বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আজ খুব শৈশবকালের কথা মনে পড়ছে। শৈশবটা হচ্ছে জীবনের এক অন্য মাত্রা যার মধ্যে কোনো ভরাডুবি থাকে না। তখন যেন চাইলেই আকাশ চুয়া যেত! স্মৃতির পাঁতাগুলো যদি একত্রে করি তাহলে ঘরবন্দি করেও রাখা যাবে না। কারন শৈশব মানুষের সপ্নগুলো আখরে ধরে বাঁচতে শেখায়। শৈশবকে ভুলে থাকা যায় না।
আমার শৈশবের স্মৃতিগুলোর কথা মনে হলেই আমার সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে যেটি...................
তখন আমার বয়স ছয় বছর হবে। আমি আমাদের পুকুর পাড়ে বসে প্রকৃতিকে অনুভব করছিলাম। আমার তখন থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি একটা আলাদা ঝুঁকি ছিল। তাই আমি প্রকৃতিকে খুব অনুভব করতাম। কারন প্রকৃতি অনুভবের মাধ্যমে বিজ্ঞানের আলো উজ্জীবিত হয়। আমাদের পুকুরের পাশে ছিল একটি ছোট্ট বন। হঠাৎ আমার মধ্যে একটা বিষয় কাজ করল। বনের পাশে ছিল কয়েকটি ঘর আর আমি পরিলক্ষিত করলাম যে মাথার উপরের আকাশটার পরিসমাপ্তি যেন বাড়িগুলোর পেছনে। তোমরা পরিলক্ষিত করলে দেখবে যে একটি নিদিষ্ট স্থান থেকে অন্য একটি স্থানের পেছনে যেন আকাশ নেমে পড়েছে। তাই আমি মনে মনে স্থির করলাম যে আকাশটাকে চুঁতে হবে। তাই আমি বনের পাশে বাড়িগুলোর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যখন আমি গন্তব্য স্থানে পৌছালাম তখন দেখি আকাশটার পরিসমাপ্তি আরেকটু সামনেই। আবার হাটা শুরু করলাম সামনের দিখে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। গিয়ে দেখি আরেকটু সামনে দেখা যাচ্ছে আকাশের পরিসমাপ্তি। আবার শুরু করলাম হাটা আমাকে আকাশ চুঁতেই হবে। এভাবে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার যায়গা অতিক্রম করি। এদিকে আমি বাড়ি থেকে তিন-চার ঘন্টা ধরে উধাও বাবা-মা সহ পরিবারের সবাই আমাকে খুজছে। আর এদিকে আমি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হাটছিই। হঠাৎ আমাকে এক পরিচিতি লোক দেখে.....
পরিচিত লোকঃ কিহ তোমি সুরন্জন দার ছেলে না!
আমিঃ হ্যা।
পরিচিত লোকঃ তোমি এখানে কেন?
আমি কোনো উত্তর না দিয়ে কাঁদতে লাগি। তারপর পরিচিত লোকটি আমাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসল। এসে দেখি বাবা-মা সহ অনেকেই কাদঁছে। বাবা অভিমানী সুরে........
বাবাঃ কোথায় ছিলে? খুব বড় হয়ে গেছ!(বলেই বাবা গালে একটি তাপ্পর দিলেন এবং পরে খুব শক্ত করে ঝরিয়ে ধরলেন)
তখন তাদের অবস্থাটা কিছুই বুঝিনি।
আমি সব খুলে বললাম।
বাবাঃ এখনি অনুসন্ধান করতে শিখে গেছ! কি বুঝ তোমি?
আমি নিস্চুপ ভাবে দাড়িয়ে ছিলাম তখন।
বাবাঃ তোমি কি তার রহস্য শুনতে চাও?
একটু ভয় নিয়ে..
আমিঃ হ্যা বাবা।
বাবাঃ আকাশটা হচ্ছে পৃথিবীর আবরণ। আমাদের এই পৃথিবীটা একটা বলের মতো আর আমরা তাকে ঘিরে বসবাস করছি। যদি তোমি বলের উপর দিয়ে হাটতে থাক তাহলে তোমি কখনও বলের পরিসমাপ্তি খুজে পাবে না। তদ্রূপ আকাশটাও।
তখন আমি কিছু একটা বুঝেছিলাম। তবুও মনে হচ্ছিল যেন কাছে থেকেও চুঁতে পারলাম না আকাশটাকে। তখন একটা বিষয় খুব ঘুরপাক খাচ্ছিল যে বিজ্ঞানটা খুব আকস্মিক। আমাকে সেই আকস্মিকটাকে জানতে হবে। সেই সব স্মৃতিগুলোর কথা মনে পড়লে বড্ড হাসি পায়।
[আমার প্রকাশিত গল্পসমূহ সব আমার নিজের লেখা তাই দয়া করে আমার নাম ব্যাতিত লেখাগুলো কপিরাইট করবেন না]
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now