বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম।
---------------------------
অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেয় ১-২-৩য় শ্রেনিতে কে কয় টাকা নিয়ে টিফিন খরচ নিয়ে ছিলেন।আসলে এই পোস্ট গুলোকে লাইক কমেন্ট করতে পারি না। লাইক কমেন্ট করতে গেলে বিবেক দিয়ে মোচর দিয়ে উঠে।মনে পড়ে যায়,শৈশবের কথা।আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক।বাবা মায়ের একমাত্র আদরের প্রিয়পাত্র ছিলাম।হয়তো আমাকে নিয়ে, তাদের অফুরন্ত ভালোবাসা ছিলো।সেটা আমি তখন বুজে উঠতে পারিনি।আম্মুর কাছে টাকা চাইলে বলতো ,আমার কাছে টাকা নাই।আব্বুর কাছে টাকা চাইতাম না ভয়ে। কিছুক্ষন মন খারাপ করে স্কুলে চলে যেতাম।বাবা মার সামর্থ্য না থাকায়, আমার চাহিদাগুলো বুজতো না।
একদিন আমার চাচ্চু আমাকে কিছু টাকা দিছিলো।টাকাগুলো মায়ের হাতে দিছিলাম।ঘরে সেদিন কেরোসিন ছিলোনা। আব্বা টাকাগুলো দিয়ে কেরোসিন ক্রয় করে আনছিলো। কোনো কোনো দিন কেরোসিন না থাকায় বই ও পড়তে পারি নি।আমার চাচ্চুর দেওয়া টাকা গুলো আমি মায়ের কাছে চাইলাম,মা বললো আমার কাছে টাকা নাই।আমি বলছিলাম ,আমি অতো কিছু জনিনা আমার টাকাগুলো দিতে হবে।এই বলে আমি অনেক্ষন কেদেছিলাম। কেদেও কোনো লাভ হয় নি।মধ্যবিত্ত পরিবারদের এরকম হাজারো কষ্ট হৃদয়ে নিয়ে তিলে তিলে তাদের মন গুলো পাষান হয়ে উঠেছে।
মধ্যবিত্ত পরিবারদের বড় রকমের স্বপ্ন থাকলেও তা পূরণ করে উঠতে পারে না।
তাই মধ্যবিত্ত দের স্বপ্ন দেখাই ভুল।
এসবের মাঝে বড় হয়েছি, একা চলতে শিখেছি।পকেটে টাকা না থাকলেও বাস্তবতা কে মেনে নিয়ে আমি পথ চলতে পারি।
ভালোবাসা,দারিদ্র্যতা ও ক্ষুধার্ততা এগুলো বেচে থাকার অনুপ্রেরণা অনেক পরে দেয়। কষ্ট ভোগ করতে আগে শিখায়।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now