বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
- দোস্ত এত্ত ধর্ম মানলে জীবনের মজাটাই বুঝবি না।(!)
-- শোন জীবন তো একটাই। তাই এটাকে ভালোভাবে উপভোগ কর।(!!)
--- তুই কি জঙ্গি!!!!
-- ধর্ম-কর্ম করতেছিস কর কেউ তো তোরে নিষেধ করে নাই। স্কুলে এতো মানার দরকার কী।(!!!!!)
-- এত ধর্ম মানলে বিনোদন কোথায় থেকে পাবি।(!!)
- আহারে বেচারা, জীবনের মজা সঅঅব শেষ।(!!!!)
পাঠক, ভাবছেন আমি এসব কী বলছি। তাই না।
এগুলো আমি বলিনি। বলেছে আমাকে, আমার বন্ধুরা। বেশি না, কয়েকজন।
সবেমাত্র নামাজ-কালাম পড়া ঠিক মতো শুরু করেছি। চেষ্টা করছি নিজেকে পুরোপুরি মুসলমান বানানোর। মাত্র চার-পাঁচ মাস হয়েছে। তখনই উপরের কথাগুলো শুনতে হলো। যারা বলেছে তারা খুব ভালো বন্ধু। আর এখন। আচ্ছা ওদের কথা কতটা ঠিক। না না ওদেরকে মানতে গেলে আল্লাহ যাবেন, আর আল্লাহকে মানতে গেলে ওরা। ওহহো কী করবো??? আল্লাহ বড় কিন্তু.............. সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠা একটা ছেলের জন্য এটা কতটা কষ্টের তা বুঝতে চেষ্টা করুন।
ঠিক তখনই একটা বইয়ের খোঁজ পেলাম। নাম হচ্ছে, "হালাল বিনোদন"।
আরে এত দিন ধরে তো এইরকম কিছু একটা খুঁজছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ! এখন পেয়ে গিয়েছি।
এবার তাহলে বন্ধুদের কিছু জবাব দিতে পারব। ওহহো, উত্তেজনার আতিশয্যে বই পড়তেই ভুলে গিয়েছি।
"হালাল বিনোদন"। ছোটখাটো একটা বই। এক বসায় শেষ করে ফেলেছি। বেশি সময়ও লাগেনি। এক ঘন্টার একটু বেশি। মূল লেখক হলেন শাঈখ আবু মু'আবিয়া ইসমাইল কামদার। দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। মূল বইয়ের নাম "হ্যাভিং ফান দ্যা হালাল ওয়ে।" বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন মাসুদ শরীফ। গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত এই বইটি।
বইটি আটটি অধ্যায়-এ বিভক্ত। নাম শুনলে চমকে উঠবেন পাঠক।
১. ফিকহ্ বা ইসলামী আইনের কিছু মৌলিক মূলনীতি।
২. বিনোদনের ব্যাপারে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি।
৩. বিনোদনের ব্যাপারে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি।
৪. হারাম বিনোদন।
৫. সুন্নাহ সমর্থিত বিনোদন।
৬. প্রযুক্তি।
৭. ইসলাম নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি।
৮. শীর্ষ দশ হালাল বিনোদন।
এই হলো বইয়ের অধ্যায়গুলোর নাম। পড়তে ইচ্ছে করছে? আমার তো প্রথম থেকেই ইচ্ছে করছিল।
ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানলেও সবই ভাসা ভাসা। তবে আমি বইটা ভালোভাবে পড়ছি। পড়ে যা বুঝলাম তা হলো-
ইসলামে হারাম বা নিষিদ্ধ জিনিসের সংখ্যা খুবই কম। বরং হালাল এর সংখ্যাই বেশি। এটাতো সবাই জানে। কিন্তু পাঠক, হারামের ছড়াছড়ির এই যুগে হালাল জিনিসগুলোর কয়েকটার নাম বলুন তো।
জানি, বলতে সমস্যা হবে। কারণ, আপনার মনে হবে সবই হারাম! আমারও মনে হয়েছিল। তবে আল্লাহ যে এত হালাল জিনিস তাও আবার বিনোদনের জন্যই ছড়িয়ে রেখেছেন এই আপনার আমার পাশে তা কে উপলব্ধি করতে পেরেছিল।
বন্ধুদের এগুলো জানালাম। তবে যেই লাউ সেই কদুই রয়ে গিয়েছে।
শেষ কথা:
- দোস্ত, তোর নামাজ পড়া শেষ হলে খেলতে আয়।
-- কীরে, শুয়ে-বসে আছিস যে। চল কোথাও থেকে ঘুরে আসি। এখন তো আর ধর্মের বাধা নেই।
**************************************************
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
পাঠক আমিও আপনার মতোই একজন মানুষ। তাই আমারও ভুল-ত্রুটি হবেই। আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিন। যেন আমি নিজেকে শোধরাতে পারি। পূর্বে কখনো বুক রিভিউ লিখিনি। তাই আমাকে এসম্পর্কে উপদেশ দিন। ধন্যবাদ আপনাকে ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now