বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অনুভবে শুধু তুমি♥
Part:2
writer:T.R
♦
ওরা রুম থেকে বেরিয়ে যায়।।তোহার কথা মনে পড়তেই তীব্র হেসে উঠে।।সবাই হাসলেও তোহার চোখে ভয় স্পষ্ট ছিলো।।ও বারবার এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলো,,,,,,ওর ভয়ার্ত চেহারা টা মনে পড়তেই তীব্র আনমনেই হেসে দেয়। মনেমনে বলে,,,,, "বাচ্চা মেয়ে একটা!""
♦
পরদিন,,
"দাদুভাই আসবো???"(তোহা)
"এখন ধরে দিবো একটা!!!অনুমতি নেয়া লাগে?? পাগলী!!!"
"কি করো দাদুভাই??"
"কিছু করছিনা দাদুভাই।।এসো এখানে বসো।।"
"তোমার স্বাস্থ্যর কি অবস্থা??ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আছে??"
"হুম এইতো ভালোই।।বুড়ো বয়সে যতটুকু ভালো থাকা যায়!"
তোহার দাদুর সাথে অনেক্ষন গল্প করে।।এমন সময় আশেপাশের বাড়ির কয়েকজন মহিলা আসে।।ওনারা তোহা ওরা আসলেই আসে।।কারন তোহা সবার সাথেই খুব মিশে।।তোহা সবাইকে সালাম দিয়ে সবার সাথে কথা বলছে।।একজন বৃদ্ধা মহিলা ওকে জড়িয়ে ধরে আদর করে দেয়।।
তীব্র ঘুম থেকে উঠে দেখে যে বিকেল হয়ে গেছে।।রোহান এখনো ঘুমাচ্ছে।তীব্র বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়।।বাইরে তাকিয়ে দেখে তোহা গ্রামের মহিলাদের সাথে কথা বলছে।।ও অবাক হয়ে যায়।।কি সুন্দর সবার সাথে মিশছে মেয়েটা!!
যেন সবার কত পরিচিত।।তারা গরীব নোংরা বলে কোন অবহেলা নেই।।এর মধ্যেই তীব্রের ফোন বেজে ওঠে।।ওর আম্মি ফোন করেছে।।ও ফোন রিসিভ করে।।গ্রামের বাড়ি হওয়াতে নেটওয়ার্ক এর প্রব্লেম।।তাই তীব্র কথা বলার জন্য বাড়ির দরজার দিকে গিয়ে ফোন ব্যাক করে,,,,,,,
"হ্যালো! আম্মি, কেমন আছো??"
"ভালো আছি ,,,, বাবা তুই কেমন আছিস??"
"আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।।বাবা কেমন আছে?"
"তিনিও ভালো আছে।।কেমন লাগছে সেখানে গিয়ে??"
"অনেক ভালো লাগছে"
"সাবধানে থাকিস বাবা!!"
"দোয়া করো আম্মি!"
মায়ের সাথে কথা বলা শেষে বাচ্চাদের হইচই এর শব্দে তীব্র এগিয়ে যায়।পাশের একটা মাঠে ছোট ছোট বাচ্চারা খেলছে,,, দূর থেকে তোহাকে ও দেখা যাচ্ছে।।ও ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় ওদের দিকে।।বাচ্চারা সবাই কানামাছি খেলছে,,,,একটা ছোট ছেলের চোখ বাধা। ছেলেটা সবাইকে ধরার চেষ্টা করছে।।আজ বাচ্চাদের সাথে তোহাকে ও বাচ্চা বাচ্চা লাগছে,,,,তোহা হাসার সময় বা কথা বলার সময় ওর গালে খুব সুন্দর করে টোল পড়ে।।এর মধ্যে তোহা ধরা পড়ে যায়,,,,যদিও ও ইচ্ছে করেই ধরা পড়েছে,,,,,এবার সবাই মিলে তোহার চোখ বেধে দেয়।।তোহা চোখ বন্ধ করে সবাইকে ধরার চেষ্টা করে,,,,,হঠাৎ ও এসে একজনকে জাপটে ধরে,,,,,,
"ইয়াহু ধরে ফেলেছি!"(তোহা)
কিন্তু ও চোখ খুলেই অবাক হয়ে যায় কারন ও তীব্রকে ধরেছে।।আর তীব্র তো মুগ্ধ হয়ে তার মিষ্টিপাখির দিকে তাকিয়ে আছে,,,,তোহার টোল পড়া গাল,,ফর্সা মুখ,, টানা টানা চোখ!!তোহা এভাবে তীব্রকে ধরায় প্রথমে ভয় পেয়ে যায়,,,,কিন্তু তীব্রকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে লজ্জা পেয়ে তীব্রকে ছেড়ে দেয়।।ছেলেমেয়েরা সবাই হইহই করে উঠে,,,,,,নিয়ম অনুযায়ী এবার তীব্র চোর হবে,,,,,, সবাই তীব্রকে খেলবে কিনা জিজ্ঞেস করে!!!তীব্র ও রাজি হয়ে যায়,,,,,অনেক্ষন ধরে বাচ্চাদের সাথে খেলে দুজনে,,খেলা শেষ হলে তোহা ঘর থেকে চকলেট আর খেলনা এনে সবাইকে দেয়।।ও প্রতিবার দাদুবাড়ি আসার সময় সবার জন্য গিফট নিয়ে আসে,,,,বাচ্চাগুলো খুব খুশি খেলনা আর চক্লেট পেয়ে,,,,,,,,,,,,!!!!সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তোহা বাড়ি ফিরে এলো,,,ওদের সাথে সময় কাটিয়ে তীব্র ও খুব খুশি,,
""ধন্যবাদ তোহা,,,,আমাকে এত সুন্দর একটা সময় উপহার দেয়ার জন্য।।"(তীব্র)
"এখানকার বাচ্চাগুলো খুব ভালো,,,,ওরা গ্রামে বড় হয়েছে তাই হয়তো শহুরেদের কাছে নোংরা হিসেবে পরিচিত।।কিন্তু ওদের মন খুব ভালো।।আমাকে খুব ভালোবাসে ওরা,,,,আমাকে একবার বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে ওরা।।আমার জন্য জীবন ও দিতে পারে ওরা।"(তোহা)
"তোমার মত মিষ্টি মেয়ের জন্য তো যে কেউই জান দিয়ে দেবে!"(বিরবির করে)
"কিছু বললেন??"
"না তো কিছুনা,,,,চল সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে।।"
বাড়িতে গিয়ে দেখে রোহান আর নাফিসা কোমড় বেধে ঝগড়া করছে,,,,,ঝগড়ার বিষয় হলো রোহান জানালা দিয়ে বাইরে পানি ফেলেছে আর সেই পানি গিয়ে নাফিসার গায়ে পড়েছে,,,নাফিসার কথা হলো রোহান ইচ্ছে করে এমন করেছে,,,,,আর রোহানের কথা হলো ও দেখে মারেনি, বরং এখানে নাফিসার দোষ সে কেন জানালার পাশে ছিলো??সে কেন বুঝেনি যে এখন রোহান পানি মারবে আর সে এখান থেকে সরে দাঁড়াবে।।এটা নিয়ে প্রায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে গিয়েছে।।এখন মিসাইল ছোরার প্রস্তুতি চলছে,,,,,
বর্তমানে অবস্থা বেগতিক এখন না থামালে বিস্ফোরন ঘটে যাবে,,,,তোহা আর তীব্র দুজনেই দৌড়ে এসেছে কিন্তু ততক্ষনে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে,,,,,রোহানের নাক টমেটো হয়ে গেছে মানে নাফিসা ঘুষি মেরে টমেটো বানিয়ে দিয়েছে।।নাক ফুলে পুরো টমেটোর মত লাল হয়ে গেছে,,,,,,,,,তীব্র আর তোহা জলদি এসে দুজনকে অনেক কস্টে থামিয়েছে।।
সবাই আড্ডা দিচ্ছে আর বেচারা রোহান মুখ গোমড়া করে বসে বসে নাকে বরফ লাগাচ্ছে,,,,,,,আর কিছুক্ষন পর পর বলে উঠছে,,,,,,, "আমার এই নিষ্পাপ নাকের উপর এই অত্যাচার জাতি সহ্য করবেনা।।।।ইসসসসসরেএএএএএ আমার নাকটা!!!"
কিন্তু এতে নাফসার কোন ভাবাবেগ হলো বলে মনে হলো না,,,,,,
সকালবেলা,,,,
তোহার দাদু পিঠা বানিয়েছে,,,,,,, সবাই মজা করে খাচ্ছে,,,,,তীব্র তোহার কথা ভাবছে,, না চাইতেও বারবার তোহাকেই মনে পড়ে যায়,,,গতকাল যখন ও বাচ্চাদের সাথে খেলছিলো আর হাসছিলো সেই দৃশ্য টাই বারবার মনে পড়ছে তীব্রের।।তোহার কথা ভাবতে ভাবতে ও যে পিঠার বদলে নিজের আঙুল খেয়ে ফেলছে সেই খবর নেই,,,,,,,,!!রোহান ভুত দেখার মত তাকিয়ে রইল তীব্রর দিকে,,,,,,যে ছেলে সব সময় সব কাজ সঠিক ভাবে করে সে এখন আঙুল চুষছে!!!হাউ ইজ দ্যাট পসিবল!!!!
"দোস্ত তুই ঠিক আছিস??বাচ্চাদের মত আঙুল চুষছিস কেন??ও মাই গড!!তোকে আবার ভুতে পায়নি তো!!
এই আসিফ ব্রো,,(আসিফের দিকে ফিরে),,তোমাদের এখানে আবার ভুত নেই তো!!এখন কি হবে??এখন তীব্র যদি ভুত হয়ে আমার ঘাড় মটকে দেয়!!!"(রোহান)
তীব্র আনমনেই বলে উঠলো,,,
"হুম ধরেছে তো!!তবে ভুতে না মায়ায়,,,,,"
"হোয়ায়ায়ায়ায়াট???মায়ায় মানে??"
রোহানের কথা শুনে তীব্রর ঘোর ভাঙে,,,, ও বেশ লজ্জা পেয়ে যায়,,,কিন্তু এখন সেটা প্রকাশ করা যাবেনা তাহলে আসিফ আর রোহান মিলে ওর মান ইজ্জত কেরোসিন বানিয়ে ফেলবে,,,,,তাই নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে উঠলো,,,,
"পিঠার মায়ায় পড়েছি,,, এই পিঠা টা খুব মজা লেগেছে,,,,,এখন বকবক না করে তাড়াতাড়ি খেয়ে নে।।।আমি ওয়াশরুম থেকে আসছি!!"
বলেই সেখান থেকে চলে এলো।।পুরো ব্যাপার টা রোহানের মাথার উপর দিয়ে গেছে।।ও তীব্রর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল। এদিকে নিজের কাজে তীব্র নিজেই অবাক,,,,কি ভলে ফেলল সে নিজেও জানেনা।। কি হচ্ছে তার সাথে এসব????
(চলবে)
[আজকের পার্টটা একেবারে পচা হইছে,,,,আজ একটু ব্যস্ত ছিলাম তাই গুছিয়ে লিখতে পারিনি।।ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন„„,,হ্যাপি রিডিং]
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...