে করে নিজের অজান্তে হেসে দেয়
আলিশা এত হাসি কারন কি? (ভাবি)
আলিশা ঃকিছু না ভাবি
ভাবি ঃ ননদিনী , আমি কিন্তু আপনার রোগ টক ধরতে পেরেছি।আমি সবই দেখেছি। খাবার টেবিল খাবার না খেয়ে অই লোক টা দিকে তাকিয়ে থাকা।
আলিশা ঃ ভাবি তুমি ও না (লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে বলে)
ভাবি ঃ ওলে বাবুরে আমার ননদিনী বুঝি লজ্জা পায় ( আহ্লাদী কন্ঠ বলে)
আলিশা ঃ ভাবি তুমি ও না
ভাবি ঃআর লজ্জা পেতে হবে না । অনেক রাত হয়েছে সুয়ে পড়
এদিকে নিল রাগে গজগজ করতে করতে বাসায় ঢুকে। বাসার সব কিছু ভাঙতে শুরু করে দেয়। আর চিৎকার করে বলতে থাকে।। মিনু তোর মৃত্যু জন্য যারা দায়ী তাদের কাউকে আমি ছাড়ব না।মিনু ছবি সামনে দাঁড়িয়ে বলে। এসব বলে আর নীল ড্রিংক করে। এক পর্যায় ড্রিংক করতে করতে অচেত্ন হয়ে পড়ে। এদিকে আলিশা কল্পনার রাজ্য নীল নিয়ে স্বপ্ন আকে।সে নিজে ও জানে তার এই স্বপ্ন গুলো একদিন তার জিবনে কাল হয়ে দাঁড়াবে।
পরদিন
ভাবি ঃ এই আলিশা উঠ
আলিশা ঃ আরেকটু ঘুমাই না plz
ভাবি ঃআলিশা তুমি কি সারারাত চোর পাহারা দিলে নাকি
আলিশা ঃ না ভাবি!আসলে নীল কে নিয়ে ভাবতে ভাবতে অনেক ঘুমিয়ে ছিলাম। তাই (ঘুমের ঘোরে বলে)
ভাবি ঃতাহলে আমি ঠিকি ধরলাম। আমার ননদিনী প্রেমে পড়েছে।
আলিশা ঃ দূর ছাই ঘুমের ঘোরে কি থেকে কি বলে পেললাম(। মনে মনে)আসলে ভাবি তুমি যা ভাবছ সেটা নয়
ভাবি ঃআমি ঠিকি ভেবেছি আলিশা। something something
alisha :ভাবি তুমি ও না মুখে যা আসে তাই বল
ভাবি ঃ আর বলব না। এখন আর লজ্জা পেতে হবে না। এবার গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো। আমি নাশতা রেডি করছি। তুমি এসো! তুমি না আসা পর্যন্ত কেঊ নাস্তা করবে না।
আলিশা ঃভাবি তুমি যাও । আমি আসছি
এটা বলে আলিশা ওয়াশরুমে ঢুকে যায়।শাওয়ার নেয়।আর নীলের সেই হাসি কথা মনে করে ।
এইই ছেলেটা আমায় পাগল করে দিবে এটা বলে আলিশা নিজের হাতে নিজের মাথা আস্তে করে বাড়ি দেয়।সিঁড়ি দিয়ে সামনে সামনে বলে ওর বাবা আর ভাইয়া উদ্দেশ্য। gd morning
আলিশা আব্বু ঃgd morning
আকাশঃgd morning
চেয়ার টেনে ভাইয়া পাশে বসে আলিশা।
আকাশা ঃ আমি বলছিলাম না। আমার বাবু পাখি ঠিক first হবে।দেখলে তো,
আলিশা আব্বু ঃ আমি তো জানতাম। আমার মেয়েই প্রথম হিবে
আলিশা চুপচাপ ওদের কথা শুনে,তার পর বলে উঠে। ভাইয়া তোমার ক্যানো শুধু আমার জন্য অপেক্ষা কর।আমার জন্য তোমাদের প্রতিদিন লেট হয়।
আলিশা আব্বু ঃতুই জানিস না, তোর ভাইয়া তোকে ছাড়া কিছু খায় না।। তুই টেবিল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে।
আলিশা আম্মু ঃ হইছে। অনেক হইছে কথা। এবার সবাই চুপচাপ করে খাও।
এলার্মের আওয়াজ নীল ঘুম ভাংগে। নীল তাকিয়ে দেখে সে ফ্লোরে শুয়ে আছে। তারপর কালকে সব কথা মনে করে। ঘড়ি দিকে তাকিয়ে বলে। oH sit
???? আপনাদের মন্তব্য ছাড়া গল্প মূল্যহীন ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ????
to be continue............
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now