বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গত পর্বের পর...........
মি. এক্সের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এটা বুঝা যায় যে এ খুনটা পরিকল্পিত ছিল। তবে এ খুনের পরিকল্পনা খুব অল্প সময়ের ছিল। খুনী খুব চালাক ও বহু প্রতিভাধর।
আমরা চিরকুটের রহস্য উদঘাটন করি। আসলে খুনী পুরনো প্রেশের কার্বন কালি ব্যবহার করে চিরকুটটি লিখেছিল। তবে পাখির রহস্য জানতে পারি নি। তাই বাইরে সিসিটিভি ফুটেজ ভালভাবে পরীক্ষা করছি।
- টমাস, ঐ ফুটেজটা ভাল ভাবে জুম করে প্লে করে দাও তো। দেখুন, দেখুন, পাখিটির গতিবিধি লক্ষ্য করুন।
- উড়ন্ত পাখির গতিবিধি লক্ষ্য করা কি দরকার, আনিছ।
- আরে, আশ্চর্য বিষয় হলো ওটা পাখি নয়।
- মানে? তুমি বুঝাতে চাচ্ছো, আনিছ?
- মানে, পাখি উড়ার সময় ডানা ঝাপটায়।এখানে খেয়াল করুন। এই পাখিটির ডানা কোন ক্রমেই নড়ছে না।
- তাই তো!
- এটা হলো ড্রোন। অবিকল পাখির মতো।
- আনিছ, তাতে কি খুনীকে ধরা যাবে?
- এখন বুঝা যাচ্ছে, খুনী ইঞ্জিনিয়ার বটে।
এদিকে আরেকটা বিষয়ে মাথাটা ঘুরে গেল মনে হয়। কারণ ফুড পয়জন বিশ্লেষণ করে যেটা পাওয়া গেছে তা হলো সায়ানাইড। বিষ। আসলে সায়ানাইড মানুষ মুহূর্তের মধ্যে মেরে ফেলে। তবে অর্গানিক কেমিস্ট্রির উপাদান মিলিয়ে একধরণের তরল রাসায়নিক দ্রব্য তৈরী করেছিল খুনী। এ থেকে মনে হচ্ছে খুনী দক্ষ রসায়নবিদ।
এটা কিভাবে সম্ভব? হঠাৎ একটি ক্লু খেলে গেল আমার মধ্যে। বুঝে গেছি কিভাবে খুন হয়েছিল মি. এক্স।
ড্রোনের মধ্য ঐ তরল রাসায়নিক দ্রব্যটি এনেছিল খুনী। ড্রোনের কেমেরার সাহায্যে মি. এক্সের খাবারে তরল রাসায়নিক পদার্থটি মিশিয়ে দিয়েছিল খুনী। এটা খেয়ে ফুড পয়জনিং হয় মি. এক্সের। পরে বিষক্রিয়া বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক করে মি.এক্স সাহেব।
সব ধরণের অনুসন্ধান করেও খুনীর কোন সুরহা করে পারল না কেউ।
এটি একটি অমীমাংসিত খুনের রহস্য হয়ে গেল।
আমার দ্বিধাযুক্ত কণ্ঠে বললাম,
আসলে কে ছিল খুনীটা?
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now