বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
শেষ বিকেলের মায়াবতী♥
Part:24
writer:T. R♥
♦♦
তিনা,নিধি ওরা দুজনে শ্রুতিকে স্টেজে নিয়ে আসে।।পুরো বাড়ি মেহমানে ভরপুর।। শ্রুতির বাবা মা সবাই এসেছে।।।অভি তো তার ডার্ক প্রিন্সেস কে ই দেখছে বারবার।।তার অন্যদিকে কোন খেয়াল নেই।।।এটা নিয়ে ওর বন্ধুরা হাসাহাসি করছে।।।বাট অভি ডোন্ট কেয়ার মুডে আছে।।অভি নিজেও আজ নেভি ব্লু শেরওয়ানী পড়েছে।।
অভি শ্রুতির হাতে রিং পড়িয়ে দেয়। শ্রুতি ও অভির হাতে রিং পড়িয়ে দেয়।।।মিসেস চৌধুরী গেস্টদের সাথে শ্রুতিকে পরিচয় করিয়ে দেন।।।শ্রুতি দাঁড়িয়ে ছিলো এর মধ্যে তিনা উত্তেজিত হয়ে শ্রুতির পাশে এসে দাঁড়ায়।।।
--কিরে কি হয়েছে তোর??এভাবে কোথা থেকে ছুটে আসলি???(শ্রুতি)
--জানিস কি হয়েছে??
--কি হয়েছে??
--আমার সেই ক্রাশ এখানে এসেছে,,,,,ওকে একটু আগে দেখেছি,,,,,,দোস্ত আই জাস্ট লাভ হিম,,
--কোথায় সে??
--ওইতো,,,,,(একটা ছেলের দিকে ইশারা করে)
শ্রুতি সেদিকে তাকিয়েই অবাক হয়ে গেল।।।কারন ছেলেটা আর কেউ নয় আবির!!অভির বেস্টফ্রেন্ড আবির।।
--তার মানে আবির ভাইয়া তোর ক্রাশ???
--তুই ওকে চিনিস নাকি??
--আরে ওটা তো অভির বেস্ট ফ্রেন্ড।।তার মানে তুই অভির বেস্টফ্রেন্ডের প্রেমে পড়ে গেলি??
তিনার মা ডাক দেয়াতে তিনা চলে যায়।।অভির বন্ধুরা সবাই ওকে গান গাওয়ার জন্য রিকুয়েস্ট করে।।সবার রিকুয়েস্টে ও গিটার নিয়ে আসে।।।তারপর গাইতে শুরু করে,,,
Tere samne aja ne se
yeh dil mera dhadka hain,
ye galti nehi hain teri
kosur najar ka hain.
jis baat ka tujhko dar hain woh karke dikhadunga,,,,,,,,,,,,,
Aise na mujhe tum dekho,sine se lagadunga,,
tum to main cudalunga tumse,,
dil main chupalungaa,,,,,
--Arman Malik♥
অভির বন্ধুরা চারপাশ থেকে সিটি বাজাচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে ""দিস ইজ ফর ভাবি"""ওদের কথা শুনে শ্রুতি মাথা নিচু করে আছে লজ্জায়।।।
*********---------****************
রেহানের বাবা মা এর অরির বাবা মা সামনে সোফায় বসে আছে।।।রেহান আর অরি মুখ কাচুমাচু করে অপরাধী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে।।।রেহান তো ভয়ে রিতিমত কাপাকাপি শুরু করে দিয়েছে।।ওর ভাব দেখে মনে হচ্ছে ফাসির আসামী।।ও বারবার অভির দিকে তাকাচ্ছে।।ফাজিল টা সব বলে দিয়েছে।।।অরির বাবা তো মাথা গরম করে বসে আছেন।।।ছেলে নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই কারন রেহানকে অপছন্দ করার কারন নেই।।ও ছেলে হিসেবে সব দিক থেকেই পার্ফেক্ট।।।কিন্তু তাই বলে তার মেয়েকে একেবারে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলবে???সাহস তো কম না!!!কত দুঃসাহস ভাবা যায়!!তবুও তিনি সবটা ই অরির হাতে ছেড়ে দিয়েছেন,,,,,,,,তার কথা হলো অরি যেটা বলবে সেটাই ফাইনাল।।।অরি যদি এই বিয়ে মানে তাহলে তিনি নিজেও এই বিয়ে মেনে নেবেন।।।।তিনি বলে দিলেন,,,,,"অরি যা বলবে তাই হবে""
রেহানের মুখটা এবার চুপসে গেল।।।যদি এই মেয়ে উল্টাপাল্টা কিছু বলে দেয় তাহলে তার সংসার করার স্বাদ শেষ।।। বেচারা!!!!অরি একবার রেহানের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,,,,
--বাবা রেহানকে আমার আগে থেকেই পছন্দ ছিলো।।আমি তোমকে বলবো ভেবেছিলাম কিন্তু তার আগেই বিয়ে হয়ে গেল।।যাইহোক বিয়ে জীবনে একবারই হয়।।আমারো হয়েছে।।।আমি ওর সাথেই থাকতে চাই শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।।।।
অরির কথায় রেহানের তো নাচতে ইচ্ছে করছে সবার সামনে।।।যে অরি ওকে পছন্দ করে।।।অরির বাবাও বিয়ে টা মেনে নেন।।।রেহানের বাবা মা ও খুশি।।।অভি-শ্রুতির বিয়ের ডেট ৬ মাস পরে ঠিক করা হয়েছে।।শ্রুতির এক্সাম শেষ হলেই বিয়ে হবে।।।আর অভির ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রায় শেষ।।।। তাই বিয়েটা ৬ মাস পরেই হবে।।।
★★*---*---*---*--*---*----*--*★★
৬ মাস পর,,,,,,,,,,,,
আর তিনদিন পর অভি-শ্রুতির বিয়ে।।। Destination wedding অভির ইচ্ছা।তাইতো একটা নাম করা রিসোর্ট বুক করে ফেলল।।মেহমানদের সুবিধার জন্য আসেপাশের হোটেল গুলো ও বুক করে ফেলল।।।আত্মিয়-স্বজন প্রায় সবাই চলে এসেছে।।অভি-শ্রুতির ফ্রেন্ডরা সবাই এসেছে।।সুবাহ, সাদিয়া,তানহা ওরা ও এসেছে।।।চারিদিকে বিয়ে বিয়ে রব পড়ে গেছে।।।এখানকার রুম গুলো খুব সুন্দর।।রিসোর্ট টা ও খুব সুন্দর।।শ্রুতির রুমটা খুব সুন্দর।।আর হবেই না কেন আহনাফ আহমেদ অভি চৌধুরীর হবু বউ বলে কথা।।তার জিনিস তো এক্সট্রা স্পেশাল হবেই।।।শ্রুতির খুব পছন্দ হয়েছে।।।ওর বারান্দা থেকে নদী দেখা যায়।।।রিসোর্ট টা মনে হয় নদীর আশেপাশে বানানো হয়েছে।।।
♦♦
আজ শ্রুতির মেহেদী।।শ্রুতিকে মেহেদী দেয়ার জন্য আলাদা বিউটিশিয়ান আনা হয়েছে।।তারাই মেহেদী পড়িয়ে দেবে শ্রুতিকে।।কিন্তু শ্রুতি এখন মেহেদী না দিয়ে বসে বসে অভির জন্য অপেক্ষা করছে।।কারন অভির কথা হলো তার বউকে সে প্রথমে মেহেদী লাগাবে।।কিছুক্ষন পর অভি এসে মেহেদী দিয়ে শ্রুতির হাতে ওর নাম লিখে দিলো।।।তারপর বিউটিশিয়ান রা শ্রুতিকে মেহেদী পড়ানো শুরু করলো।।।
♦♦
শ্রুতির হলুদ আজ।।ছাদেই হলুদের ব্যাবস্থা করেছে তবে খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছে।।শ্রুতিকে বাসন্তি রঙ এর শাড়ি পড়ানো হয়েছে।।সাথে ফুলের গহনা।।পার্লারের মেয়েরা শ্রুতিকে সাজিয়ে দিয়ে গেল।।শ্রুতি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো।।।হঠাৎ কেউ একজন রুমে আসে।।পেছনে তাকিয়ে দেখে অভি দুষ্টু হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।।।সাদা পাঞ্জাবির ওপর হলুদ কটি খুব মানিয়েছে ওর ফর্সা শরীরে।।
--তুমি এখানে কি করছো???(শ্রুতি)
--আমার মায়াবতী কে আমার আগে অন্য কেউ হলুদ লাগাবে সেটা কি করে হয়??আমার বউকে আমিই প্রথম হলুদ লাগাবো।। তাই হলুদ লাগাতে এসেছি।।
--ম মানে??কেউ দেখে ফেলবে,,,যাও এখান থেকে,,,,,
--তুমি বললেই তো হবেনা জান!!আর আমার বউয়ের কাছে আমি এসেছি কার বাপের কি??
অভি নিজের গালে হলুদ লাগিয়ে ওর গাল থেকে শ্রুতির গালে হলুদ লাগিয়ে দিলো,,,,তারপর বললো,,,"এইতো আমার হলুদ শেষ,,আর আমার মায়াবতী কে আজ ভীষন সুন্দর লাগছে ""
বলে একটা হাসি দিয়ে চলে গেল।।তিনা, সুবাহ ওরা শ্রুতিকে স্টেজে নিতে আসলো।।শ্রুতির গালে হলুদ দেখে সুবাহ বলল,,,,
--কিরে তোর গালে হলুদ কিভাবে আসলো??কে লাগালো??
--আরে বুঝো না কেন??জানোনা কে লাগাতে পারে,,,,(তিনা)
--ওওওও আচ্ছা এবার বুঝেছি,,,,তাহলে এই ব্যাপার!!হাউ রোম্যান্টিক ইয়ার!!!!(সুবাহ)
--উফফফ চুপ করবি তোরা,,,,,,,,,,,(শ্রুতি)
--হুম্ম! এখন রেগে যাচ্ছো কেন বেইবি???আমরা তো সত্য কথাই বললাম,,,,,,,,,,
ওরা শ্রুতিকে নিয়ে স্টেজে বসিয়ে দিলো,,,,সবাই একে একে এসে শ্রুতিকে হলুদ লাগিয়ে দিলো।।।এর মধ্যে তিনা এক ভয়ংকর কাজ করে ফেলেছে।।।দুহাতে হলুদ ভর্তি করে নিলো।।।আবির দাঁড়িয়ে কারো সাথে ফোনে কথা বলছিলো।।।ও পেছন
থেকে গিয়ে আবিরের গালে হলুদ লাগিয়ে দিলো।।।তারপর ভুবন ভোলানো হাসি দিয়ে চলে এলো।।।পুরো ব্যাপার টা আবির প্রথমে বুঝতে পারেনি।।।পরে বুঝলো তারপর কিছু একটা ভেবে নিজেও হেসে দিলো।।।।।।
(চলবে)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...